প্রচ্ছদ

প্রবাসীদের প্রতি ভাই -ভাতিজার অবিচার : এ কান্নার শেষ কোথায় ?

  |  ০৩:৩৪, জুলাই ০২, ২০২২
www.adarshabarta.com

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড: এ কে মোমেনকে ধন্যবাদ

প্রবাসীদের প্রতি ভাই -ভাতিজার অবিচার : এ কান্নার শেষ কোথায় ?
কে এম আবুতাহের চৌধুরী:

লণ্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক আয়োজিত এক সভায় বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড: এ কে মোমেন বলেছেন যে – প্রবাসী বাংলাদেশীদের সম্পত্তি রক্ষায় বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করা হবে ।এই দ্রূত বিচার ট্রাইবুনালে ভূমি খেকো সন্ত্রাসীদের বিচার করা হবে।
মন্ত্রীর এ ঘোষণায় আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।
কারন দীর্ঘকাল প্রবাসীরা দেশে না থাকায় তাদের জায়গা সম্পত্তি বেহাত হচ্ছে ।মামলা করেও অতি সহজে ভূমি উদ্ধার করা যাচ্ছে না ।
এদিকে প্রবাসীরা সারা জীবন ভাই ,বোনকে সাহায্য করার পরও তাঁরাই এখন জাল দলীল তৈরি ও বাড়ি ঘর দখলের বেশী পাঁয়তারা করছে ।প্রবাসীদের জমি দখলের শতকরা ৯৫ টি ঘটনা ঘটছে নিজের ভাই ভাতিজার দ্বারা ।
গত সপ্তাহে পূর্ব লণ্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের এক মসজিদের মুয়াজ্জিন আমার বাসায় আসেন ।তিনি একজন আলেম ।বাড়ি জগন্নাথপুর উপজেলায় ।তিনি অভিযোগ করেন যে -তাঁর আপন ভাতিজা বাংলাদেশে গেলে তাঁকে হেনস্থা করার জন্য হুমকি
দিচ্ছে ।সে গ্রামের বাড়িতে মাওলানার পরিচালনাধীন হাফেজী মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়েছে ও হাফেজ সাহেবকে বিদায় করে দিয়েছে ।মুয়াজ্জিন সাহেবরা দুই ভাই ।বড় ভাই মারা গেছেন ।এখন বাড়িও ভাগ করতে দিচ্ছেনা ।ভাতিজা বলছে -সিলেটের বাসার অর্ধেক তাকে দিতে হবে ।অথচ এ বাসার উনার সন্তানরা করেছে ।
পরে এ অভিযোগের তদন্তের জন্য বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাধ্যমে প্রবাসী অভিযোগ সেলে একটি অভিযোগ পাঠানো হয় ।
শেডওয়েল এলাকায় বসবাস করেন একজন ব্যবসায়ী ।সিলেট শহরের মদিনা মার্কেটে তাঁর চার তলা একটি বাড়ি রয়েছে ।সারা জীবন ভাই ভাতিজাদের সাহায্য করেছেন ।এক ভাতিজাকে লণ্ডন এনেছেন ।বিশ্বাস করে বড় ভাইকে তিন মাস থাকার জন্য একটি ফ্লাটে বসবাসের সুযোগ দিয়েছিলেন ।এখন বড় ভাই ও পরিবারকে বাসা থেকে সরাতে পারছেন না ।প্রবাসী অভিযোগ সেলে বিচার দিয়েও কোন ফল হচ্ছেনা ।

ওয়াপিং এর বাসিন্দা একজন প্রবাসী অভিযোগ করেছেন যে -আপন বোনকে অস্থায়ী ভাবে থাকার জন সিলেট শহরের শাপলা বাগে নব নির্মীত বাসায় রেখে এসেছিলেন ।এখন আপন বোন বাসা ছাড়ছেনা।সন্ত্রাসী দিয়ে হুমকি দিচ্ছে ।
এভাবে শত শত প্রবাসীর জায়গা ও বাসা বাড়ি দেশে থাকা ভাই ভাতিজারা দখল করে নিচ্ছে ।সারা জীবন বৃটেনে কষ্ট করে উপার্জিত অর্থ কড়ি দেওয়ার পরও শেষ জীবনে নিজস্ব সম্পত্তি থেকে বন্চিত হচ্ছেন ।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ ট্রাইবুনালের মাধ্যমে বিচার করে দেশে থাকা দুস্কৃতিকারীদের শাস্তির আওতায় আনা অত্যন্ত জরুরী বলে ভূক্তভোগীরা মনে করছেন।