প্রচ্ছদ

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪: সিলেট-৫ আসনে একজন যোগ্য প্রার্থীর অন্বেষণে

  |  ২০:১৪, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩
www.adarshabarta.com

Manual8 Ad Code

সাদেকুল আমীন:

জাতীয় সংসদ (ন্যাশনাল পার্লামেন্ট) বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী সংস্থা। এই জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয় ৭ই মার্চ ১৯৭৩ সালে (৫০ বছর আগে) আর এর আগে এটি ছিল বাংলাদেশের গণপরিষদ। এটি ১৯৭১ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত দেশের অস্থায়ী সংসদ ছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, এই অস্থায়ী সংসদে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন ও গৃহীত হয়।

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ হচ্ছে ইউনিক্যামেরালিজম (Unicameralism) বা এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা। এতে মোট ৩৫০টি সংসদীয় আসন রয়েছে যার মধ্যে ৩০০টি নির্বাচিত আসন এবং ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।

Manual1 Ad Code

জাতীয় সংসদের মেয়াদ সীমা হচ্ছে পাঁচ বছর। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পরপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন, দেশের মানুষ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদের ৩০০ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করে।

বাংলাদেশের বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থা হল ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট ভোটিং (First-past-the-post voting) যেখানে ভোটাররা একক প্রার্থীকে ভোট দেয় এবং সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হন।

জাতীয় সংসদের ৩০০ জন সরাসরি নির্বাচিত সদস্য নির্বাচনের জন্য গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে ১১টি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হয় যথাক্রমে; প্রথম – ৭ই মার্চ ১৯৭৩, দ্বিতীয় – ১৮ই ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯, তৃতীয় – ৭ই মে ১৯৮৬, চতুর্থ – ৩রা মে ১৯৮৮, পঞ্চম – ২৭শে ফেব্রুয়ারি ১৯৯১, ষষ্ঠ – ১৫ই ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬, সপ্তম – ১২ই জুন ১৯৯৬, অষ্টম – ১লা অক্টোবর ২০০১, নবম – ২৯শে ডিসেম্বর ২০০৮, দশম – ৫ই জানুয়ারি ২০১৪ এবং সর্বশেষ একাদশ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয় ৩০শে ডিসেম্বর ২০১৮ সালে।

কিন্তু, এই ১১টি সাধারণ নির্বাচনের মধ্যে থেকে অল্প কয়েকটি নির্বাচন ছাড়া বাকি প্রায় সবগুলোতেই জনগণের সাংবিধানিক অধিকারের প্রকৃত প্রতিফলন দেখা যায়নি।

নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা  অনুযায়ী, বাংলাদেশের দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচন আগামী ৭ই জানুয়ারি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, শেষ পর্যন্ত দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিবে আসলেই কি এ নির্বাচন করা সম্ভব হবে কি না।

Manual6 Ad Code

আমরা জানি যে, জাতীয় সংসদ হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী সংস্থা আর এতে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা হলেন আইন প্রণেতা। সংবিধান অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য একজন প্রার্থীর যোগ্যতার মানদণ্ড হচ্ছে – প্রার্থীকে বাংলাদেশের একজন নাগরিক হতে হবে এবং তার বয়স ন্যূনতম পঁচিশ বছর হতে হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে এটা খুবই  লক্ষণীয় যে, জাতীয় সংসদ বেশ আকর্ষণীয়, মজার ও বিনোদনের জায়গা হয়ে উঠেছে। এটা ইন্টারেষ্টিং যে, জাতীয় সংসদে এখন পেশাদার ও সেমি-পেশাদার রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি ফুটবলার-ক্রিকেটার, গায়ক-গায়িকা, নায়াক-নায়িকাসহ হিরো-হিরোইনদের উপস্থিতি বিশেষভাবে লক্ষণীয়।

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ২০২৪-এ মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীদের মধ্যেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি এবং এবারও এই সমস্ত গুণাবলী সম্পন্ন বিপুল সংখ্যক প্রার্থী রয়েছেন।

সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) – এটি সিলেট জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ২৩৩নং আসন। লক্ষণীয় যে, এবার এ আসনে  দলীয় এবং স্বতন্ত্রভাবে মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীর সংখা মোট ৭ জন। এইসব প্রার্থীদের মধ্যে জকিগঞ্জ উপজেলা থেকে ৬ জন আর কানাইঘাট উপজেলা থেকে ১ জন প্রার্থী।

বিশেষ করে এবার সিলেট-৫ আসনে সব প্রার্থীর মধ্যে থেকে একজন প্রার্থীকে আমার কাছে অত্যন্ত অনন্য মনে হয়েছে। তিনি কানাইঘাট উপজেলা থেকে একমাত্র মনোনীত প্রার্থী যিনি একজন সাবেক বিচারপতি, ব্যারিষ্টার মাওলানা কুতুবউদ্দিন আহমদ শিকদার এমবিই।

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একজন আইন প্রণেতার মধ্যে যে সব গুণাবলীর প্রয়োজন তাঁর মধ্যে প্রায় সবগুলো বিদ্যমান আছে। বিশেষ করে, আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অতুলনীয়। এক্ষেত্রে, তিনি ত্রিমাত্রিক গুণে গুণান্বিত। তিনি বাংলাদেশ থেকে মাদ্রাসা শিক্ষিত, ইংল্যান্ডে থেকে আইন বিষয়ে উচ্চ শিক্ষিত এবং এর পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ বিচার বিভাগের একজন প্রাক্তন জজ। বিশেষ করে ধর্মীয় আইন, ইংলিশ আইন এবং বাংলাদেশের আইনের বিষয়ে তাঁর জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সমন্বয় রয়েছে। তিনি একজন আপাদমস্তক অলরাউন্ডার।

Manual3 Ad Code

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ১,৮৯৬ জন প্রার্থী ৩০০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এইসব প্রার্থীদের মধ্যে, তিনি সম্ভবত একমাত্র প্রার্থী যিনি এই ত্রিমাত্রিক গুণের অধিকারী। তিনি তাঁর ত্রিমাত্রিক গুণাবলীর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং আইন প্রণয়নে যথাযথ ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে আমরা মনে করি। এলাকার জনগণ তাদের মূল্যবান ভোট একজন যোগ্য প্রার্থীকে দেবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

________­­­­­­­­­­­_________

Manual5 Ad Code

লন্ডন, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code