প্রচ্ছদ

ঢাকায় সমাহিত মাহমুদুরই সিলেটের হারিছ চৌধুরী : ডিএনএ টেস্টে প্রমাণিত

  |  ১৮:৫৫, নভেম্বর ১২, ২০২৪
www.adarshabarta.com

Manual5 Ad Code

আদর্শবার্তা ডেস্ক :
ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে ঢাকায় মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটি সিলেটের হারিছ চৌধুরীর। এর মাধ্যমে এক সময়ের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হারিছ চৌধুরীর রহস্য উন্মেচিত হলো।
গত ৬ নভেম্বর আদালতে ডিএনএ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে পাওয়ার পর এই তথ্য নিশ্চিত হয়েছে।
জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন হারিছ চৌধুরী। ওয়ান-ইলেভেনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে তিনি আড়ালে চলে যান। এরপর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হারিছ চৌধুরী নাম পাল্টে তিনি হয়ে যান প্রফেসর মাহমুদুর রহমান। ২০২১ সালে তিনি মারা গেলে সেই মাহমুদুর রহমান পরিচয়েই তাকে ঢাকার সাভারে সমাহিত করা হয়। কিন্তু তিনি যে হারিছ চৌধুরী সেটি প্রমাণ করা অনেকটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত ৫ সেপ্টেম্বর বাবার পরিচয় শনাক্তে মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। আদালত লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দেন। আদালতের নির্দেশে গত ১৬ অক্টোবর হারিছ চৌধুরীর লাশ উত্তোলন করে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি।
খবরে প্রকাশ, গত ১৬ অক্টোবর সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর জালালাবাদ এলাকার জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদরাসা কবরস্থান থেকে ডিএন পরীক্ষার জন্য মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটি কবর থেকে তোলা হয়। এর আগে গত ২১ অক্টোবর হাইকোর্টের আদেশে প্রয়াত বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিত করতে তাঁর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে ডিএনএ নমুনা জমা দেন।
হারিছ চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হারিছ চৌধুরী ৬৮ বছর বয়সে ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। তারপর ঢাকার অদূরে সাভারে একটি মাদরাসায় মাহমুদুর রহমান নামে তাঁকে দাফন করা হয়। তখন আবার হঠাৎ করেই আলোচনায় আসে হারিছ চৌধুরীর নাম।
জানা যায়, হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা হয়। এছাড়া দুদকের দুর্নীতি মামলা ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাঁর যথাক্রমে ৩ ও ৭ বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন আদালত। ২০১৮ সালে ইন্টারপোলে তাঁর বিরুদ্ধে রেড নোটিশ ইস্যু করা হয়।

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code