প্রচ্ছদ

রাজলক্ষ্মী মৌসুমী-এর কবিতা ‘নারী তুমি বজ্রের মতো গর্জে ওঠো’

  |  ১১:০৩, অক্টোবর ০৯, ২০২০
www.adarshabarta.com

নারী তুমি বজ্রের মতো গর্জে ওঠো

রাজলক্ষ্মী মৌসুমী

অচলায়তনে আর নয়, এবার রুখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।
নিজেই নিজের পরিচালক হয়ে এসো আমরা হাতে হাত মিলাই।
এইতো সময় বিস্ফোরণ ঘটানোর।
পশু হত্যা করে আমরা আহার করি। এবার আসো নর পশু ধর্ষককে হত্যা করে কুকুরের পেট ভরাই।
চাওয়া পাওয়ার আশা আর নাইবা করলে?
নারী জাতি এগিয়ে এসো, এক হও, আসোনা আগুনের মতো হই? মরিচের গুড়ো হাতে রাখো, অস্ত্রের মতো ব্যবহার করো।
চোখ মুখে ছিটিয়ে দাও।
সূর্য তোমার এতো আলো এতো তেজরশ্মি? একটু আলোর জ্যোতি আমাদের দাওনা?
তুমি বিশ্বকে আলোকিত করো প্রতিদিন।
আমরা কী পারিনা? ধর্ষকের বিচার করতে? বুদ্ধি দাও, শক্তি দাও ভিক্ষা চাই।
সূর্য তোমার আলোয় পৃথিবীর অন্ধকার সরে যায়।
তোমার উত্তাপে শুকনো পাতায়, ডালে ডালের ঘর্ষণে আগুনের সৃষ্টি হয়। সেই দাবানলের উত্তাপটুকু আমাদের দাও। পুড়ে ছারখার করে দেই ধর্ষককে।
তুমি তো উদার, তোমার কাছে উদারতা চাইনে,চাই নরপশুকে ধ্বংস করতে।
সেই শক্তিটুকু দাও আমাদের।
আমরা দাবানলের স্ফূলিঙ্গে নরপশুদের গায়ে প্রলেপ দিতে চাই। আর যেনো সোজা হয়ে দাঁড়াতে না পারে।
মাটির মতো বোবা আর নই আমরা।
বন মানুষের আগুনের আবিষ্কারের কথা ভুলিনি এখনও।
সভ্য শিক্ষিত মানুষ আজ ভদ্রবেশী শিক্ষাগুরু।
তারাই আজ ধর্ষক, তারাই আজ রক্ষকই ভক্ষক রূপে নরপশু।
আমরা আজ বলির পাঠা জলে, স্থলে, জঙ্গলে, যানবাহনে, রাস্তায় বাবা / মায়ের সন্মুখে নিজের ঘরে লাঞ্ছিত।
মা হাত ধরে কন্যাকে নিয়ে যায় স্কুলে নিরাপদের জন্য।
সেখানেও আমরা নিরাপদ নই।
আমরা যে যার কর্ম নিয়ে পৃথিবীতে এসেছি।
আমরা সভ্য জাতি, আমরা বিচক্ষণ, আমরা বৈজ্ঞানিক, আরো কতো কী? তাই তো
একজন আরেকজনকে দোষ দিয়ে নিজেকে গুটিয়ে রাখি।
আমরা সভ্য জাতি, তাই তো কুসন্তান হলে আমরা শিক্ষকরা, প্রতিবেশীরা বাবা মাকে দোষ দেই। সমাজে যখন এই কু -কাজ গুলি হয় আমরা তখন মাতৃতুল্য জননেত্রীকে ইচ্ছামতো গাল মন্দ করি।
কেনো করি বলুন তো?
উনারা কী শিখিয়ে দিয়েছেন? বা করার জন্য শিক্ষা দিয়েছেন?
সূর্য তোমার প্রখর তাপে যেমন শুকনো পাতায় আগুন ধরাও, তেমনি প্রতিটি নারীকে আগুনের লেলিহান দিয়ে অগ্নিনারীতে তৈরি করে দাও।
ধর্ষকের বিচার করো নারী জাতি তুমি সেই ক্ষমতা হাতে তুলে নাও।
সূর্য তুমি শান্ত হয়ে গোধূলি বেলায় যখন সাগরের বুকে মিশে যাও
দূর থেকে আমরা তোমার ভালোবাসা উপভোগ করি। তেমনি নর- নারীর ভালোবাসার ইচ্ছেটুকুও নিতান্তই নিজের, জোরপূর্বক নয়।