প্রচ্ছদ

রাজলক্ষ্মী মৌসুমী-এর কবিতা ‘শরতের ভোর’

  |  ১৭:১০, আগস্ট ২৪, ২০২০
www.adarshabarta.com

Manual5 Ad Code

শরতের ভোর

রাজলক্ষ্মী মৌসুমী

Manual2 Ad Code

শিউলি তুমি শরতের প্রাক্কালেই
উচ্ছলিত হয়ে আনন্দোচ্ছ্বাসের
পরশের আভাস ডালে ডালে
পাতায় পাতায় বিগলিত।
ভোরের উষা লগনে শিউলি ফুলের
প্রাঙ্গণে রাশি রাশি ফুল বিছিয়ে রাখো
দেবতার পূজোর অর্ঘ্যের তরে।
ভোরের হিমেল হাওয়ায় তোমার দেহ
থেকে বিচ্যুত হয় অগণিত ফুল।৷ তাইতো–
শিউলি ফুলের প্রাঙ্গণে সুবাস ছড়িয়ে
পরে চারদিক।
শারদীয়া মায়ের আগমনী বার্তা
মৌ মৌ গন্ধে মনকে পুলকিত করে দেয়।
কিন্তু কেনো বিষাদের
আভাস তোমার শারদীয় মেঘের
ভেলায়?
ঘন কালো মেঘেরচ্ছটা এখনও তোমার
স্বচ্ছ মেঘের ভেলায় ছায়ার মতো
পিছু পিছু বিচরণ করে আড়াল করে রাখে তোমায়।
বর্ষার ঝিরিঝিরি বারিধারায়
শরতের অবয়ব ঢেকে আছে এখনও।
শরতের মেঘমালাকে আমি খুঁজে মরি।
স্বপ্নীল মনে বড় সাধ জাগে, ——– কাশফুলের মতো হেলেদুলে মেঘপুঞ্জে
ডানায় ভর করে যাই চলে —- ।
কিন্তু কই কাশফুল স্তব্ধ। তার সারা
অঙ্গে কষ্টের ভার।
শরতের মেঘমালা যখন অবলীলায়
ভেসে বেড়ায় কাশফুলও ঠিক তখনি
প্রকৃতির মনোরঞ্জনে আকৃষ্ট হয়।
শিউলির প্রাঙ্গণে এখনও জলে থৈ থৈ।
এই শিউলি ফুলের গালিচায় কত যে
এলিয়ে দিয়েছি নিজেকে।
মনে পরে শারদীয় প্রভাতে শিশির বিন্দু
টিপ টিপ করে মুক্তোর মতো নিজেকে
ধরে রাখে কচুপাতায়, দূর্বাঘাসে।
শারদীয়া ভোরের আমেজ এখনও
পাইনি কোন সাড়া। পূজোর আনন্দে
কখন যে লাজনম্র বধু আলতা পায়ে,
নূপুর পরে, শিশির কণা মাখবে গায়ে।।
শারদীয়া মাকে প্রণাম জানাই
তুমি এসো জড়া জীর্নতাকে দূর করে
পৃথিবীর প”রে।।

Manual7 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code