প্রচ্ছদ

সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হলেন যাঁরা

  |  ০৭:৪৬, অক্টোবর ১৮, ২০২২
www.adarshabarta.com

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

সিলেটে জেলা পরিষদ নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত প্রতি উপজেলার নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রে এ ভোট গ্রহন করা হয়।

বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী সাধারণ সদস্য পদে সিলেট জেলা পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডে (সদর উপজেলা) মাওলানা মো. মুছাদ্দিক আহমদ বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

২ নং ওয়ার্ডে (দক্ষিণ সুরমা উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতি হাতি প্রতীকে ৭০টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ মকবুল হোসেন টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ১০টি ভোট।

৩ নং ওয়ার্ডে (ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা নাহিদ হাসান চৌধুরী বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ৩৭টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহিদুর রহমান রুমান তালা প্রতীক নিয়ে ২৮টি ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও আরেক প্রার্থী আবদুল আউয়াল কয়েস হাতি মার্কায় পেয়েছেন ২৪টি ভোট।

৪ নং ওয়ার্ডে (বালাগঞ্জ উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা টিউবয়েল প্রতীক নিয়ে লড়াই করে মো. নাসির উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন।

৫ নং ওয়ার্ডে (ওসমানীনগর উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হামিদ সিএনজি অটোরিকশা প্রতীকে ৪৩টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

৬ নং ওয়ার্ডে (বিশ্বনাথ) উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ ৭০টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সহল আল রাজি চৌধুরী বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩১টি ভোট।

৭ নং ওয়ার্ডে (গোলাপগঞ্জ উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফয়জুল ইসলাম ফয়ছল বৈদ্যুতিক পাখা মার্কায় ৬৯টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বির মধ্যে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এম. মুজিবুর রহমান মুজিব তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৩১টি, সমাজসেবী মো. ফজলুর রহমান জসিম ঘুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২৮টি ও আওয়ামী লীগ নেতা স্যায়িদ আহমদ সুহেদ অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ২৫টি ভোট।

৮ নং ওয়ার্ডে (বিয়ানীবাজার উপজেলা) খসরুল হক খসরু উট পাখি প্রতীকে ৪৭টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

৯ নং ওয়ার্ডে (জৈন্তাপুর উপজেলা) মোহাম্মদ শাহজাহান টিউবওয়েল প্রতীকে ৫৬টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিদের মধ্যে মো. মুহিবুল হক তালা প্রতীকে ৪৯টি ও মোহাম্মদ নুরুল আমিন অটোরিকশা প্রতীকে ১২টি ভোট পেয়েছেন।

১০ নং ওয়ার্ডে (গোয়াইনঘাট উপজেলা) সুবাস দাস হাতি প্রতীক নিয়ে বিজয় লাভ করেছেন।

১১ নং ওয়ার্ড (কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটের আংশিক) আওয়ামী লীগ নেতা আফতাব আলী কালা মিয়া অটোরিকশা প্রতীকে ৭২টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শাহ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬টি ভোট।

১২ নং ওয়ার্ডে (কানাইঘাট উপজেলা ও জকিগঞ্জের আংশিক) জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ পলাশ বিজয়ী হয়েছেন।

মোস্তাক আহমদ পলাশ ১২০টি ভোটের মধ্যে সবোর্চ্চ ৯১টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সদস্য ইমাম উদ্দিন ২৪টি ভোট পেয়েছেন। অপর প্রার্থী ফখরুল ইসলাম ফ্যান প্রতীকে ১টি আর এহসানুল হক জসিম হাতি প্রতীক নিয়ে ২টি ভোট পেয়েছেন।

১৩ নং ওয়ার্ডে (জকিগঞ্জ উপজেলা) ইফজাল আহমদ চৌধুরী টিউবওয়েল প্রতীকে ৬৫টি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতের মধ্যে মোহাম্মদ শামীম আহমদ বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ৪৯টি ও আবদুর রহমান তালা প্রতীকে ৩টি ভোট পেয়েছেন।

সিলেটে এবার ১৩টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড মিলিয়ে সদস্য প্রার্থী ছিলেন ৬৪ জন। এর মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৭ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৭ জন।

এবার সিলেটে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রার্থী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। ফলে নির্বাচনের আগেই তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।