প্রচ্ছদ

আমার চেতনায় বিশ্বনেতা বঙ্গবন্ধু

  |  ১৬:০৮, মার্চ ২৬, ২০২১
www.adarshabarta.com

:: নুর উন নাহার মেরী ::

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু মহিলা পরিষদ (একটি গবেষণামূলক স্বেচ্ছাসেবী ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান) দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তন্মধ্যে মানববন্ধন, র‍্যালি, সেমিনার, সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটি হাতে নিয়েছে তা’হলো প্রতি বছরের মতো এবারও ‘চিরবিস্ময়-চির অম্লান’ নামে একটি স্মরণিকা প্রকাশ এর উদ্যোগ নিয়েছে। হাতে সময় অতি সীমিত, তথাপি স্মরণিকায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ওপর লেখা দেওয়ার নির্দেশ পেয়ে কিছুটা হতবিহ্বল হয়েছি। তবে মনের ভিতর যে সুপ্ত বাসনা দীর্ঘদিন লালন করে এসেছি তা বাস্তবায়নের একটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে আত্মতুষ্টি বোধ করছি। বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের এক মহানায়ক। তাকে নিয়ে কিছু লিখতে যাওয়া আমার জন্য ধৃষ্টতাই বটে, তথাপি হৃদয়ের গভীর গহীনে এই মহানায়কের জন্য আজন্ম লালিত শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, তার প্রথম উন্মেষ ঘটে যখন আমি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের করাচি শহরে অবস্থান করছি (বাবার চাকরীর সুবাদে), বাংলাদেশে ৬৯-এ যখন ছয় দফা আন্দোলন শুরু হয়, তখন থেকেই বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ নেতৃত্বে পাকিস্তানে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালি মধ্যে উপনিবেশ শাসন, শোষণ, রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে জাতিসত্তা বা জাতীয় চেতনার উন্মেষ ঘটে।১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের সূত্র ধরেই কালক্রমে জন্মলাভ করে এক স্বতন্ত্র নতুন বাঙালি জাতীয়তাবাদ। এই নতুন জাতীয়তাবাদী চেতনার ভিত্তি রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অবিস্মরণীয়। পশ্চিম পাকিস্তানে থাকার কারণে শোষণ, বঞ্জনা- বৈষম্যের মধ্য দিয়েই আমার বেড়ে ওঠা- কৈশোর জীবনেই আমার মরহুম পিতার মুখে সর্বদা শুনতাম পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালিরা পাকিস্তান রাষ্ট্রের মোট জনগোষ্ঠীর সংখ্যাগরিষ্ঠ। অথচ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চাওয়া -পাওয়া, আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে পাকিস্তানের রাজধানী পূর্ব বাংলায় না করে তো হয় করাচিতে। বয়বৃদ্ধির সাথে বিশেষ করে ৬ দফা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট বিভিন্ন কর্মসূচি এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিয়ে কাজ করতে গিয়ে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারি- পূর্ব বাংলার ইতিহাস: শোষণের ইতিহাস, পূর্ব এর আঁশ দিয়ে অর্জিত হাজার হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে অথচ ব্যয় করা হতো পাকিস্তানের উন্নয়নমূলক কাজে। আর পূর্ব বাংলার মানুষরা দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে। তাই পশ্চিমাদের বৈরী মনোভাবের নগ্নরূপ আমার কৈশোর জীবনেই মানুষপটে বিদ্রোহের দানা বেঁধে ওঠে। ১৯৬৪ সালে অপ্রত্যাশিতভাবেই প্রাদেশিক পরিষদে বিল পাস করল, উর্দুই হবে এখানকার শিক্ষার একমাত্র বাহন। এরই ফলশ্রুতিতে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী থাকাবস্থায় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটিতে যোগদান করি। সেই কমিটির সভাপতি ছিলেন প্রফেসর এম. আর. খান আর সাধারণ সম্পাদক এবিএ সাখাওয়াত উল্লাহ। এই সংগঠনের মাধ্যমে আমর ছাত্র রাজনীতিতে পদার্পণ। পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালে এই পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র সমিতি ছাত্রলীগ-এ রূপান্তরিত হয়। ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় সদস্য হয়ে পূর্ব পাকিস্তানে সকল আন্দোলন সংগ্রামে একাত্মতা প্রকাশ করে হাতে নেওয়া হয় নানামুখী কর্মসূচি কর্মসূচি। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান ছাত্রলীগের বিপ্লবী ছাত্র নেতা ফরিদুল আলম এর আঙ্গুল ধরে ছাত্র রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ি। ফরিদুল আলম(সম্পর্কে আমার আপন মামা) ছিলেন বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য, তার রাজনৈতিক আদর্শ ও দর্শনের অন্যতম পূজারী। সেই প্রণেতার তার কাছ থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নৈকট্য লাভের সুযোগ লাভ করি।বিশেষ করে ১৯৬৫ সালের ৬ ও ৭ জুন প্রাদেশিক আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভায় দলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে গণ-আন্দোলন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় সংকল্প ঘোষণা করেন। আইয়ুব মোনায়েম শাসকচক্র এই ঘোষণায় অনেকটা ভীতু হয়ে যায়, ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমেই মূলত স্বায়ত্তশাসন আন্দোলনের সূত্রপাত। তারই ধারাবাহিকতায় ৬ দফা আন্দোলন। এই ৬ দফা মুক্তি সনদ আন্দোলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর চেতনা আমার কৈশোর চিত্তকে আন্দোলিত করে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল ১৭ মার্চ ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ার এক নিভৃত পল্লীতে। ঐতিহাসিক ১৭ মার্চ এই মহান নেতার জন্মবার্ষিকীর মাহেন্দ্রক্ষণে তার বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলতে চাই। বঙ্গবন্ধু শুধু জাতীয় নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন বিশ্বের মুক্তকামী মানুষের মহান নেতা বিশ্বনেতা। একটি দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, তাদের শর্তহীন সমর্থন লাভ করেছিলেন। সেই সমর্থনের ভিত্তিতে স্বাধীনতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিলেন।১৯৫২ সালে মহান ভাষা আন্দোলনের যে বীজ রোপিত হয়েছিল সেই হতে শুরু করে তার২৪ বছর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সংগ্রামের ফসল স্বাধীনতার সংগ্রাম। এই সংগ্রামী জীবনে নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম উপহার দিয়েছেন। তাই দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে হয় এই মহান নেতার জন্ম না হলে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে এই দেশটির অভ্যুত্থান ঘটত না। আর বাঙালি জাতি পৃথিবীর বুকে উঁচু করে দাঁড়াতে পারত না। সমকালীন ইতিহাস দেখা যায়, পৃথিবীর কোন নেতাই তাদের নেতৃত্বে বিশ্বের সাড সাত কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেন নাই। যুক্তরাষ্ট্রের কালজয়ী প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিনকন যখন নিজ দেশের বর্ণবাদ আন্দোলন শ্রেষ্ঠ তার দেশের গৃহযুদ্ধের যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন তখন ওই দেশের জনসংখ্যা ছিল মাত্র তিন কোটি। তার মধ্যে ২কোটি ৯০ লক্ষ তার প্রতি সমর্থন দেন। বাকি ১০ লক্ষ স্বপক্ষে ছিলেন না। বিশ্বের আর এক আলোড়ন সৃষ্টিকারী এবং দ্বিতীয় যুদ্ধের মহানায়ক উইন চার্চিল যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তখন ইংল্যান্ডের লোক সংখ্যা ছিল ৩ কোটি রকম কম। ইন্দোনেশিয়া মহান নেতা সুকর্ণ যখন স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দেন তখন দেশটির জনসংখ্যা ছিল ৫ কোটিরও কম। তাছাড়া মুক্তিকামী মানুষের মহান দক্ষিণ ভিয়েতনামের হো চি মিন জামাল উদ্দিন নাসের তাদের বড় রাজনৈতিক জীবন সংগ্রামের ইতিহাস থেকে জানা যায় সাড়ে সাত কোটি মানুষকে এক পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করার বিরল দৃষ্টান্ত কেবল বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্থাপন করতে পেরেছিলেন। তাই তিনি দেশ জাতি রাষ্ট্রের সীমানা ছাড়িয়ে হতে পেরেছিলেন বিশ্বনেতা। বঙ্গবন্ধুর যে কত বড় মাপের নেতা ছিলেন তা আমরা উপলব্ধি করতে পারি তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বিভিন্ন ঘটনা এবং রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ঐতিহাসিক ঘটনার নায়ক বঙ্গবন্ধুর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং অবদানে তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা বিচক্ষণতা এবং দূরদর্শিতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া যায়। বাংলার ইতিহাসের অন্যতম উজ্জ্বল ঘটনা ঘটনা ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হায়নাদের কবল থেকে মুক্তি পেয়ে পাকিস্তান থেকে লন্ডন হয়ে তার স্বপ্নের সোনার বাংলায় প্রত্যাবর্তনের সময় লন্ডন হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করলে বৃটিশ সরকারের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। পরের দিন নয় জানুয়ারি লেডিস প্রধানমন্ত্রী অ্যাড হিথ এর আমন্ত্রণে 10 নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌছলে সেখানে ঘটে এক অভূতপূর্ব ঘটনা। যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূর্য কখনো অস্ত্র যায় না বলে কথিত সেই গ্রেট বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ তার দেশ ও জাতির ঐতিহ্য ও সম্ভ্রম কে দিয়ে বাংলাদেশের মতো হতদরিদ্র সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান কে বহনকারী গাড়ীর দরজা খুলে দিয়ে তাকে স্বাগত জানালেন। বাংলার এই রাখাল রাজা কে এভাবে সম্মান জানাতে দেখে উপস্থিত সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথকে ব্রিটিশ জাতির মান মর্যাদা রাষ্ট্রীয় প্রটোকল নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করলে উত্তর অ্যাডওয়ার্ড হিত স্মিত হেসে বলেছিলেন, আমি কোন রাস্ট্র প্রধান কে সম্মান জানায় নি, আমি সারা বিশ্বের ঠিক আমি গণতন্ত্রকামী মানুষের মহান নেতা এবং একজন নেতাকে সম্মান জানিয়েছে। ঐতিহাসিক ঘটনা সত্য এবং বাস্তব যে বঙ্গবন্ধু কেবল বাংলাদেশের একজন জাতীয় নেতা ছিলেন না তিনি ছিলেন সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের মহান নেতা বিশ্বনেতা। বিশ্ব রাজনীতির আরেক ঐতিহাসিক ঘটনা:১৯৭৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আল প্রেসিডেন্ট হুয়ারি বুমেদীনের আমন্ত্রণে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ দেশ সমূহের যোগদান করেন বঙ্গবন্ধু যোগদান করেন। ঐ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বলেছিলেন বিশ্ব আজ শোষক এবং শোষিত এ দুই ভাগে বিভক্ত। বঙ্গবন্ধু আরো বলেছিলেন শোষিত বিশ্বকে বাঁচাতেই হবে এটাই আমার সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শেষ হওয়ার সাথে সাথে কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ট্রো বঙ্গবন্ধু কে জড়িয়ে ধরিয়ে বলেন- মুজিব, শোষকের বিরুদ্ধে শোষিতের সংগ্রাম আমারও। তবে আজ বিশ্বকে দু’ভাগে বিভক্ত করে চিহ্নিত হয়ে গেলে, কাজেই সমাধান। ফিদেল ক্যাস্ত্র পরোক্ষভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার কোথায় ইঙ্গিত করে বলেছিলেন। ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর চিলির রাজধানী সান্টিয়াগোতে বিশ্ব শান্তি পরিষদে প্রেসিডিয়াম সম্মেলনে বাঙালি জাতি তথা সমগ্র তৃতীয় বিশ্বের জনগণের সংগ্রামের অনন্য সহযাত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক চিন্তা-চেতনা এবং বিশ্ব শান্তি, প্রগতি, স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী ও নিপীড়িত জনগণের অকৃত্রিম বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ আয়োজিত শান্তি পদক গ্রহণ অনুষ্ঠানে জোট নিরপেক্ষ রাষ্ট্র সমূহের বঙ্গবন্ধুর উদ্বোধনী ভাষণে আবেগ আপ্লুত কন্ঠে বলেছিলেন, এ বিরল সম্মাননা কোন ব্যক্তিবিশেষের বিশেষের জন্য নয়, এ সম্মাননা বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সেনানীদের, এ সম্মাননা সমগ্র বাঙালি জাতির, বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের। বন্ধুর প্রতিটি কথা এক একটি দর্শন ও দিক নির্দেশনা। চিন্তা-চেতনা, আত্ম উপলব্ধি এবং আত্মত্যাগের মহিমা, তাঁর বাঙময়তা সবকিছু মিলিয়ে তিনি এক কিংবদন্তি। তিনি বাঙালি জাতির গৌরব ও অহংকার।তাই তিনি শতাব্দী মহানায়ক। তাই অন্নদা শঙ্কর যথার্থই বলেছেন – যতকাল রবে পদ্মা, যমুনা, গৌরী, মেঘনা বহমান ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান। মহাত্মা গান্ধী যেদিন আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছিলেন, হোসেন শহীদ সরোয়ারদি তখন বলেছিলেন – weep India weep until they heart breaks ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিশ্ব নেতা বঙ্গবন্ধু যখন সপরিবারে ঘাতকের গুলিতে ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ডে নিহত হন – হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ওই সময় যদি জীবিত থাকতেন তাহলে নিশ্চয় বলতেন- weep Bangladesh weep until they heart breaks ।

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাগো নারী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাস করেন।