প্রচ্ছদ

সমাজ বদলে তরুণেরা

  |  ১০:১২, আগস্ট ১৬, ২০২০
www.adarshabarta.com

Manual7 Ad Code

:: কামরুল ইসলাম বুলবুল ::

বহু শ্রেণীর মানুষের দল নিয়ে দুনিয়ার সর্বত্র সমাজ গঠিত হয়।আর সকল সমাজ সুগঠিত করতে যুগে-যুগে তরুণেরা চালিকাশক্তি হয়েছে।কারণ তরুণদের আছে গতি, আছে মেধা ও
কিছু করার বিপুল বাসনা।তাদের এ বাসনা পুরণে কাজ করে নব-নব স্বপ্ন, কোমল সুন্দর আশা ও প্রত্যাশা। আর এ প্রত্যাশাগুলো ও তাদের দৃঢ়-পণ
একত্রিত হয় তাদের যুগোপযোগী কল্যাণকর কর্মকাণ্ডে। যে কর্ম সমাজ বদলে অগ্রণী ভূমিকা রাখে।সমাজ আলোকিত ও বিকশিত করতে
তরুণেরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাদের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা সমাজের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তরুণরা যখনই সংঘবদ্ধ হয়েছে তখনই সমাজ ও দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। আমাদের নবী বিশ্বের রহমত
মোহাম্মদ(সঃ) বাল্যকালে সমাজের বিভীষিকাময় পরিস্থিতি অবলোকন করে গঠন করেন উদ্যমী তরুণদের নিয়ে ঐতিহাসিক “হিলফুল-ফুজুল”
সত্যিকারের শান্তি-সংঘ। আরবদের বৃথা আভিজাত্যের ওসব রক্তক্ষয়ী যুদ্ধগুলো মানবতার জন্য বড়ই করুণ হয়েছিল।উঁনার সংঘ সমাজে
শান্তির বাতাস বইয়ে দেয়ার জন্য অন্ধকার আরব-বুকে হয়ে উঠেছিল এক শাশ্বত বাতিঘর যা মরুভূমির মাঝে অতি কাঙ্ক্ষিত এক মরুদ্যান।
ইসলাম আবির্ভাবের সময় প্রথমদিকে- তরুণেরাই বিনা-দ্বিধায় শের-শির নিয়ে শান্তির দ্বীনের পতাকাবাহী হয়েছিল। ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ও প্রচার প্রসারে ওই তরুণেরাই বুকের তাজা লাল খুন দিয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিল। রাসূল (সঃ) সদাই স্নেহ করতেন এই তরুণ সাহাবাদের। তাঁদের উদ্বুদ্ধ করতেন শান্তি প্রতিষ্ঠায় শাহাদা’ লাভের মহিমায় মহিমান্বিত হওয়ার। তরুণ সাহাবাদের জন্য নবীজির অকুণ্ঠ ভালোবাসা সর্বজনবিদিত। প্রতিটি সমাজ স্বপ্নীল হতে তেমনি ভূমিকা রেখে চলেছে এই তরুণেরা। তরুণেরা পারে না এমন কাজ নেই। তারা তাদের শ্রম, মেধা, ঘাম ও রক্ত দিয়ে সমাজ সুন্দর ও সমুজ্জ্বল করে। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাষায়ঃ-
“এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য।”
তাদের এ পুণ্যময় কাজে আসুন
সহাস্যে শরিক হই; তাদের অগ্রযাত্রার
সেনানী হিসেবে। “।

Manual3 Ad Code

লেখক: কবি; শিক্ষা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, গোয়ালজুর আদর্শ তরুণ সংঘ সিলেট।

Manual5 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code