প্রচ্ছদ

বাংলাদেশে বিশ্বমানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টা ডা: গিয়াস উদ্দিন আহমদ

  |  ২০:৫৩, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
www.adarshabarta.com

সাদেকুল আমিন:

ডাক্তার গিয়াস উদ্দিন আহমদ যুক্তরাজ্যে বিশেষ করে ইস্ট লন্ডনের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে অত্যন্ত পরিচিত ব্যক্তিত্ব। তিনি একাধারে একজন কবি, সাংবাদিক, গবেষক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক।

তিনি ১৯৫৯ সালে সিলেট জেলার ওসমানীনগর উপজেলার কালাসারা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার প্রতি তাঁর বেশ আগ্রহ। তিনি একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি তাঁর নিজ এলাকায় দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেন। পাশাপাশি তিনি তাঁর এলাকায় শিক্ষা ও জ্ঞান-বিজ্ঞান বিস্তারের লক্ষ্যে কাজ করেন।  তিনি বালাগঞ্জ উপজেলার গোয়ালা বাজার এলাকায় কিন্ডারগার্টেন বা শিশুবিদ্যালয়, মাধ্যমিক স্কুল, মহিলা কলেজ ও একটি আদর্শ গণ পাঠাগারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।

জনাব গিয়াস উদ্দিন আহমদ ১৯৯৮ সালে স্বপরিবারে লন্ডন চলে আসেন। লন্ডনে আসার পর তিনি সাংবাদিকতার পাশাপাশি কাব্যগ্রন্থ, গবেষণাধর্মী লেখালেখি, সামাজিক সংগঠন ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেশা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।

ইতিমধ্যে তিনি তাঁর পারিবারিক ও পেশাগত জীবনের পাশাপাশি কাব্যগ্রন্থ ও গবেষণাধর্মী বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত অন্যান্য বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল; শরৎচন্দ্র চৌধুরীর মহাকাব্য ‘দেবীযুদ্ধ’ সম্পাদনা ও পুনর্মুদ্রণ, “বালাগঞ্জ: ইতিহাস এবং ঐতিহ্য”, “মসজিদের ইতিহাস (যুক্তরাজ্য ও বহির্বিশ্ব)”, প্রবাসী ব্রিটিশ বাঙ্গালীদের জীবন ও সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সর্বভারতীয় শ্রমিক নেতা, ১৯৪০ সালে International Labour Organisation (ILO) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট আফতাব আলিকে নিয়ে তাঁর লেখা “সমুদ্রজয়ী প্রবাসীর স্বপ্নদ্রষ্টা আফতাব আলি – অভিবাসনের ইতিকথা”, “একুশ শতকের মহাজাগরণ – সিরাজুল আলম খান: দর্শন ও চিন্তাধারা”,  সম্পাদিত বই “দারিদ্রমুক্ত পৃথিবীর স্বপ্নদ্রষ্টা ড: মুহাম্মদ ইউনূস”এবং প্রথম ইংরেজি বই “World’s First University – History of Ancient Education” সহ আরও অনেক।

বেশ কিছুদিন থেকে তিনি বিভিন্ন ছোট-বড় পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে তাঁর স্বপ্নের কথা – বাংলাদেশে বিশ্বমানের একটি ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আলাপ-আলোচনা ও সলা-পরামর্শ করে আসছেন।

আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে, তাঁর এই স্বপ্নের বীজ বপন হয় যখন তিনি তাঁর বই “World’s First University – History of Ancient Education” প্রকাশ করেন। এই বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে আমাজন অনলাইন প্রকাশনীর মাধ্যমে এবং এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে। কিন্ত তিনি শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিস্তার ও একটি বিজ্ঞানমনস্ক সমাজের স্বপ্ন দেখতেন সেই ছাত্র জীবন থেকে।

তবে, এখন তিনি তাঁর এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করছেন কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষের সাথে। প্রায় সবার কাছ থেকে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া ও সহায়তার প্রচুর প্রতিশ্রুতিও পাচ্ছেন।

যোগাযোগের এ ধারাবাহিকতা বজায় রেখে অতি সম্প্রতি যথাক্রমে ২২শে জুলাই এবং ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে লন্ডনে তিনি সমমনা কয়েকজন বন্ধু, সহকর্মী ও সুধীজন নিয়ে দু’টি গোল টেবিল আলোচনা অনুষ্ঠান করেন। এ দুই আলোচনা সভায় উপস্থিত সুধীরা বাংলাদেশে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সংক্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরেন।

এখানে উল্লেখ্য যে, বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিশ্বমানের গবেষণা কর্মক্ষমতা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। পাশাপাশি উচ্চ খ্যাতি, উচ্চ মানের ছাত্র, বিশ্বমানের শিক্ষাবিদ এবং বিশ্বমানের সুবিধা দ্বারাও চিহ্নিত করা হয়।

বর্তমানে তিনি বিশ্বমানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বেশ সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। তাঁর স্বপ্ন তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের যে কোন উপযুক্ত স্থানে প্রতিষ্ঠা করা। তিনি এর জন্য   যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশী শিক্ষানুরাগী সহ বিভিন্ন স্তরের লোকদেরকে সাথে নিয়ে একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির লক্ষ্যে প্রধান সমন্বয়কারির ভূমিকা পালন করছেন। সাথে সাথে তিনি ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্য সহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষানুরাগীদের সাথে সমন্বয়ের জোর প্রচেষ্টা করছেন।

আমরা বাংলাদেশে বিশ্বমানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার এই ভাল ও কঠিন কাজের সাথে সম্পৃক্ত ডাক্তার গিয়াস উদ্দিন আহমদ সহ সকল শুভাকাঙ্ক্ষী, সহযোগী ও সহকর্মীদের  আন্তরিক প্রচেষ্টার শুভকামনা করছি।