প্রচ্ছদ

মহাত্মা সফিকুল হক চৌধুরী : ব্যক্তি, ব্যক্তিত্ব, নেতা ও পিতা

  |  ১৩:৫৮, জুন ০৮, ২০২১
www.adarshabarta.com

:: সাইফুর রহমান কায়েস ::

আমার সুনিশ্চিত জীবনের সন্ধানদাতা, আমার অনন্যাশ্রয় ও আশ্রম হয়ে উঠেছিলেন যে ব্যক্তিত্ব তিনি সদ্য প্রয়াত আমাদের পিতৃবৎ অভিভাবক আশার প্রতিষ্ঠাতা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা স্যার সফিকুল হক চোধুরী। তার প্রসঙ্গ টানতে গিয়ে শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্করের বই ঘাটতে ঘাটতে চোখ আটকে গেলো, যদি তুমি সমর্থ হও, কৌমের জন্য অবদান রাখো, কিংবা সাধারণ লোকদের জন্য পরবের আয়োজন করো, কারণ অরক্ষিতের জন্য দান
যোগীর সদগুণের ভাণ্ডারকে বাড়িয়ে দেয়।
তিনি নিঃসন্দেহে একজন সামর্থ্যবান পুরুষ ছিলেন। নিজের যৌবনকে একটি সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার কাজে উৎসর্গ করেছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বৈশ্বিক দারিদ্র‍্য বিমোচনের জন্য নিজেকে সম্পৃক্ত করেছিলেন। শ্রীজ্ঞানের ভাষায় কৌমের জন্য অবদান বলতে যা বুঝায় সেটিকে তিনি বৈশ্বিক মাত্রায় উন্নীত করেছেন নিজের কৌম বা দেশের সীমানা ছাড়িয়ে। বৈশ্বিক পুজিবাদের কষাঘাত থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক মুক্তিদানের ক্ষেত্রে একজন স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বপ্নচারী এবং অগ্রনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তিনি যা ভেবেছেন, যেখানে হাত দিয়েছেন সেখানেই সোনা ফলেছে। তার কাছে অসাধ্যসাধন বা অসম্ভব বলে কিছুই ছিলো না। অসংকোচের দুরন্ত সাহসে এগিয়ে নিয়ে গেছেন আশাকে দেশ থেকে দেশান্তরে, এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলোতে।
ল্যাটিন আমেরিকার অনেক দেশেই আশার মডেল বাস্তবায়নের ফলে দারিদ্র‍্য বিমোচনে অসাধারণ সাফল্যলাভ করতে পেরেছে। পেরু সেক্ষেত্রে অনন্য উদাহরণ হতে পারে।
দরিদ্র মানুষেরা একসময় মহাজনী ঋণের জালে পড়ে খুইয়েছেন বাস্তুভিটা, খুইয়েছেন সম্মান। তার প্রবর্তিত ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থার প্রসারের ফলে প্রান্তিক মানুষেরা আশাতীতভাবে দারিদ্র‍্যের অভিশাপ থেকে নিজেকে মুক্ত করে সমাজে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। মৃত্যু মানুষকে সকল দায় থেকে মুক্তি দেয়, এই অমোঘ সত্যের প্রতি অবিচল আস্থার জায়গা থেকে ঋণের বিপরীতে বীমা ব্যবস্থার প্রচলন করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছেই শুধু নন, বিশ্ববাসীর কাছে একজন কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছেন। আশা বাংলাদেশের কোনো সম্মানিত গ্রাহক দশলাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের বিপরীতে মৃত্যু হলে বীমার সুবিধা পাচ্ছেন ঋণগ্রহণকালে নামমাত্র প্রিমিয়াম জমা দিয়ে।
আজীবন জীবনঘনিষ্ঠ জনকল্যাণমুখী চিন্তায় নিজেকে ব্যপৃত করে রেখেছিলেন। সারাটা কর্মঘন্টা প্রান্তিক দারিদ্র‍্য বিমোচনের জন্য কেটেছে তার। তার অধীনে থাকা বিশাল কর্মী বাহিনীর জীবনের মানোয়ন্নয়নে চিন্তার বহুমুখীকরণ এবং তার দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণে তার অবদান অনস্বীকার্য।
তার শিশুসুলভ কোমলতা আমাকেই শুধু নয়, অনেককেই মুগ্ধ করে রেখেছে। আর তিনি উদারতার মাইলফলক হতে পেরেছিলেন বলেই তিনি শুধু আমাদের নেতাই নন, পিতাও ছিলেন। বিশ্বকবির বাণী তিনি মর্মে ধারণ করেছিলেন বলেই তো আমরা বলতে পারি সোচ্চার্য কণ্ঠে, আমারে যে দেখিবারে পায় / অসীম ক্ষমায়,,,
তার ক্ষমাশীল মনোভাবপ্রকাশক তাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তিনি আমাদের সবার হৃদয়ের জমিনে ঠাই পেয়েছেন অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে।
বৈশ্বিক অর্থনীতিতে করোনার প্রভাবে যেখানে অনেক বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান যেখানে তাদের কর্মীদের বেতন না দিয়ে চাকরীচ্যুত করেছে তার গড়া প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মীর চাকরিচ্যুতি ঘটেনি, বেতন এক সেকেণ্ডের জন্যও বন্ধ হয়নি। আমরা যেখানে দেখি পোশাক শিল্পের মালিকেরা নানাদেশে বাড়ি গাড়ি করে আয়েশি জীবনযাপনপূর্বক সরকারের প্রণোদনার বাহাত্তর হাজার কোটি টাকা গায়েব করে দিয়েছেন। অথচ তাদের কর্মীদেরকে বেতন না দিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে তাদের বুকে গুলি চালিয়ে জাতিকে রক্তাক্ত লাশ উপহার দেন। এইসব শ্যনদের কাছে আশার মডেল কি চোখে পড়ে না?
সফিকুল হক চৌধুরী মুখে সোনার চামচ নিয়ে জন্মগ্রহণকারী ভূস্বামী জনসেবক পিতার সন্তান হলেও জীবনযাপনে খুবই সাদামাটা ছিলেন। ছিলো না কোনো আড়ম্বরপূর্ণতা। নিজের অধীনে থাকা কর্মীগণ বর্ধিত বেতন নিলেও তিনি তাদের চেয়ে অনেক কম সম্মানী নিতেন। অল্পেই তিনি তুষ্ট থেকে প্রমাণ করে গেছেন যে জীবন তিনি যাপন করে গেছেন সেটি উদযাপনেরও তবে ভোগের সংস্কৃতির উর্ধ্বে, ত্যাগের সংস্কৃতিকেই তিনি প্রাধান্য দিয়ে গেছেন। যে কারণে তার জীবন সিদ্ধার্থের, তার জীবন ইব্রাহিম বিন আদহামের।
নিজের সম্মানীর সমস্ত টাকা অসহায়, বিধবা ও দরিদ্র মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। তার সুযোগ্য উত্তরাধিকারীগণও পিতার প্রতি সম্মান জানিয়ে সেই পদাঙ্কই অনুসরণ করছেন।
প্রাতিষ্ঠানিক সুশৃঙ্খলাকে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে নিজেই একজন ব্যক্তি থেকে প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন। সাম্য, সমতা, ন্যায্যতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তিনি গণতান্ত্রিক রীতির অনুসারী ছিলেন। বহুজনের মতকে তিনি প্রাধান্য দিতেন। ছোট বড় সকলের মতের প্রতি তার শ্রদ্ধাশীলতা একটি বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
আমি যখন ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে ঘানা থেকে চলে এসে আশা হেড অফিসে রিপোর্ট করি তখন উনার সাথে সাক্ষাতের অনুমতি চাইতেই পেয়ে গেলাম। তিনি আমাকে চল্লিশ মিনিটেরও বেশি সময় দিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, দাপ্তরিক অনেক কিছুই আলাপ করলেন। আমার বাবার সমবয়সী ছিলেন তিনি। বাবার কথা বলে একটা লম্বা হাইম ছেড়েছিলেন। আমার বিদেশের অভিজ্ঞতা কেমন জানতে চাইলেন। আমাদের কর্মসূচীর স্বার্থে তথ্যপ্রযুক্তির উপর জোর দিতে তৃণমূল পর্যায়ে ঘানা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর মডেল বাস্তবায়নের প্রস্তাব করেছিলাম। তিনি জানতে চাইলেন এই মডেল আবার কি? আমি বলেছিলাম, প্রত্যেক কর্মীর হাতে ইন্টারবেট সংযোগ সম্বলিত ট্যাবলেট পিসি দিয়ে দিলে অফিসে এসে আর ম্যানুয়েলী কোনো কাজ করা লাগবে না। একজন কর্মী যখন তার ট্যাবে দশটাকা আদায় লিখে ট্যাবে এন্ট্রি দিবে তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি অফিসের পিসিতে এন্ট্রি হয়ে যাবে। তখন দ্বিতীয়বারে সেখানে পাচ টাকা লিখার সুযোগ ৎাকবে না। তছরুপ, অনিয়ম কমে আসবে । আমার কথাগুলো সেদিন মনোযোগ দিয়ে শুনে তার নোটবুকে লিখে রেখেছিলেন। এর বছর দুয়েক পরেই তিনি তৃণমূল পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির বাস্তবায়ন করেন। এখন আশার তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে অনেক দক্ষ, সুশিক্ষিত, তথ্যপ্রযুক্তিতে উচ্চতর শিক্ষায় শিক্ষিত লোকজন কাজ করছেন। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে অনেক উদ্ভাবনী শক্তির অধিকারী মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ধারণায়ন এবং ধারণাহরণেও তিনি ছিলেন জহুরী। তিনি আমাকে মাথা ছুয়ে আশীর্বাদ করে বলেছিলেন , তুমি অনেক মেধাবী, ইংরেজি ভাষায় তুমি অনেক দক্ষ। লেখালেখিও করছো বেশ ভালো। কাজ করে যাও। বিদেশ আবার যাইবায় নে। আমি পারিবারিক কারণে আর যাইনি। দেশেই থাকছি। লেখালেখি, সমাজসেবা, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণা , তথ্যচিত্র নির্মাণ, পত্রিকা সম্পাদনা, সাংবাদিকতা , পুত্র কন্যা মাতৃ ভগ্নি ভ্রাতৃ ভার্যামঙ্গল নিয়েই দিন কাটছে বেশ। করোনাকাল আমাকে জিম্মি করে রেখেছে। কোনো দেশেই আর যেতে পারছিনা ভিসা না পেয়ে। একদিন হয়তো আমেরিকাই ভলে যাবো যুক্তরাষ্ট্রের সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রধান গবেষণা বিজ্ঞানী ভাইয়ের কল্যাণে।
তার ভাষায় আঞ্চলিকতার টান ছিলো। এটা তিনি সচেতন ভাবেই করতেন বলেই আমার কাছে মনে হয়েছে। এটা তার জন্মভূমির প্রতি টানের কারণে , মাটিলগ্নতার কারণে ঘটেছে। চুনারুঘাটের আঞ্চলিক উচ্চারণকে তিনি জাতীয়ভাবে তুলে ধরে প্রমাণ করেছেন তিনি এই চুনারুঘাটের জলহাওয়া আর তাপে বড় হয়েছেন। তিনি শহুরে জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠলেও হৃদয়ে গ্রামকে লালন করে গেছেন। আর এই গ্রামীণ চিন্তাটাই শেষতক তাকে বিশ্বব্যাপী প্রান্তিক মানুষের দারিদ্র‍্য বিমোচনের পথে নিয়ে গেছে। নইলে তিনি যে পরিমাণ উদ্ভাবনী শক্তি, সাহস ও সততার অধিকারী ছিলেন ইচ্ছে করলেই যেকোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষপদে আরোরণ করতে পারতেন। শেরেবাংলা একে ফজলুল হক যেমন বাংলার মানুষের ভালোবাসার ঋণ শোধ করতে গিয়ে সর্বভারতীয় নেতা হতে চান নি, বাংলার মানুষের নেতাই হয়েছিলেন – আশার প্রতিষ্ঠাতা মহাত্মা সফিকুল হক চৌধুরী এই বাংলার মায়াভরা পথে হেটে হেটে অনেক দূর যেতে চেয়েছিলেন এবং বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছেন বলেই এই গাঙ্গেয় বদ্বীপে থেকে গিয়েছিলেন। জীবনানন্দ দাশের কবিতার বাণী, বাংলার রূপ দেখিয়াছি আমি / পৃথিবীর রূপ আর দেখিতে চাই না। সফিকুল হক চৌধুরী বাংলার আদলের মাঝেই বিশ্বমায়ের রূপকে অবলোকন করতে পেরেছিলেন।
অরুন্ধতী রায় থেকে পড়ছি, ছোট জিনিষের ঈশ্বর , বড় জিনিষের ঈশ্বর, নখের বার্ণিশ ছাড়া নগ্ন। তার কর্মই তাকে মহান করেছে, অধীশ্বর করেছে । কোনো লেজুড়বৃত্তি দ্বারা নিজের অবস্থানকে কারো অনুকম্পাযুক্ত করতে চাননি। আর চাননি বলেই তার মৃত্যুতে সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানগণ প্রলয়ের ভয়ে চোখ বন্ধ করে রেখে শোকবার্তা প্রদান থেকে বিরত থেকে তারা নিজেদেরকেই জাতির কাছে হেয়প্রতিপন্ন করেছেন। রাষ্ট্র ও সরকারের এই ধরনের নির্লিপ্ততা কাম্য নয়। কতোলোককে তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে পদক দিয়ে সম্মানিত করেছেন কিন্তু যিনি দেশকে দারিদ্র‍্যমুক্ত করে বিশ্বের দরবারে দেশের সম্মানকে আকাশছোঁয়া অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তাকে কেনো সম্মানে ভূষিত করা হলো না? তাকে কি স্বাধীনতা পদক দেয়া যেতো না? জীবদ্দশায় দিতে না পারার গ্লানি মরণোত্তর পদক দিয়েও যদি মুছে ফেলা যায় তাহলেও এই জাতি দায়শূন্য হবে বলে আমরা মনে করি।
শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর হয়তো তারই জন্য লিখে রেখে গেছেন, যে ব্যক্তি মহাযান পরিবারের অন্তর্গত এবং যে উত্তম আচরণের অধিকারী ,
নিজেকে নিরাশ্রয়ের আশ্রয় করে তোলার জন্য
ত্রিশরথে সজ্জিত হয়, তিনি লাভ করেন প্রণিধি-চিত্ত সফিকুল হক চৌধুরী আসলেই ত্রিশরথে সজ্জিত হয়ে নিজেই হয়ে উঠেছিলেন একটি মন্তেস্বরি। পূর্ণ প্রশান্ত চিত্তে তিনি এক সাত্ত্বিক জীবন যাপন করে গেছেন যেটিকে তিনি উদযাপনের স্তরে নিয়ে যেয়ে নিজের বহুমাত্রিক চিন্তাতরঙ্গকে তূর্যনাদে পরিণত করেছেন।
আবার শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর যখন বলছেন ,
‘আলিঙ্গন করতে পারে সমস্ত জীবনকে
যারা নিজেরাও বাস্তবতা-উপলব্ধির–+
অনাদি পুনর্জন্মচক্রের ভেতর থেকে ,
কেউ শুরু করে অপরিমেয় ভালোবাসা দিয়ে
এবং সমস্ত জীবের যত্ন নেয়,
এবং ধারণ করে অপরিমেয় মহাকরুণা
যা শুকিয়ে ফেলে দুঃখ -সমুদ্রকে,
কেউ লাভ করে সঠিক এবং মহামূল্য বোধিচিত্ত
যা অর্জন করিয়ে দেয় নিজের ও অন্যের লক্ষ্যবস্তুকে।
তিনি শুধু নিজেরই নয় বৈশ্বিক দারিদ্র‍্যবিমোচনকে উন্নয়নের প্রধান উপাদানে পরিণত করে প্রান্তিক মানুষের হাতে ভিক্ষার থালা নয়, কাজ তুলে দিয়েছেন। নারীদেরকে পুরুষদের পাশাপাশি কর্মমুখী করে তুলেছেন। স্বাবলম্বী হবার দেশনা দিয়ে গেছেন । গ্রামে গ্রামে নারীরা ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসা ও শিল্পোদ্যোক্তা হতে পেরেছেন ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থার প্রসারের জন্য।
আশা তার শীর্ষ নেতৃত্বের উচ্চতর প্রেষণার কারণে মানবসেবাকে ব্রত হিসাবে নিতে পেরেছে ।
রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কথা দিয়ে এই লেখার ইতি টানবো, আজকের যে মানুষ সেটি যুগপরাম্পরায় মানুষ। বহুমানুষের সমষ্টি। এই মানুষেরা হচ্ছে সামষ্টিক মানুষ।

লেখক: সাইফুর রহমান কায়েস
প্রধান সম্পাদক
শব্দকথা টোয়েন্টিফোর ডটকম