প্রচ্ছদ

ইউরোপের রাজা ইতালি

  |  ১৪:১২, জুলাই ১২, ২০২১
www.adarshabarta.com

Manual4 Ad Code

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

জীবন কখনো বেজায় নিষ্ঠুর। ঝলমলে মঞ্চ সাজিয়ে, সব রং এক করে কখনো এক মুহূর্তে সব মলিন হয়ে যেতে পারে। সব পাওয়ার আশা জাগিয়ে না পাওয়ার বেদনায় দ্বিগুন সমারোহে পোড়াতে পারে। ইংল্যান্ডের দিকেই তাকিয়ে দেখুন, তেমনই মনে হবে।

Manual4 Ad Code

প্রেক্ষাপট ধরে এগোই। লন্ডনের ওয়েম্বলিতে বাঁধভাঙা মানুষের জোয়ার। ফুটবল তার জনকের কাছে ফিরেছে সোনালী স্বপ্ন মুঠোয় নিয়ে। ৫৫ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে একটা ফাইনালে পৌঁছেছে ইংলিশরা, তাও আবার হিসাব কষে একেবারে ঘরের মাঠে! সমর্থকদের কি ঘরে আটকে রাখা যায়? কোথাকার করোনা মহামারী কিংবা স্বাস্থ্যবিধির বালাই, রাষ্ট্রের চোখরাঙানি কিংবা রাস্তায় পুলিশি বাধা, সব ভেঙে ওয়েম্বলিতে ঢুকতে চায় অগণিত দর্শক। ৬০ হাজারেরও বেশি দর্শক ধারণক্ষমতার গ্যালারিতে ঠাঁই নেই কোথাও!

এসবের মাঝেও আলাদা করে নজর কাড়েন কেউ কেউ। ওয়েম্বলিতে যেন তারার হাট বসেছে! প্রিন্স হ্যারি, কেট মিডলটন হয়ে সেলুলয়েডের ক্রেইজ টম ক্রুজ অথবা ডেভিড বেকহ্যাম। ক্যামেরার চোখ তাদেরকে খুঁজে নেয় বারবার।

তবে আজকের তারকা ওরা নয়। ওদের কেউই নয়। তারা যাদেরকে দেখতে এসেছেন তারাই হবেন বাস্তবের পর্দার হিরো। হ্যারিকেইন, স্টার্লিং কিংবা হ্যারি ম্যাগুইয়ার, পাদপ্রদীপের সব আলো তাদের ঘিরে।

Manual2 Ad Code

ওদিকে ইতালিয়ানদের গর্জন শোনা যায়। ইউরোর সমৃদ্ধ ইতিহাস কিংবা এবারের আসরে দৃপ্ত পদচারণা ওদেরকে সাহস যোগায়। কিয়েলিনি, বোনুচ্চি, ইনসিনিয়েরা চওড়া বুকে মাঠে নামেন।

তবে ওয়েম্বলির উচ্ছ্বাস কানফাটা গর্জনে রূপ নিতে সময় লাগে মাত্র ২ মিনিট। ইতালিয়ানদের জমাট রক্ষণদুর্গ ভাঙতে মাত্র ২ মিনিট সময় নেন লুক শ। শুরুতেই লিড নিয়ে নেয় গ্যারেথ সাউথগেট বাহিনী।

এই এক গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে নামে রবার্তো মানচিনির ইতালি। একের পর এক আক্রমনে অতিষ্ঠ ইংলিশ রক্ষণ। ৬৭ মিনিটে বুড়ো বুনোচ্চি গোলটা শোধ করেন।

১-১ সমতায় ম্যাচ পার করে ৯০ মিনিট। তারপর আরো ৩০ মিনিট। যুদ্ধটা চলে। কারো আক্রমনের, কারো আক্রমন ঠেকানোর। ইতালিয়ানদের আধিপত্যটা পরিষ্কার। ১৯ বার ইংলিশদের জালের খোঁজ করেছে তারা, গোলপোস্টে শট নিয়েছে ৬বার। বিপরীতে স্বাগতিকরা মাত্র ২বার ইতালিয়ানদের গোলপোস্টে শট নিতে পেরেছে।

Manual3 Ad Code

এসব শট কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে গোলকিপারদের দৃঢ়তার কাছে। তাইতো এবার তাদের পরীক্ষা দেয়ার পালা। পেনাল্টি শ্যুটআউট; গোলকিপারের গ্লাভসের পরীক্ষা, পেনাল্টি যিনি নেবেন তার নার্ভের পরীক্ষা। জয়ীদের পুরষ্কার ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি।

সে লড়াইয়ে পিকফোর্ড পারেননি, ডোনারুম্মা পেরেছেন। রাশফোর্ড-স্যাঞ্চোরা মিস করেছেন, বেরার্দি-বুনোচ্চিরা গোল করেছেন। ফলাফল, অর্ধলক্ষেরও বেশি ইংলিশের সামনে বুনো উল্লাসে মাতলো ইতালিয়ানরা। বিষাদের নীল রং ছাপিয়ে আনন্দের ঢেউ ওঠে ইতালির জার্সি বেয়ে।

Manual1 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code