প্রচ্ছদ

ভ্যাকসিন নেই, ট্রিটমেন্ট নেই !

  |  ১৯:৩৯, জুন ১৯, ২০২০
www.adarshabarta.com

এই মহামারি থেকে বেঁচে যাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার

:: জসিম উদ্দীন ::

পৃথিবীতে যুগ থেকে যুগ, শতাব্দী থেকে শতাব্দী হাজার বছর মহামারি এসেছে এবং আসবে, বদলে দিয়ে গেছে জীবন চলার পথ। মানবজাতিকে সঠিক পথে আনার জন্য সৃষ্টিকর্তার পাওয়ার গেইম হল মহামারি। জীব বৈচিত্র ধারা কে থমকে দিয়ে নতুন পথ প্রদর্শক হল মহামারি। মানব জাতিকে সঠিক পথে লাগাম টেনে ফিরিয়ে আনা হল মহামারির লক্ষ্য। মহামারির কোন সীমানা নেই, ছুটে চলে আপন গতিতে, ছোট একটি অদেখা ভাইরাস উল্টা পাল্টা করে দিতে পারে সভ্যতার উচ্চ শিখর । করোনা ভাইরাস কাপাচ্ছে ভুখন্ড যেন এক নীল খেলা। পুঁজিবাদের ধ্বংস নামছে, শোষণ আর বঞ্চনার কষাগাতে জর্জরিত প্রতিটি মানুষ একাকার হয়ে গেছে। ধনিক শ্রেণি আজ হাহাকার করে কাঁদছে রক্ষা করা সম্পদ সব বিলিয়ে দিয়ে প্রাণে বাঁচতে চায়। বিশ্বায়ন শ্রেণী-বিন্যাস যখন ব্যাপক ফারাক সৃষ্টি হয়, ধনিক শ্রেণির হাতে পৃথীবির অর্থ-সম্পদ চলে যায় ধনিক শ্রেণির হাতে তখন-ই সমান্তরাল করতে সৃষ্টকর্তা মহামারি নামক দানব দুনিয়ায় পাঠায় শয়তান রূপে। খেলবে সমান্তরাল করে দিবে অর্থ সম্পদ। অদেখা দানব ধৈনিক শ্রেণি কে আক্রমণ করবে এবং বেশী মানুষ মারা যাবে ধৈনিক শ্রেণি, কারণ শোষিত গরিব শ্রেণিতে আক্রমণ কম হবে, তাদের শরীরে শত শত ভাইরাস এমনিতে বসবাস করে, নিম্ন মানের খাবার খাওয়ার জন্য। তাই ভাইরাস কখনও আর এক ভাইরাস কে আক্রমণ করে না, তাই বেশীর ভাগ গরিব মানুষ বেঁচে যাবে এই করোনা ভাইরাস থেকে। দুনিয়ায় চলে আসবে একটি ভূকম্পিত ধ্বংস স্তুপের উপর একটি সমাজ ব্যবস্থা। অসহায় হবে পৃথীবির সেরা সম্পদ শালী বিল গেটস এবং আমাজন এর জেব ভূজেস। খুঁজে ফিরবে এক জীবন্ত কথা বলার নিঃশ্বাস। হ্যালো কেমন আছো পৃথীবির মানুষ তোমরা আবার জেগে উঠ। চল এক সাথে থাকি বেধা-বেধ থাকবে না। চল সমানে সমানে ভাগা-ভাগি করি সকল সম্পদ। তখন ইশ্বর ডেকে বলবে অনেক দেরী হয়ে গেছে মানব । একত্ববাদ হল শক্তি, আমি শক্তিশালী এবং এক এবং শক্তিধর; আমি ধ্বংস করিতে পারি, সৃষ্টি করিতে পারি। আমার কোন শরীক নেই। লা শারিক। সৃষ্টকর্তা বলে তোমার সকল মিজাইল সকল পারমানবিক অস্ত্র অচল। আমার পারমানবিক অস্ত্র হল অদেখা ভাইরাস। জীব অনু অস্ত্র। ভূখন্ডল এপার থেকে ওপার সেকেন্ড মিনিটে উড়ে যেতে পারি। সাবধান মানব জাতি ফিরে তাকাও তোমার পূর্বসরীদের দিকে। মহামারি যেন এক মহাপ্রলয়। ভালবাসার হাতছানি যেন আবার একত্রিত হবে মানবকুল।

দুই হাজার দুই বছর পূর্বে তার্কিশ এসট্যোলোজাররা গনণা করে বলে ছিলেন ২০২০ সালে চীনের ওহান প্রদেশ থেকে এই করোনা ভাইরাস পৃথিবীতে দানব রূপে মানবকুলকে আঘাত করবে এবং মহামারি থেকে কোটি মানুষ মারা যাবে হয়তোবা মৃত্যুর সংখ্যা সঠিক হয় নাই তবে বিশ্ব মানব জাতি যে মহা পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যাচছে তা প্রতিয়মান। এই অদেখা শত্রুর বিরুদ্ধে দুনিয়ার শক্তিধর দেশ আমেরিকা আজ ধরাশায়ী, কুলকিনারা পাচ্ছেন না। আমি এস্টোলজি বিজ্ঞান কে বিশ্বাস করতাম না তবে আজ এই প্রজেকশন আমাকে বিশ্বাসের স্থান করে দিয়েছে। আমেরিকান লেখক ডিন কুন্ডুস তার বই “দ্য আইস অফ ড্যারক্নেস” বইতে তুর্কীর উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন ফিকশান ওহান থেকে মানব কর্তৃক করেনা ভাইরাসের মিশন মানব কুল ধ্বংসের কাহিনী। সেরূপ কথা যখন সত্য হল, তা হলে মেনে নিতে হবে এই বাইওলোজিক্যাল অস্ত্র মানুষের গবেষণার ফসল। সভ্যতা আজ বিপর্যয়ের মূখামূখি। এই ধরাতে মানুষ নামের জীব যদি বিলীন হয়ে যায়, তবে আরো কি উচ্চ বুদ্ধিমত্তার অন্য জীব সৃষ্টিকর্তা প্রেরণ করবেন? মহাকাল থেকে মহামারি এসেছে তবে এই করোনা এসেছে একটি ভিন্নরূপে। দুই পরাশক্তির ফারাক একটু দীর্ঘ করতে। চীন এবং আমেরিকার অর্থনৈতিক যুদ্ধ এক ধাপ এগিয়ে ভুমন্ডল কে বসবাসের যোগ্যতা থেকে অগ্নি স্কুলিঙ্গ পরিণত করবে। অসহায় হয়ে তাকিয়ে থাকবে গরীব জনগোষ্ঠী। এই প্যানডামিক হয়ত কখনও যাবে না, তবে এই করোনা নিয়ে মানব জাতি পথ চলবে, থেমে থাকবে না জীবন এবং জীবিকার সংগ্রাম। জয় পরাজয় কোনটা হয়ত হবে না। সবই সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতার খেলা। কথা হল, হেড ডাউন। মাথা নথ কর। মানব জাতি বল ভুল করেছি ভগবান, শুধরে নেব। ক্ষমা কর প্রভু, বড় দেরী হয়ে গেল।

লেখক:লেখক, গবেষক ও রাজনীতিবিদ
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।