প্রচ্ছদ

সাংবাদিকতার মহান পেশায়

  |  ১৪:৫২, মে ১১, ২০২০
www.adarshabarta.com

কাজী শাহেদ বিন জাফর

একটি সুন্দর ও সুশীল সমাজ বা স্বচ্ছ জাতি বিনির্মাণে সাংবাদিক বা সংবাদপত্র অতন্ত্র প্রহরির হিসেবে কাজ করে আসছে আবহমান কাল হতে। সেই দ্বারা নিয়মে পড়ালেখার পাশাপাশি ১৯৮৪ সাল হতে পত্র পত্রিকায় লেখালেখিতে নিজেকে জড়িয়ে নিলাম। পেশায় নয় নেশায় সখ্যতা গড়িয়ে তুলি। সাংবাদিকতার মতো একটি দায়িত্বশীল মহান পেশায় শুরু করি পদচারণা । কিন্তু দুঃজনক হলেও সত্য যে, আমাদের সমাজে আজ সাংবাদিক নামধারী কিছু হলুদ সাংবাদিকতার উদয় হয়েছে। যার ফলে ওদের দ্বারা অনেক সময় বস্তুনিষ্ট ও বাস্তব সত্য সংবাদ পরিবেশন না করে মনগড়া ও পক্ষপাত মূলক স্বীয় সার্থে অনুপ্রাণীত হয়ে পরিবেশন করায় শুনতে হয় ইতর, বাটপাড়, দালাল ও দুই টেকি সাংবাদিক! এসব শুনে কান জ্বালাপালা হয়ে গেছে। এতে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিতে ও লজ্জাকর মনে করি। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা জাতির দর্পণ (আয়না) বা সমাজের প্রতিচ্ছবি দেখার মাধ্যম বলা হয়। সে মাধ্যমটাকে কলংকিত করার পায়তারায় মেতে ওঠে কিছু সাংবাদিক নামে অপসাংবাদিক। তারা ঘটমান বাস্তব বিষয়াবলির দিকে খিয়াল না রেখে অফিসের দরজা বা নেতার দিকে নজর দেয়। এর থেকে কিছু কামাই করা যায় কী ভাবে। অন্যতায় উলটপালট সংবাদ পরিবেশন করে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে চলেছে। এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচার করা উচিৎ। আর তা কেন নয়। একজন সুস্থ ধারার সাংবাদিক জীবন বাজি রেখে অনেক অসাধ্য ঘটমান বিষয়ের সুরতহালের বাস্তব বর্ণনা স্থান কাল পাত্র বেঁধে সামাজিক দর্পণে পরিবেশন করেন বলেই তাঁদের জীবন ও জীবিকা অতি কষ্টের হয়ে থাকে। কারণ তাঁরা বাস্তব সত্য প্রকাশ নিয়ে সদা ব্যস্ত। টাকা কামাই তো দুরের কথা। হামলা মামলা, হুমকি দামকি, জট ঝামেলায় জীবন বাজি রেখে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। অন্যদিকে একশ্রেণীর কিছু সংবাদ কর্মীর নামে নোংরা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। আত্নপক্ষ সমর্থনে ঢালাও ভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অপরাধি হিসাবে তুলে ধরতে উঠে পড়ে লেগে। অন্যায়ের স্বীকার ব্যক্তির সব অভিযোগ তুলে ধরতে মজা লাগে আর অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য তুলে ধরতে খারাপ লাগে এটা কেমন সাংবাদিকতা। চাঁদার অংশ আদায় করতে পারলে একধরণের সংবাদ লিখলেন। আর চাঁদা আদায় করতে না পারলেই উল্ঠো তেড়ে উঠে ষরযন্ত্রে লিপ্ত হন। নানান কথা বলে বেড়ায় জানা অজানা অপবাদ নিয়ে। এটার নাম সাংবাদিকতা নয়, বরং সাংবাদিক নামের কলংক। যাদের অন্তরে লোভ হিংসা ও অহংকার রয়েছে। তারা সাংবাদিক জগতে বিচরণ করলেও অপসাংবাদিক। এ লেখাতে এ জাতীয় সাংবাদিক বন্ধুগনের মনে কষ্ট পেতে পারে। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি অপসাংবাদিকদের ভয় পাই না। যারা সারাদিন টো টো করে ঘোড়ে অর্থের পিছে। সত্যকে অসত্য করে টাকার মোহে। তারা এ পেশাকে কলুষিত করছে তাদেরকে আমি ঘৃণা করি। যেমনটি করা হয়েছে আমাদের নবীগঞ্জ উপজেলার স্বনামধন্য চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন সাহেবের বেলায়। মানহানিকর মিথ্যা ও বানোয়াট গুজব
ছড়িয়ে। আর এসব গুজবে লাফিয়ে ওঠে আরো কিছু রামছাগল। ওদের লম্বা কানটি চিলে নিয়ে গেছে শুনে, চিলের পিছু পাগলের মতো ছুটে। একবারও নিজের কানে হাত দিয়ে দেখে না, সত্যি চিলে কানটি নিলো কী না। তা’দেখার বোধ শক্তি ওদের নেই। ওদের মধ্যে অনেক দেখেছে তাদের আগ জীবনে পারিবারিক অবস্থা অতি কষ্টের ছিল। নুন আন্তে পান্ত পুরাত। যখন সাংবাদিক নামে গলায় ব্যাগ ঝুলিয়ে হাটা শুরু করে দিলো, রাতারাতি বাড়ি গাড়ির মালিক হয় কী ভাবে। তাহা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন মনে করছেন সুশীল সমাজ।
এদের নিয়ে আর কী লিখবো। পরিশেষে ঐ সমস্ত সুশীল সাংবাদিক ভাইদের মোবারক বাদ জানাই। যারা আজ দেশের দুর্দিনে করোনার মতো মহামারিতে দেশের মানুষ যখন নিরাপদে ঘরে বসে আছেন। তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাইরে নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সেনাবাহিনীদের সাথে তাল মিলিয়ে জাগিয়ে তুলছেন দেশের মানুষের নিরাপত্তার বলয়। পরিবেশন করছেন তথ্য ভিত্তিক উপাত্ব ও জনসচেতনতা মূলক সরকারি বিধি সমুহ। যার ফলে আবারো তাঁদেরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সমাপ্ত দিলাম। আবার আসবো কোনো এক বিষয় নিয়ে প্রেরণার যোগান দিতে।

লেখক : কবি, সাংবাদিক