প্রচ্ছদ

মহামারিতে ভয়কে জয় করুন

  |  ০১:২৭, জুন ০৪, ২০২১
www.adarshabarta.com

Manual1 Ad Code

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

সময়টা এমন যে প্রতিদিনই চেনাজানা পরিচিতজন কেউ না কেউ কোভিড আক্রান্ত হচ্ছেন। এই বিষয়টি কেউ প্রকাশ করছে আবার কেউবা লুকাচ্ছে। সামাজিক কারণে বিষয়টি প্রতিবেশি বা আত্মীয়-বন্ধুদের কাছে বলতে দ্বিধা করছেন, যদি অহেতুক জটিলতা তৈরি হয় এই ভয়ে। অথচ অতিমারির সময়টাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া স্বাভাবিক। সব শ্রেণী-পেশা, জাতি-ধর্মের লোকদের হরহামেশা আক্রমণ করছে এ অদৃশ্য ভাইরাস। তাই লুকিয়ে রেখে অন্যের ক্ষতি করবেন না। ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করলে যেমন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন তেমনি অন্যরা জনতে পারলে তারাও সর্তক হতে পারবে। আক্রান্ত হওয়ার পর কী কী করবেন জেনে নেওয়া যাক-

১.যদি আপনার কোভিডের কোনো উপসর্গ দেখা দেয় বা কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাহলে শুরুতেই ‘সেলফ-আইসোলেশন’-এ চলে যান, অর্থাৎ নিজেকে পরিবারের বাকি সদস্যদের কাছ থেকে পুরোপুরি পৃথক করে ফেলুন। এতে পরিবার, কর্মস্থল, এবং আশপাশের মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো যাবে।

Manual6 Ad Code

২.সম্ভব হলে আলাদা একটি ঘরে থাকুন, যেখানে প্রাতঃকর্ম এবং অন্যান্য কাজের জন্য বাইরে যেতে না হয়। খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও ওষুধ ঘরের দরজার বাইরে রেখে যাবেন পরিবারের সদস্যরা। আর এই ব্যবস্থা করা সম্ভব না হলে অন্যদের থেকে অন্তত ছয়ফুট দূরত্বে থাকুন এবং নিয়মিত মাস্ক পড়ুন।

৩.স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন। বাংলাদেশে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় খাতে নমুনা পরীক্ষা করানো যাচ্ছে। এছাড়া সহযোগিতা ও তথ্যের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বরে ফোন দিয়ে অথবা স্থানীয় সিভিল সার্জন কিংবা সিটি কর্পোরেশনে যোগাযোগ করতে পারেন।

৪.শরীর খারাপ লাগা বা উপসর্গ দেখা দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন এবং কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, মনে করার চেষ্টা করুন। যাদের সঙ্গে ১ মিটারের কম দূরত্বে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছেন, তাদের জানিয়ে দিন আপনার পজিটিভ রিপোর্টের কথা। এছাড়া পরিবারের সদস্য বাদেও, নিকট আত্মীয়, বন্ধু ও কর্মক্ষেত্রের সহকর্মীদের খবরটি জানাতে ভুলবেন না।

Manual2 Ad Code

৫.নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত প্রতিদিন নিয়ম করে কিছু বিষয় করা উচিত। কোভিড নিয়ে কাজ কারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এ সময়ে করণীয় সম্পর্কে বলেন, প্রতিদিন চার থেকে ছয়বার গরম পানির গার্গল ও ভাপ নেওয়া উচিত।

৬.এ সময় ইম্যুনিটি অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এমন খাবার খান। এক্ষেত্রে প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে পারেন। স্যুপ খাওয়ার পাশাপাশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান।

Manual8 Ad Code

৭.শারীরিক কোনো জটিলতা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সামাজিক মাধ্যমে কারো শেয়ার করা প্রেসক্রিপশন দেখে ওষুধ খাবেন না। প্রয়োজনে উপসর্গ ও লক্ষণগুলোর প্রতিষেধক জানতে টেলিফোনে কিংবা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Manual7 Ad Code

৮.করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হলে অধিকাংশ মানুষই মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। এসময় রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হবে এবং তাকে সাহস দিতে হবে। সবসময় ইতিবাচক চিন্তা যেনো করে, তা বলতে হবে। ৯.কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে যাদের ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা অ্যাজমার সমস্যা আছে কিংবা যারা বয়স্ক তাদের ঝুঁকিটা তুলনামূলক বেশি অন্য রোগীদের থেকে। সেজন্য বাড়তি কিছু সর্তকতা অবলম্বন করা দরকার। খেয়াল রাখতে হবে শরীর যাতে পানিশূন্য হয়ে না যায় এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম করুন। সেই সাথে আগে থেকে যেসব ওষুধ চলছিল সেগুলো চালিয়ে যেতে হবে। আতঙ্কিত না হয়ে সাহস রাখুন, তাহলেই করোনার ভয়কে জয় করতে পারবেন।
(ইত্তেফাক)

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code