প্রচ্ছদ

বাংলাদেশের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করলো পাঁচ দেশ

  |  ০৪:৪১, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
www.adarshabarta.com

আদর্শবার্তা ডেস্ক :
করোনার মহামারির কারণে বাংলাদেশের উপর বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারতসহ পাঁচটি দেশ।
ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিন বিমান চলাচল বন্ধ থাকার পর রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যায়। এয়ার বাবল চুক্তি অনুযায়ী, রোববার থেকে ঢাকা-কলকাতা রুটে বিমান চলাচল শুরু হলেও ঢাকা-দিল্লি রুটে বিমান চালু হবে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ছাড়াও বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো ভারতের বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোর জন্য পর্যটন ছাড়া অন্য সব ভিসা চালু করেছে ভারত। তবে ভারতে ভ্রমণ করতে হলে করোনা টেস্ট এবং টিকা দেয়ার প্রমাণপত্র প্রয়োজন হবে।
তুরস্ক
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গতকাল শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান চলাচল চালু হয়েছে বলে ঢাকায় অবস্থিত তুরস্ক দূতাবাস থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তুরস্কে যেতে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনার পিসিআর এর নেগেটিভ টেস্টের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, তুরস্ক সরকার অনুমোদিত টিকার দুটি ডোজ সম্পন্ন করে থাকলে তাকে আর কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। এসব টিকার মধ্যে রয়েছে, সিনোভ্যাক, বায়োএনটেক, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না ও সিনোফার্ম। তবে জনসন এন্ড জনসনের টিকার এক ডোজ নেয়ার পর যদি ১৪ দিন পার হয় তাহলে তুরস্কে গিয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না।
টিকা দেয়া না থাকলে তুরস্কে পৌঁছানোর পর কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ১০ দিনের মাথায় পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। ফলাফল নেগেটিভ এলে কোয়ারেন্টিন তুলে নেয়া হবে। ১২ বছরের কম বয়সীদের পিসিআর টেস্ট কিংবা টিকা নেয়ার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে না। ফ্লাইট ক্রু, ট্রাক ড্রাইভার বা জরুরি কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
অস্ট্রেলিয়া
দীর্ঘদিন পর বেশ কিছু নিয়মকানুন জারি করে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমিত আকারে ভ্রমণে অনুমতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় গমনেচ্ছুক ব্যক্তিদের কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। অন্য কোনো দেশে ট্রানজিট নিলে সে দেশের নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।
এছাড়া করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকলেও অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছানোর পর সরকারের অনুমোদিত নির্ধারিত ব্যবস্থাপনায় বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
ওমান
১ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের উপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ওমান। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার তালিকায় রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপিন্স, তানজানিয়া, সুদান, ব্রাজিল, সিয়েরা লিওন, যুক্তরাজ্য, লেবাননসহ মোট ২৪টি দেশ।
ওমানের বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, ওমানের যেসব নাগরিক, ব্যক্তি বা যারা ওমানে গিয়ে অন অ্যারাইভাল ভিসা পাবেন, তারা সবাই ১ সেপ্টেম্বর থেকে ওমানে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে তাদেরকে করোনার সব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
ওমানে পৌঁছানোর পর করোনার দুই ডোজ টিকা নেয়ার কিউআর কোড সম্বলিত সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। তবে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার পর অবশ্যই ১৪ দিন পার হতে হবে। এছাড়া করোনার পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকলে তাদেরকে কোয়ারেন্টিন করতে হবে না। তবে দীর্ঘ ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ওমানের পৌঁছানো পর্যন্ত ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড টেস্ট করাতে হবে। আর ৮ ঘণ্টার কম দীর্ঘ ফ্লাইট হলে অন্তত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টেস্ট করাতে হবে।
যাদের কোভিড-১৯ এর পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকবে না, পৌঁছানোর পর তাদেরকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। করোনা পজিটিভ আসলে তাকে অন্তত ১০ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে। ওমানে পৌঁছানোর পর পিসিআর টেস্ট করালে তার খরচ ওই ব্যক্তিকেই বহন করতে হবে। তবে ১৮ বছরের কম বয়স হলে তাদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না।
আরব আমিরাত
বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সব ধরনের ভিসা খুলে দেয়া হয়েছে। তবে এর জন্য কিছু শর্ত বেধে দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, দুই ডোজ টিকা নেয়া থাকতে হবে। ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার অন্তত ৬ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরেই পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। তবে বিমানবন্দরে পিসিআর টেস্ট করানোর কোন ব্যবস্থা না থাকায় শর্ত পূরণ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কোন বাংলাদেশি যেতে পারবেন না।
যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আগেই তুলে নিয়েছে। তবে তারা বাংলাদেশকে এখনো লাল তালিকায় রেখেছে। বাংলাদেশ থেকে কেউ যুক্তরাজ্যে গেলে তাকে নিজ খরচে ব্রিটিশ সরকারের তালিকাভুক্ত কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।