প্রচ্ছদ

বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  |  ১৮:২২, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
www.adarshabarta.com

Manual5 Ad Code

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

‘কোন মেস্তরী নাও বানাইল’, ‘কেন পিরিতি বাড়াইলায় রে বন্ধু’ কিংবা ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’। এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গান এখনও ফেরে মানুষের মুখে মুখে। ভাটি অঞ্চল থেকে শহরের মানুষের হৃদয় জয় করা এসব গানের স্রষ্টা বাউলসম্রাট শাহ আব্দুল করিম। আজ তার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী। জন্মস্থান সুনামগঞ্জে প্রশাসন ও স্থানীয়দের উদ্যোগ রাখা হয়েছে কর্মসূচি। তার স্বপ্নের গানের বিদ্যালয় দ্রুত চালুর দাবি জানিয়েছেন ভক্তরা।

ভাটির জল হাওয়া মাটির গন্ধ, কালনী তীরবর্তী জনজীবন, প্রেম, বিরহ, যার গানে উঠে এসেছে। তিনি বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম। শুরুর দিকে ভাটি অঞ্চলে তার গান জনপ্রিয়তা পায়। পরে সারাদেশে খ্যাতি পায় নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের মাধ্যমে।

বাউল গানের এ কিংবদন্তির জন্ম ১৯১৬ সালে দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে। বাবা ইব্রাহিম আলীর সংসারে অভাবে কাটে তার ছোটবেলা। মাঠে গরু চরানোর সময় হাতে থাকত একতারা। তার গানের লেখনী ছিল ধর্মান্ধতা, শোষণ, কুসংস্কার আর সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গানে গানে মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন।

Manual4 Ad Code

আবদুল করিমের গানের প্রেরণা তার স্ত্রী আফতাবুননেছা। যাকে তিনি ভালোবেসে ডাকতেন সরলা নামে। অভাবের সংসারে সরলা মারা যান বিনা চিকিৎসায়।

Manual7 Ad Code

বাউল সম্রাটের মৃত্যুবার্ষিকী ঘিরে এবারও উজানধলে এসেছেন ভক্ত অনুসারীরা। তারা বলেন, বাউল সম্রাটের স্বপ্ন এই স্কুলটা যদি হয়ে যায়। তাহলে তার সবকিছু মানুষ জানতে পারবে, শিখতে পারবে। সে যে গানগুলো লিখে গেছেন, সেই গানগুলো সংরক্ষণ করার জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন করছি।

Manual2 Ad Code

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, শাহ আব্দুল করিমের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী সরকারিভাবে পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

একুশে পদকসহ দেশ-বিদেশে অসংখ্য সম্মানে ভূষিত ভাটির পুরুষ খ্যাত কিংবদন্তি বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম ২০০৯ সালের এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কালজয়ী গানের মাধ্যমে তিনি বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে যুগের পর যুগ।

Manual1 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code