প্রচ্ছদ

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মিয়ানমারের জবাবদিহিতা চায় যুক্তরাষ্ট্র

  |  ০৮:১৪, আগস্ট ২৭, ২০২০
www.adarshabarta.com

Manual6 Ad Code

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

তিন বছর আগে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নিষ্ঠুর হামলার পর লাখ লাখ রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনায় মিয়ানমারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবিও জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

এছাড়া রাখাইন রাজ্যে সংঘর্ষ বাড়ার প্রেক্ষাপটে আমরা সহিংসতার অবসান, সংলাপ, স্থানীয় জনগণের সুরক্ষায় অব্যাহত প্রচেষ্টা এবং মানবিক সহায়তার বাধামুক্ত প্রবেশের দাবি জানাচ্ছি। মিয়ানমারে এখনেও স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যা ও হাজার হাজার মানুষের বাস্তুচ্যুতির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ এই ধরনের পরিস্থিতি শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা কমায় এবং শান্তির সম্ভাবনা নষ্ট করে বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।

Manual3 Ad Code

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত এই মানুষদের নিরাপদ, স্বেচ্ছা, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি এবং সেইসঙ্গে রাখাইন রাজ্য বিষয়ে কফি আনান নেতৃত্বাধীন অ্যাডভাইজরি কমিশনের দেয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

Manual4 Ad Code

বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমার ও বাংলাদেশে সংকটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সবার মানবিক দুর্ভোগ লাঘবে ২০১৭ সাল থেকে ৯৫১ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে বলা হয়, আট লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের অব্যাহত উদারতার আন্তরিক প্রশংসা করি আমরা। আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য অব্যাহত মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এই সংকট সমাধানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রতি প্রচেষ্টা জোরদার করারও আহ্বান জানাই।

যুক্তরাষ্ট্র ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করা এবং নৃশংসতার জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

Manual1 Ad Code

বিবৃতিতে বলা হয়, গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত শীর্ষ সামরিক নেতৃত্ব ও সামরিক বাহিনীর ইউনিটগুলোর ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ, জাতিসংঘের তদন্ত প্রক্রিয়াকে সমর্থন করা এবং মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) কার্যক্রমে পুরোপুরিভাবে অংশ নিতে এবং আদালতের রায় মেনে নিতে উৎসাহিত করা। আমরা এই নৃশংসতার জন্য দায়ীদের শাস্তির বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রশংসা করছি। তবে এখনও আরও অনেক কিছু করার বাকি আছে।

Manual3 Ad Code

তবে মিয়ানমারে কর্তৃত্ববাদী শাসনের লিগ্যাসি কাটিয়ে উঠতে এবং গণতন্ত্রের প্রসার ও শান্তি অর্জনের জন্য সেখানকার জনগণের প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code