ডাকসুর ২৮ পদে কে কোনটিতে জয়ী

আদর্শবার্তা ডেস্ক :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ একচ্ছত্র জয় পেয়েছে। ভিপি পদে সাদিক কায়েম রেকর্ড ভোটে জয় পেয়েছেন।
তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট, আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন মাত্র ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। ফলে বিশাল ব্যবধানেই ভিপি পদ শিবিরের হাতে যায়। শীর্ষ তিন পদ ছাড়াও ২৮টি পদের ২৩টিতে শিবির জয়ী হয়েছে।
এর পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক পদেও শিবিরের প্রার্থী এসএম ফরহাদ জয় পেয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের শেখ তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। একইভাবে সহসাধারণ সম্পাদক পদেও শিবির সমর্থিত মোহাম্মদ মহিউদ্দিন খান ১১ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়ে জয়ী হন, যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৪ ভোট।
শীর্ষ তিন পদ ছাড়াও সম্পাদকীয় বিভিন্ন পদে শিবির প্রার্থীরা ব্যাপক ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। শিবির সমর্থিত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক হয়েছেন ফাতেমা তাসনিম জুমা ১০ হাজার ৬৩১ ভোটে, আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক হয়েছেন ইকবাল হায়দার ৭ হাজার ৮৩৩ ভোটে। একইভাবে কমনরুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক হয়েছেন উম্মে সালমা ৯ হাজার ৯২০ ভোটে, আর আন্তর্জাতিক সম্পাদক হয়েছেন জসীমউদ্দিন খান ৯ হাজার ৭০৬ ভোটে। শুধু তাই নয়, ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন আরমান হোসেন ৭ হাজার ২৫৫ ভোটে, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক হয়েছেন আসিফ আব্দুল্লাহ ৯ হাজার ৬১ ভোটে, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক হয়েছেন মাজহারুল ইসলাম ৯ হাজার ৩৪৪ ভোটে, আর স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক হয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ ৭ হাজার ৩৮ ভোটে। সবশেষে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে একজন মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক সাখাওয়াত জাকারিয়া, যিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৪৭ ভোট।
যদিও অধিকাংশ পদে শিবির জয়লাভ করেছে, তবুও প্যানেলের বাইরে থেকেও কয়েকজন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। যেমন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন স্বতন্ত্র মুসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ ৭ হাজার ৭৮২ ভোটে, আর সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন স্বতন্ত্র এবি জুবায়ের ৭ হাজার ৬০৮ ভোটে।
অন্যদিকে সদস্য পদেও শিবিরের প্রার্থীরা বড় জয় পেয়েছেন। মোট ১৩টি সদস্য পদের মধ্যে ১১টিতেই তাদের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে ছাত্রী সংস্থার সভাপতি সাবিকুন্নাহার তামান্না সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৮৪ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া আনাস ইবনে মুনির পেয়েছেন ৫ হাজার ১৫ ভোট, ইমরান হোসাইন ৬ হাজার ২৫৬ ভোট, তাজিনুর রহমান ৫ হাজার ৬৯০ ভোট, আর মোহাম্মদ বেলাল হোসেন অপু ৪ হাজার ৮৬৫ ভোট। পাশাপাশি মিফতাহুল হোসাইন মারুফ পেয়েছেন ৫ হাজার ১৫ ভোট, রাইসুল ইসলাম ৪ হাজার ৫৩৫ ভোট, শাহিনুর রহমান ৪ হাজার ৩৯০ ভোট, আফসানা আক্তার ৫ হাজার ৭৪৭ ভোট, রায়হান উদ্দীন ৫ হাজার ৮২ ভোট, আর সর্বমিত্র চাকমা পেয়েছেন ৮ হাজার ৯৮৮ ভোট। তবে শিবিরের বাইরে থেকেও দুজন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন—উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়া ৪ হাজার ২০৯ ভোটে এবং হেমা চাকমা ৪ হাজার ৯০৮ ভোটে। (সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব)