প্রচ্ছদ

সরকার করোনাকালেও সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

  |  ১৫:৪৩, আগস্ট ২০, ২০২০
www.adarshabarta.com

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এই স্তম্ভ তৈরি করেন সাংবাদিকরা। বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করছে। এই করোনাকালেও সরকার সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দলমত নির্বিশেষে যারা সংকটে আছেন তাদের সকলকে প্রণোদনা দিচ্ছে। এমনকি ভারত-পাকিস্তানেও সাংবাদিকদের এভাবে সরকার প্রণোদনা দেয়নি।

দুএকটি ব্যতিক্রম ছাড়া করোনা সংকটকালে গণমাধ্যম সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমালোচনা থাকবে। না হলে বহুমাত্রিক সমাজব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। সরকার মনে করে, সমালোচনা পথচলাকালে শাণিত করে। কিন্তু সমালোচনা হতে হবে বস্তুুনিষ্ঠ। সমাজকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য। অন্ধের মতো একপেশে সমালোচনা গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত করোনাকালীন প্রণোদনার চেক হস্তান্তরকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশে করোনার শুরু হওয়ার পর গত পাঁচ মাসে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একদিনও বিশ্রাম নেননি। করোনা মোকাবেলায় তিনি যে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন তা অতুলনীয়। করোনা মহামারির শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রী দেশের আপামর মানুষের জন্য প্রণোদনা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এখন পর্যন্ত সাত কোটির বেশি মানুষ সরকারি সহায়তার আওতায় এসেছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক জুলিয়া যেসমিন মিলির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান এডভোকেট, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সাংবাদিক নেতা তাপস দাশ পুরকায়স্থ প্রমুখ। এরআগে, দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্র পরিদর্শন ও বাদ জোহর হজরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

দেশের উন্নয়নের প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, যে দেশেকে একদা তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হয়েছিলো সেই দেশ বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশে এখন কুঁড়েঘর খুঁজে পাওয়া যায় না। ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ পাওয়া যায় না, স্যান্ডেল ছাড়া মানুষ পাওয়া যায় না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। দেশ বদলে গেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

হাসান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছিলো, যারা স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি তারা ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছিলো। আজকেও যারা শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হচ্ছে তারাও ষড়যন্ত্র করছে। এই দুষ্টুচক্র, যারা দেশের বিরুদ্ধে, অর্থনীতির বিরুদ্ধে, অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের আরো সোচ্চার হতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, সাংবাদিকতা নামক মহান পেশার লোকজনের দৈন্যদশার কথা উপলব্ধি করে ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে দিয়েছেন। এরও আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য গড়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট। সেই প্রেস ইনস্টিটিউটের মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) মহাসচিব শাবান মাহমুদ বলেন, বিশ্বের কোনো দেশ এখনো গণমাধ্যম কর্মীদের কোনো সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণমাধ্যম কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে আজ প্রমাণ করেছেন তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের পরম বন্ধু। আলোচনা পর্ব শেষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সিলেট বিভাগের চার জেলার ১০৩ জন সাংবাদিকের মধ্যে প্রণোদনার চেক বিতরণ করেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।