মার্ক জুকারবার্গ নিয়ে ৩৮ টি চমকপ্রদ তথ্য
আদর্শবার্তা ডেস্ক :
২০০৪ সাল থেকে শুরু হয় মার্ক জুকারবার্গ এর ফেসবুক যাত্রা। যেটি সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে পৌঁছে যায় মানুষের ঘরে ঘরে। খুব অল্পদিনের মধ্যেই এটি এনে দেয় বৈশ্বিক পরিবর্তন। প্রতিদিনই বাড়ছে এর জনপ্রিয়তা। কিন্তু আমরা এই বিষ্ময়বালক ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ সম্পর্কে কতটুকু জানি? হয়তো একেবারেই সীমিত। আজকের আয়োজনে থাকছে তাকে নিয়ে ৩৮টি চমকপ্রদ তথ্য !
১. জুকারবার্গের মোট সম্পদের পরিমাণ কত জানেন? ৫১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
২. ফেসবুকের এই প্রতিষ্ঠাতা মাত্র ২৩ বছর বয়সে বিলিয়নিয়ার হন। এটি ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে বিলিয়নিয়ার হওয়ার একটি রেকর্ড।
৩. তিনি বিশ্বে ধনীদের তালিকায় ৬ নম্বরে আছেন।
৪. জীবনসঙ্গী খুঁজে নিতে দেরি করেননি মার্ক। মাত্র ২০ বছর বয়সেই কাজটি সেরে ফেলেছেন।
৫. জুকারবার্গ বিয়ে করেন তার অনেক দিনের পুরনো বন্ধু প্রিসিলা চ্যানকে।
৬. চ্যানের জন্য তিনি ২০১০ সালে মান্দারিন ভাষা শেখেন।
৭. প্রিসিলা চ্যান ও জাকারবার্গের পরিচয় হয়েছিল হার্ভার্ডে।
৮. জাকারবার্গ ও প্রিসিলা কেউই প্রথম পরিচয়ের সময় প্রতিষ্ঠিত ছিলেন না।
৯. বর্তমানে এই দম্পতির একটি কন্যা সন্তান আছে। যার নাম ম্যাক্সিমা চ্যান জুকারবার্গ।
১০. কন্যা সন্তান লাভের পর জুকারবার্গ দম্পতি তাদের ফেসবুক শেয়ারের ৯৯% দান করে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
১১. জুকারবার্গ ফেসবুকের সিইও। তবে এই কাজের জন্য তিনি কোম্পানি থেকে বেতন নেন বছরে ১$ বা ৮০ টাকা মাত্র ।
১২. টিভি অনুষ্ঠান স্যাটার্ডে নাইট লাইভে জেসি আইসেনবার্গের সঙ্গে মুখোমুখি দেখাও করেছেন জাকারবার্গ।
১৩. করেছেন অভিনয়ও। বিখ্যাত টিভি সিরিজ দ্য সিম্পসনের এক পর্বে অতিথি অভিনেতা হিসেবেও উপস্থিত হয়েছিলেন ফেইসবুকের এ সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
১৪. ২০১০ সালে নেওয়ার্কের সমস্যাজণিত স্কুলগুলোর সিস্টেমের জন্য ১০ কোটি ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
১৫. খবরটি অপরাহ্ উইনফ্রে শো’র মাধ্যমে জানিয়েছিলেন এ তরুণ শতকোটিপতি।
১৬. হার্ভার্ডের ডর্ম রূমে জন্ম নেয়া ফেইসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০১২ সালেই একশ’ কোটিতে দাঁড়িয়েছিল। চিন্তা করে দেখুন ২০২০ সালে সংখ্যাটা কততে গিয়ে দাঁড়িয়েছে!
১৭. জাকারবার্গ ও ফেইসবুক অন্যান্য বৃহৎ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের গ্রপে যোগদানের মাধ্যমে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
১৮. মার্কিন শেয়ারবাজারে ফেইসবুককে অন্তর্ভুক্ত করেছেন এ তরুণ উদ্যোক্তা।
১৯. হারিয়ে যাওয়া বন্ধু ও আত্মীয়দের সংযুক্ত করতে বিশাল এক ভূমিকা পালন করেছে ফেইসবুক।
২০. ইচ্ছাকৃতভাবে না হলেও এড়িয়ে চলা হয় এমন মানুষদেরকে ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের জীবনে ফিরিয়ে এনেছেন জুকারবার্গ।
২১. সেলফি জনপ্রিয় হওয়ার ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান সবচেয়ে বেশি।
২২. ফেসবুকে রিলেনশিপ স্ট্যাটাস থাকায় অনেক যুগলই এখন চিন্তা করে তারা তাদের সম্পর্কটি ‘ফেইসবুক অফিশিয়াল’ করবেন কি-না।
২৩. ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুদের দৈনন্দিন কাজ ও পরিকল্পনা সম্পর্কে জানার ভিন্নধর্মী এক ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন জাকারবার্গ।
২৪. ফেসবুকের বদৌলতে এখন একজনকে বাদ রেখে অন্যরা কোনো পরিকল্পনা করতে পারেন না। এর কৃতিত্বটিও জুকারবার্গেরই প্রাপ্য।
২৫. মনের কথা লুকিয়ে না রেখে সরাসরি বলে ফেলাটাই জুকারবার্গের স্বভাব। কোনো এক প্রসঙ্গে স্বয়ং প্রেসিডেন্টকেই ফোন করে বসেছিলেন তিনি।
২৬. বিশ্বনেতাদের সঙ্গে জুকারবার্গের দেখা করার বিষয়টি গোপন কিছু নয়। নিজস্ব ফেইসবুক প্রোফাইলের এক পাবলিক ফটোতে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের সঙ্গে দেখা গেছে জাকারবার্গকে।
২৭. ২০১২ সালে চ্যারিটির জন্য ফেইসবুক সহকর্মীদের সঙ্গে ১৩.১ মাইল ম্যারাথন দৌড়েছিলেন জুকারবার্গ।
২৮. ২০১১ সালে মামা হয়েছেন জুকারবার্গ। এটিকেও এক ধরনের অর্জনই বলা যেতে পারে!
২৯. প্রচুর উদ্যোক্তাকে নিজ পদানুসরণে অনুপ্রাণিত করেছেন ত্রিশ বছর বয়সী জাকারবার্গ। এ জন্য তাকে এসব উদ্যোক্তার গুরুও বলা হয়ে থাকে।
৩১. মার্কের একটি কুকুর আছে। নাম বিস্ট। নিজস্ব ফেইসবুক প্রোফাইলও আছে এই কুকুরের।
৩২. নিজবাড়ি ছাড়াও জুকারবার্গের আছে মোট ৪টি বাড়ি। সবগুলোই নিরাপত্তার স্বার্থে। ২০১৩ সালে তিন কোটি ডলার দিয়ে কিনেছিলেন।
৩৩. ফেসবুকের কারণে ডিকশনারিতে নতুন একটি শব্দ এড হয়েছে। শব্দটি ‘আনফ্রেন্ড’।
৩৪. ছয় ফুট পাঁচ ইঞ্চি উচ্চতার উইংকেলভস জমজ ভাইয়ের সঙ্গে আইন লড়াইয়েও জড়িয়েছিলেন তিনি।
৩৫. টিশার্ট এবং হুডি পোশাকই পরেন এই বিপুল অর্থবিত্তের মালিক জুকারবার্গ।
৩৬. জাকারবার্গের প্রতিষ্ঠিত ফেইসবুক বিগত কয়েক বছরে ইনস্টাগ্রাম, অকুলাস রিফটসহ বহু প্রতিষ্ঠান কিনেছে। ভবিষ্যতেও যে আরও প্রতিষ্ঠান কিনবে তা এখনই আন্দাজ করা সম্ভব।
৩৭. মার্ক জুকারবার্গ ও ফেইসবুক প্রতিষ্ঠার ঘটনার অবলম্বনে নির্মাণ করা হয়েছে চলচ্চিত্র। নাম দ্য সোশাল নেটওয়ার্ক। চলচ্চিত্রটিতে জুকারবার্গের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, জেসি আইসেনবার্গ।
৩৮. ত্রিশ বছরে পা রেখেই নতুন দৃষ্টিভঙ্গি জানিয়েছেন জুকারবার্গ। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সেবা গ্রহণকারীদের জন্য স্নেহপূর্ণ সংস্কৃতি গড়ে তোলাটাই আমার লক্ষ্য।’
(সংগ্রহে: মোঃ নাসির, নিউ জার্সি, আমেরিকা)