প্রচ্ছদ

বাংলাদেশি কর্মীরা পরিশ্রমী, দক্ষ ও আন্তরিক: মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী

  |  ১৪:৩৭, জুলাই ১০, ২০২০
www.adarshabarta.com

আদর্শ বার্তা ডেস্ক :

বাংলাদেশি কর্মীরা অনেক পরিশ্রমী, দক্ষ ও আন্তরিক। তারা মালয়েশিয়ার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে এবং এসব কর্মীদের সুরক্ষা প্রদান করা হবে। বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহম্মদ শহীদুল ইসলামের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এ মন্তব্য করেন।

সাক্ষাতে ছুটিতে গিয়ে দেশে আটকে পড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাপারে ইতিবাচক আলোচনা হয়।এসময় মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, খুব শিগগিরই ছুটিতে দেশে গিয়ে আটকেপড়া কর্মীরা মালয়েশিয়ায় ফিরতে পারবেন। আর যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ তাদের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এসময় বাংলাদেশি কর্মী এবং দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আন্তরিক আলোচনা হয়। হাইকমিশনার মুহ. শহীদুল ইসলাম মালয়েশিয়ার নবনিযুক্ত মানবসম্পদমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান এবং করোনাকালে এ সাক্ষাৎকার প্রদান করায় ধন্যবাদ জানান। আলোচনাকালে হাইকমিশনার করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতার জন্য মালয়েশিয় সরকারের প্রশংসা করেন।

হাইকমিশনার করোনা পরিস্থিতিতে চলাচল নিয়ন্ত্রণ আদেশ সময়ে মালয়েশিয়া সরকার এবং বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গে বাংলাদেশ হাইকমিশন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের কল্যাণে যে কাজ করেছে তা এক অনন্য অভিজ্ঞতা হিসেবে উল্লেখ করেন। বিশেষ করে করোনার কারণে বিপদগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের নিকট খাবার সহায়তা পৌঁছে দেয়া, চাকরি ও বেতন নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় কোয়ারেন্টিন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য হাইকমিশনার ধন্যবাদ জানান। তিনি করোনা পরিস্থিতির শিকার হয়ে বাংলাদেশি কর্মীকে যাতে নিজ দেশে ফিরে যেতে না হয় এজন্য নিয়োগকর্তা পরিবর্তনের সুযোগ প্রদান করায়ও ধন্যবাদ জানান।

এসময় মানবসম্পদ মন্ত্রী সঠিকভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে সরকারের ভিশনারি নেতৃত্ব দেয়া এবং সফলতার সঙ্গে করোনা মোকাবেলায় সাহসী নেতৃত্ব প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। মন্ত্রী বলেন, ডিটেনশন সেন্টারে থাকা বিদেশিদের বৈধতা দিয়ে কর্মে নিয়োগ এবং অবৈধদের বৈধতা প্রদানের জন্য মালয়েশিয়া সরকার কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, নিয়োগকর্তারা যাতে বিদেশি কর্মীদের সুরক্ষিত কর্মপরিবেশ, যথাযথ আবাসন এবং নিয়মিত বেতন নিশ্চিত করে সেসব বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদান করেছে। তিনি বলেন, বিদেশি কর্মীদের সার্ভিস বেনিফিট প্রদান করা হবে এবং সেভিংসের ব্যবস্থা করা হবে যাতে একেবারে শূন্য হাতে নিজ দেশে ফিরে যেতে না হয়।

হাইকমিশনার বলেন, মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে ছুটিতে যাওয়া বাংলাদেশি কর্মীরা কাজে যোগ দিতে চায় এবং অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে; কেননা ছুটিতে থাকায় পারমিট রিনিউ করতে পারেনি। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যাদের ভিসার মেয়াদ আছে তারা নিয়ম মেনে মালয়েশিয়া আসতে পারবেন এবং যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে তারা যাতে আবার মালয়েশিয়ায় আসতে পারে সে বিষয়ে সরকার শিগগিরই ঘোষণা দেবে।

সাক্ষাৎকালে মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মোহা. খাইর আজমান বিন মোহামেদ আনুয়ার, আন্ডার সেক্রেটারি (পলিসি) ড. নুর মাজনি বিনতি আবদুল মজিদ, আন্ডার সেক্রেটারি ড. জাকি বিন জাকারিয়া, প্রিন্সিপয়াল অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি শাবুদ্দিন বিন বকর এবং হাইকমিশনের লেবার কাউন্সেলর মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, লেবার কাউন্সেলর-২ মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল এবং ২য় শ্রম সচিব ফরিদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।