প্রচ্ছদ

করোনাভাইরাস: সারাদেশে ২৯০৩টি আইসিইউ বেড খালি

  |  ১৪:১৭, জুলাই ০৯, ২০২০
www.adarshabarta.com

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারাদেশে কোভিড ডেডিগেশন হাসপাতালগুলিতে এখন পর্যন্ত সাধারণ বেড সংখ্যা ১৪ হাজার ৯৪৫টি। দেশে আইসিইউ বেড সংখ্যা মোট ৩ হাজার ৯৪টি, যার মধ্যে বর্তমানে খালি আছে ২ হাজার ৯০৩টি বেড।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, কোভিড ডেডিগেশন হাসপাতালগুলির মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে সাধারণ রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৩০৫টি। ভর্তি রোগী ১ হাজার ৫২৩ জন। শয্যা খালি আছে ৪ হাজার ৭৮২টি। মহানগরীতে আইসিইউ বেড সংখ্যা ১৪২টি, ভর্তি রোগী ৮৬জন, আইসিইউ বেড খালি আছে ৫৬টি।

‘চট্টগ্রামে সাধারণ শয্যা আছে ৬৫৭টি। রোগী ভর্তি ৩৩৪জন এবং খালি আছে ৩২৩টি। সেখানে আইসিইউ বেড রয়েছে ৩৯টি, রোগী ভর্তি আছে ২০ জন এবং আইসিইউ বেড খালি আছে ১৯টি।’

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘সারাদেশে কোভিড ডেডিগেশন হাসপাতালে সাধারণ শয্যা ১৪ হাজার ৯৪৫টি। ভর্তি করা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৫৯৬টি। সারাদেশে আইসিইউয়ের বেড সংখ্যা ৩ হাজার ৯৪টি। আইসিইউ বেডে ভর্তি সংখ্যা ১৯১ জন। আইসিইউ বেড খালি আছে ২ হাজার ৯০৩টি।’

মোট মৃত্যুর পরিসংখ্যান
এ পর্যন্ত যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে এক হাজার ৭৭০ জন পুরুষ এবং ৪৬৮ জন নারী। শতকরা হিসাবে পুরুষের মৃত্যুহার ৭৯ দশমিক ০৯ এবং নারীর মৃত্যুহার ২০ দশমিক ৯১।

বয়স বিবেচনায় শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সীদের মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সীদের ১ দশমিক ১৬ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ, ত্রিশোর্ধ্বদের ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, চল্লিশোর্ধ্বদের ১৪ দশমিক ৬১ শতাংশ, পঞ্চাশোর্ধ্বদের ৩১ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং ষাটোর্ধ্বদের মৃত্যুহার ৪৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।

বিভাগভিত্তিক মৃত্যুহার ঢাকায় সর্বোচ্চ ৫০ দশমিক ৪০ শতাংশ। এরপর চট্টগ্রামে ২৬ দশমিক ১৪ শতাংশ, রাজশাহীতে ৫ দশমিক ০১ শতাংশ, খুলনায় ৫ দশমিক ০১ শতাংশ, বরিশালে ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ, সিলেটে ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ, রংপুরে ৩ দশমিক ০১ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ২ দশমিক ৪১ শতাংশ।

আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনের তথ্য
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ৮৭৯ জনকে এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৩৪ হাজার ২২ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৬৮ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৫৫ জন।বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৭ হাজার ৬৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ২৮২ জন, এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে তিন লাখ ৮৬ হাজার ৫৮১ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ১৭৪ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন থেকে মোট ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ২০ হাজার ৪৮৫ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬৩ হাজার ১০৬ জন।

করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে ও পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষিত রাখতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি পালনের আহ্বান জানান ডা. নাসিমা সুলতানা।