প্রচ্ছদ

অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান-এর ফেইসবুক ওয়াল থেকে

  |  ১২:৩২, জুন ১৭, ২০২০
www.adarshabarta.com

Manual2 Ad Code

লাল হলুদ সবুজ

COVID-19 এর টেস্টের জন্য যাদের নমুনা নেয়া হয় তাদেরকে টেলিফোনে এসএমএসের মাধ্যমে টেস্টের ফলাফল জানিয়ে দেয়া হয় এবং কেন্দ্রীয় ভাবে এ তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। গত ১৪ দিনে যাদের রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে তাঁরা এই মুহূর্তে কোথায় অবস্থান করছেন তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তা জানা সম্ভব

শনাক্তকৃত ব্যক্তিদের অবস্থানের ঘনত্ব অনুযায়ী এলাকাগুলোকে লাল, হলুদ ও সবুজ এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়। এলাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী যদি এক লক্ষ লোকের মধ্যে ৪০ জনেরও অধিক শনাক্তকৃত রোগী থাকে ওই এলাকাটি লাল জোনে পড়বে, এর কম হলে হলুদ, এবং রোগীর সংখ্যা অতি নগণ্য হলে অথবা রোগী না থাকলে ওই এলাকা সবুজ জোনে পড়বে। যেসব এলাকা লাল জোনে পড়বে তারমধ্যে সবচেয়ে আক্রান্ত রোড, মহল্লা, পাড়া,ইউনিয়ন, বা গ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী (লাল জোনের নির্দিষ্ট অংশ বা অংশসমূহ) স্থানীয় প্রশাসন লকডাউন ঘোষণা করবেন । স্থানীয় পর্যায়ে যত রকমের সংস্থা আছে সবাই মিলে এ লক্ষ্যে গঠিত স্বেচ্ছাসেবক দলের সহযোগিতায় এই লকডাউন কার্যকর করবেন।

Manual3 Ad Code

লকডাউন কার্যকরের দুই তিন দিন আগেই এলাকায় মাইকিং করে সবাইকে তা জানিয়ে দেওয়া হবে এলাকাটিতে কখন থেকে লকডাউন করা হবে। লকডাউনকৃত এলাকা থেকে কেউ বের হতে পারবেন না ওখানে কেউ যেতে পারবেন না। লকডাউনকৃত এলাকায় মেইন রোড (যদি থাকে) দিয়ে গণপরিবহন চলাচল করবে কিন্তু যাত্রী ওঠানামা করার জন্য স্টপেজ থাকবে না। লকডাউন এলাকার অফিস-আদালত, দোকানপাট,বাজার সবকিছু বন্ধ থাকবে। এলাকায় সাধারণ ছুটি কার্যকর হবে। এই এলাকায় বসবাস করেন কিন্তু অন্যত্র চাকরি করেন( সরকারি এবং বেসরকারি) সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তারা ছুটিতে থাকবেন। এর জন্য তাদের কারো চাকরি যাবে না। যেহেতু দুই তিন দিন আগেই প্রস্তুতি নিয়ে এই কাজটি করা হবে সামর্থ্যবানরা তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী এবং জরুরি পণ্য এমনকি বিড়ি- সিগারেট, পান তিন সপ্তাহের জন্য সংগ্রহ করবেন।

Manual2 Ad Code

পরবর্তীতে অবশ্য যাদের সামর্থ্য থাকবে তাদেরকে মূল্য প্রদানের বিনিময়ে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে অনলাইনে বা ভ্রাম্যমান ভ্যান গাড়ির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে। লকডাউনকৃত এলাকায় করোনার টেস্ট, চিকিৎসা ও অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনে রোগীকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা থাকবে। যারা হতদরিদ্র তাদেরকে সরকারিভাবে এই সময় খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।

এই সামান্য কথাগুলো স্পষ্ট করে বলার জন্য সরকারে কি একজন লোকও নেই ? ‘টক শো’ গুলো দেখলে বিভ্রান্তি আরো বাড়ে । উপস্থাপকেরই বিভ্রান্তি দূর করা যাচ্ছে না। সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তি দূর হবে কিভাবে। সরকারি প্রজ্ঞাপনগুলো বিভ্রান্তিতে ভরা অথবা অস্পষ্ট। এমন কেন হচ্ছে? আমার প্রিয় ছাত্র জনাব ফরহাদ হোসেন এমপি (মাননীয় সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী),যাকে ক্লাসে marketing communication পড়িয়েছিলাম, আপ্রাণ চেষ্টা করছেন কিন্তু বিভ্রান্তি এখনও দূর হচ্ছে না। বিষয়টি সুস্পষ্ট করে জাতীয় গণমাধ্যমে পৃথক ঘোষণা বারবার প্রচার করতে হবে।

Manual5 Ad Code

(অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। উপাচার্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)

Manual6 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code