প্রচ্ছদ

গুগল আর ফেইসবুকের নানা বিকল্প

  |  ২২:৩১, এপ্রিল ২২, ২০২০
www.adarshabarta.com

Manual7 Ad Code

আদর্শ বার্তা ডেস্ক :

নেটের দুনিয়ায় কিছু খুঁজতে গেলে শুধু গুগলেই হাতড়ে বেড়ান? নিজের একখানা প্রোফাইল শুধুই ফেসবুকে? আর ই-মেইল বলতে এখনো শুধু জিমেইলকেই বোঝেন? তাহলে নেট দুনিয়ার একটা বড় জগৎ আপনার অধরাই রয়ে গেল। কেননা গুগল ফেসবুকেরও আছে বিকল্প। জানাচ্ছেন ফয়সল আবদুল্লাহ

Manual1 Ad Code

আপনার বন্ধু কারা, কার সঙ্গে কী কথা হয় আপনার, কী খেতে পছন্দ করেন, কোথায় কোথায় যাওয়া-আসা করছেন—এ সবকিছুই কিন্তু ওরা জানে। ওরা আবার এ কথাও দিয়েছে, আপনার ব্যক্তিগত কোনো তথ্য কাউকে বলবে না। অবশ্য ওরা যদি মুখ ফসকে কিছু বলেও থাকে, সেটাও আপনি বুঝতে পারবেন না। ওরা কারা? আপনার অতি পরিচিত ফেসবুক আর গুগল। আপনার প্রতিটি সার্চ, প্রতিটি পোস্ট, লাইক, মেসেজ, কমেন্ট যাদের নখদপর্ণে। আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যারা চাইলে লিখে ফেলতে পারবে কয়েক খণ্ডের আত্মজীবনী!

কদিন আগেই মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহারের জন্য অভিযুক্ত হয়েছিল ‘কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা’ নামের একটি রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা। সংস্থাটির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার দায়ে ফেসবুককে ৫০০ কোটি ডলারের জরিমানা করা হবে শিগগিরই। এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে উপায়? আছে বিকল্প। একটা বড় প্রতিষ্ঠানের হাতে নিজের সব কিছু তুলে না দিয়ে বরং নিজের প্রয়োজনমতো এমন কিছু প্রতিষ্ঠান বাছাই করে নিতে পারেন, যারা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে ‘যা খুশি তাই’ করবে না। কারণ ছোট প্রতিষ্ঠানের তো আর কোটি কোটি ডলার জরিমানা দেওয়ার সেই সামর্থ্যটুকু নেই।

Manual3 Ad Code

ফেসবুকের এমন বিকল্প আছে অসংখ্য। তবে এর মধ্যে আপাতত ছোট পরিসরে জনপ্রিয় সাইট হলো ‘সোশ্যাল ডট আইও’ Social.io। ফেসবুকের বুস্টিংয়ের ভোক্তা ঠিক করার মতো এ সাইট আপনার তথ্য বিজ্ঞাপনদাতাদের হাতে তুলে দেবে না। এতে আছে ‘ব্লকচেইন’ ব্যবস্থা। তাই আপনার প্রফাইলে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ভাইরাস হানা দিতে পারবে না। এর বাইরে এই যোগাযোগ মাধ্যমটিতে মেসেঞ্জার ও ওয়াল পোস্টের মতো সব অপশনই পাবেন।

আছে ‘এলো’ (ello.co)-এর মতো সাইটও। এটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে দিনকে দিন। মূলত যারা শিল্পকলার কোনো একটি ধারার সঙ্গে জড়িত আছেন, তাঁরাই এখানে প্রফাইল তৈরি করেন। ছবি আঁকা, গ্রাফিকস ডিজাইন, সিনেমা এমন সব বিষয় নিয়েই এই সামাজিক যোগাযোগ সাইট।

Manual7 Ad Code

আরো আছে নানা মনের সমাহার মাইন্ডস (minds.com)। প্রফাইল, টাইমলাইন, ছবি, বার্তা আদান-প্রদান—এ সবই আছে এতে। তবে এটি ওপেন-সোর্স কোড সাইট। মানে এর কোডগুলো উন্মুক্ত। নিজস্ব ও মৌলিক ব্লগিং করার ব্যাপারে উৎসাহিত করে এটি। মিউই (MeWe) একটি অ্যাপ। এখানেও মিলবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা। ব্যবহার করতে পারেন ভেরো (vero) ও ডায়াসপোরা (Diaspora)-এর মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও।

অন্যদিকে গুগলকে নিয়েও কম কানাঘুষা নেই। মাঝে মাঝেই বিদেশি গণমাধ্যমে গুগলের কোটি ডলার জরিমানার সংবাদ দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানটি নিজের সাফাইয়ে যা-ই বলুক না কেন, বিকল্প ব্যবহারে তো বাধা নেই? আছে ‘ডাকডাকগো’ (DuckDuckGo)। ২০০৮ সালে সাইটটি তৈরি করেন গ্যাব্রিয়েল ওয়েনবার্গ। সার্চের ফলাফলে যেন স্প্যামাররা ভিড় জমাতে না পারে সে চিন্তা থেকেই এসেছে এ সাইট। সাইটটিতে এখন দিনে পাঁচ কোটিবার তথ্য খোঁজা হচ্ছে। এ সাইটে আপনার খোঁজাখুঁজি বা অন্য কোনো তথ্য জমা থাকবে না। এতে যা খুঁজবেন তেমন ফলাফলই পাবেন। এটি আপনার পছন্দের পণ্য মাথায় রেখে বিজ্ঞাপনী সাইট দেখাবে না।

‘প্রোটনমেইল’-এর প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ডি ইয়েন
‘মানুষ অনলাইনে যেসব সেবা ব্যবহার করছে সেখানে গোপনীয়তা চাইবেই। আর এর জন্য তাদের চাই একটা সরল প্রযুক্তি। ডাকডাকগো সার্চ বিভিন্ন উৎস থেকে ফলাফল সংগ্রহ করে থাকে। আর তাই প্রাসঙ্গিক তথ্য হাজির করাটা সহজ। এর জন্য ব্যবহারকারীর সার্চ হিস্ট্রি বা প্রফাইলের তথ্য সংরক্ষণের প্রয়োজন হয় না।’ জানালেন সাইটটির যোগাযোগ ব্যবস্থাপক ডেনিয়েল ডেভিস।

সাইটটির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হলেও সেটা ব্যবহারকারীর পিসি বা ল্যাপটপের সংরক্ষিত তথ্য ব্যবহার করে না।

একই কারণে ক্রোমের বিকল্প হিসেবে আপনি ব্যবহার করতে পারেন ‘ফায়ারফক্স’ কিংবা ‘ব্রেভ’ (Brave)। ব্রেভ তুলনামূলক নতুন ব্রাউজার। তার পরও এটির মাসিক ব্যবহারকারী আছে ৮৭ লাখ। যাঁরা ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা করেন, মূলত তাঁদের কাছেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ব্রাউজারটি। দেখা যাচ্ছে তাঁরাই আবার জিমেইলের পরিবর্তে ব্যবহার করছেন ‘প্রোটনমেইল’। বিনা মূল্যের এই ই-মেইল সেবার গ্রাহক কিন্তু দুই কোটি! কারণ ওই একটাই—গোপনীয়তা। প্রোটনমেইলে আসা-যাওয়া করা মেইলগুলো থাকে আগাগোড়া এনক্রিপটেড। মানে আপনি যাকে মেইল করলেন তার হাত পর্যন্ত পৌঁছানোর আগে প্রোটনমেইলের কর্মীরাও জানবে না ওতে কী লেখা আছে।

নেটের দুনিয়ায় কিছু খুঁজতে গেলে শুধু গুগলেই হাতড়ে বেড়ান? নিজের একখানা প্রফাইল শুধুই ফেসবুকে? আর ই-মেইল বলতে এখনো শুধু জিমেইলকেই বোঝেন? তাহলে নেট দুনিয়ার একটা বড় জগৎ আপনার অধরাই রয়ে গেল। কেননা গুগল ফেসবুকেরও আছে বিকল্প। জানাচ্ছেন ফয়সল আবদুল্লাহ

আপনার বন্ধু কারা, কার সঙ্গে কী কথা হয় আপনার, কী খেতে পছন্দ করেন, কোথায় কোথায় যাওয়া-আসা করছেন—এ সবকিছুই কিন্তু ওরা জানে। ওরা আবার এ কথাও দিয়েছে, আপনার ব্যক্তিগত কোনো তথ্য কাউকে বলবে না। অবশ্য ওরা যদি মুখ ফসকে কিছু বলেও থাকে, সেটাও আপনি বুঝতে পারবেন না। ওরা কারা? আপনার অতি পরিচিত ফেসবুক আর গুগল। আপনার প্রতিটি সার্চ, প্রতিটি পোস্ট, লাইক, মেসেজ, কমেন্ট যাদের নখদপর্ণে। আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যারা চাইলে লিখে ফেলতে পারবে কয়েক খণ্ডের আত্মজীবনী!

Manual5 Ad Code

কদিন আগেই মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহারের জন্য অভিযুক্ত হয়েছিল ‘কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা’ নামের একটি রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা। সংস্থাটির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার দায়ে ফেসবুককে ৫০০ কোটি ডলারের জরিমানা করা হবে শিগগিরই। এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে উপায়? আছে বিকল্প। একটা বড় প্রতিষ্ঠানের হাতে নিজের সব কিছু তুলে না দিয়ে বরং নিজের প্রয়োজনমতো এমন কিছু প্রতিষ্ঠান বাছাই করে নিতে পারেন, যারা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে ‘যা খুশি তাই’ করবে না। কারণ ছোট প্রতিষ্ঠানের তো আর কোটি কোটি ডলার জরিমানা দেওয়ার সেই সামর্থ্যটুকু নেই।

ফেসবুকের এমন বিকল্প আছে অসংখ্য। তবে এর মধ্যে আপাতত ছোট পরিসরে জনপ্রিয় সাইট হলো ‘সোশ্যাল ডট আইও’ Social.io। ফেসবুকের বুস্টিংয়ের ভোক্তা ঠিক করার মতো এ সাইট আপনার তথ্য বিজ্ঞাপনদাতাদের হাতে তুলে দেবে না। এতে আছে ‘ব্লকচেইন’ ব্যবস্থা। তাই আপনার প্রফাইলে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ভাইরাস হানা দিতে পারবে না। এর বাইরে এই যোগাযোগ মাধ্যমটিতে মেসেঞ্জার ও ওয়াল পোস্টের মতো সব অপশনই পাবেন।

আছে ‘এলো’ (ello.co)-এর মতো সাইটও। এটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে দিনকে দিন। মূলত যারা শিল্পকলার কোনো একটি ধারার সঙ্গে জড়িত আছেন, তাঁরাই এখানে প্রফাইল তৈরি করেন। ছবি আঁকা, গ্রাফিকস ডিজাইন, সিনেমা এমন সব বিষয় নিয়েই এই সামাজিক যোগাযোগ সাইট।

আরো আছে নানা মনের সমাহার মাইন্ডস (minds.com)। প্রফাইল, টাইমলাইন, ছবি, বার্তা আদান-প্রদান—এ সবই আছে এতে। তবে এটি ওপেন-সোর্স কোড সাইট। মানে এর কোডগুলো উন্মুক্ত। নিজস্ব ও মৌলিক ব্লগিং করার ব্যাপারে উৎসাহিত করে এটি। মিউই (MeWe) একটি অ্যাপ। এখানেও মিলবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা। ব্যবহার করতে পারেন ভেরো (vero) ও ডায়াসপোরা (Diaspora)-এর মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও।

অন্যদিকে গুগলকে নিয়েও কম কানাঘুষা নেই। মাঝে মাঝেই বিদেশি গণমাধ্যমে গুগলের কোটি ডলার জরিমানার সংবাদ দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানটি নিজের সাফাইয়ে যা-ই বলুক না কেন, বিকল্প ব্যবহারে তো বাধা নেই? আছে ‘ডাকডাকগো’ (DuckDuckGo)। ২০০৮ সালে সাইটটি তৈরি করেন গ্যাব্রিয়েল ওয়েনবার্গ। সার্চের ফলাফলে যেন স্প্যামাররা ভিড় জমাতে না পারে সে চিন্তা থেকেই এসেছে এ সাইট। সাইটটিতে এখন দিনে পাঁচ কোটিবার তথ্য খোঁজা হচ্ছে। এ সাইটে আপনার খোঁজাখুঁজি বা অন্য কোনো তথ্য জমা থাকবে না। এতে যা খুঁজবেন তেমন ফলাফলই পাবেন। এটি আপনার পছন্দের পণ্য মাথায় রেখে বিজ্ঞাপনী সাইট দেখাবে না।

‘প্রোটনমেইল’-এর প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ডি ইয়েন
‘মানুষ অনলাইনে যেসব সেবা ব্যবহার করছে সেখানে গোপনীয়তা চাইবেই। আর এর জন্য তাদের চাই একটা সরল প্রযুক্তি। ডাকডাকগো সার্চ বিভিন্ন উৎস থেকে ফলাফল সংগ্রহ করে থাকে। আর তাই প্রাসঙ্গিক তথ্য হাজির করাটা সহজ। এর জন্য ব্যবহারকারীর সার্চ হিস্ট্রি বা প্রফাইলের তথ্য সংরক্ষণের প্রয়োজন হয় না।’ জানালেন সাইটটির যোগাযোগ ব্যবস্থাপক ডেনিয়েল ডেভিস।

সাইটটির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হলেও সেটা ব্যবহারকারীর পিসি বা ল্যাপটপের সংরক্ষিত তথ্য ব্যবহার করে না।

একই কারণে ক্রোমের বিকল্প হিসেবে আপনি ব্যবহার করতে পারেন ‘ফায়ারফক্স’ কিংবা ‘ব্রেভ’ (Brave)। ব্রেভ তুলনামূলক নতুন ব্রাউজার। তার পরও এটির মাসিক ব্যবহারকারী আছে ৮৭ লাখ। যাঁরা ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা করেন, মূলত তাঁদের কাছেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ব্রাউজারটি। দেখা যাচ্ছে তাঁরাই আবার জিমেইলের পরিবর্তে ব্যবহার করছেন ‘প্রোটনমেইল’। বিনা মূল্যের এই ই-মেইল সেবার গ্রাহক কিন্তু দুই কোটি! কারণ ওই একটাই—গোপনীয়তা। প্রোটনমেইলে আসা-যাওয়া করা মেইলগুলো থাকে আগাগোড়া এনক্রিপটেড। মানে আপনি যাকে মেইল করলেন তার হাত পর্যন্ত পৌঁছানোর আগে প্রোটনমেইলের কর্মীরাও জানবে না ওতে কী লেখা আছে।

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code