প্রচ্ছদ

অভিবাসীদের জন্য আরও ডরমিটরি বানাচ্ছে সিঙ্গাপুর

  |  ১৪:২৯, জুন ০৩, ২০২০
www.adarshabarta.com

Manual8 Ad Code

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

Manual5 Ad Code

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণের শিকার সিঙ্গাপুর। ছোট্ট দেশটিতে ইতোমধ্যেই ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে ধরা পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস, এদের মধ্যে ৯০ শতাংশই বিভিন্ন ডরমিটরিতে বসবাসকারী অভিবাসী শ্রমিক।

প্রায় ৬০ লাখ জনসংখ্যার ছোট্ট নগররাষ্ট্রটিতে শ্রমশক্তির এক-তৃতীয়াংশই অভিবাসী। এর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ এশীয় দেশগুলোর কর্মীরা নিবন্ধিত ৪৩টি ডরমিটরিতে বসবাস করেন। সেখানে একেকটি রুমে গাদাগাদি করে থাকেন অন্তত ২০ জন করে। তাদের সবাই একই বাথরুম ও রান্নাঘর ব্যবহার করেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের জায়গায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব। এ কারণে সেসব জায়গায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও অত্যন্ত বেশি। ইতোমধ্যেই সিঙ্গাপুরের বেশ কয়েকটি ডরমিটরিতে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে নভেল করোনাভাইরাস। আর এর জন্য কর্তৃপক্ষের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নেয়াকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Manual7 Ad Code

এই সংকট সমাধানে আরও কয়েকটি নতুন ডরমিটরি তৈরির ঘোষণা দিয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার। নগররাষ্ট্রটিতে বর্তমানে ১৪ লাখেরও বেশি অভিবাসী শ্রমিক রয়েছেন। চলতি বছরের মধ্যেই ৬০ হাজার এবং আগামী কয়েক বছরে লক্ষাধিক অভিবাসীর থাকার জায়গা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের জাতীয় উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী লরেন্স ওং।

সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, মহামারির মতো ঝুঁকি এবং ডরমিটরিতে বসবাসকারীদের ঘনত্ব কমাতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, নতুন ডরমিটরিগুলো পুরোপুরি পূর্ণ না-ও হতে পারে। সেক্ষেত্রে পুরনো ডরমিটরিতে ভিড় কমাতে থেকে কিছু শ্রমিককে সরিয়ে আনা হবে।

Manual5 Ad Code

ওং জানান, আধা-স্থায়ী আবাসন ব্যবস্থায় তৈরি হচ্ছে ৬০ হাজার বেডের ‘কুইক ডর্ম’গুলো। স্বল্প ও মাঝারি মেয়াদে সরকারি বিভিন্ন অব্যবহৃত স্থাপনাকে ডরমিটরিতে রূপান্তরিত করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের কর্মীদের কর্মস্থলেই একসঙ্গে থাকার ব্যবস্থা করা হবে।

Manual2 Ad Code

দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১১টি নতুন ডরমিটরি ভবন তৈরি করা হবে আগামী দুই বছরের মধ্যে। সেখানে অন্তত ৬০ হাজার শ্রমিক থাকতে পারবেন।

সূত্র: দ্য স্ট্রেইট টাইমস

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code