প্রচ্ছদ

মঙ্গলে অক্সিজেন তৈরি করল নাসা

  |  ২২:৪৮, এপ্রিল ২৩, ২০২১
www.adarshabarta.com

Manual1 Ad Code

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা মঙ্গল গ্রহে পারসিভিয়ারেন্স রোভার নামের যে মহাকাশযান পাঠিয়েছে, সেটির একটি ছোট্ট যন্ত্র মঙ্গলের কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করে তা থেকে অক্সিজেন তৈরি করেছে। নাসার এই মঙ্গল অভিযানে এটি এ ধরনের দ্বিতীয় প্রযুক্তিগত সাফল্য। এর আগে পারসিভিয়ারেন্স থেকে একটি মিনি হেলিকপ্টার উড়েছিল লাল গ্রহের ওপর।

Manual5 Ad Code

যে যন্ত্রটি দিয়ে মঙ্গল গ্রহে অক্সিজেন তৈরি করা হয়েছে, সেটি আকারে একটি পাউরুটি সেঁকার টোস্টারের সমান। এর নাম ‘মার্স অক্সিজেন ইন-সিটু রিসোর্স ইউটিলাইজেশন এক্সপেরিমেন্ট’ বা সংক্ষেপে মোক্সি। যন্ত্রটি পাঁচ গ্রাম গ্যাস তৈরি করেছে, যা দিয়ে মঙ্গল গ্রহে একজন নভোচারী বড়জোর ১০ মিনিট শ্বাস নিতে পারবেন।
নাসা মনে করছে, ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে মানুষের অভিযানের সময় তাদের পুরোটা সময়ের জন্য যে অক্সিজেনের দরকার হবে, তা পৃথিবী থেকে বহন করে নেওয়ার পরিবর্তে মোক্সি নামের এই যন্ত্রেরই আরো বড় কোনো সংস্করণ সঙ্গে নেওয়া যেতে পারে।

Manual3 Ad Code

মহাকাশে যেতে যে রকেট ব্যবহৃত হয়, সেই রকেট চালানোর জন্যও অক্সিজেন লাগে। অক্সিডাইজারের উপস্থিতিতে জ্বালানি পুড়িয়ে রকেট সামনে অগ্রসর হওয়ার গতি অর্জন করে। এই অক্সিডাইজার হিসেবে সাধারণ অক্সিজেনও ব্যবহার করা যায়।

Manual7 Ad Code

মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডই বেশি, প্রায় ৯৬ শতাংশ। অক্সিজেন আছে মাত্র ০.১৩ শতাংশ। অথচ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আছে ২১ শতাংশ অক্সিজেন।

মোক্সি নামের যন্ত্রটি মঙ্গলের কার্বন ডাই-অক্সাইডের অণু থেকে অক্সিজেন বের করতে পারে। কার্বন ডাই-অক্সাইডের প্রতিটি অণুতে থাকে কার্বনের একটি এবং অক্সিজেনের দুটি পরমাণু। আর এই অক্সিজেন বের করে নেওয়ার পর যে কার্বন মনোক্সাইড অবশেষ হিসেবে থেকে যায়, তা ছেড়ে দেওয়া হয় মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডলে।

নাসার যে টিম মোক্সি যন্ত্রটি চালাচ্ছে, তারা বিভিন্নভাবে এটি পরীক্ষা করে দেখছে, কিভাবে একে সবচেয়ে ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়। তাদের প্রত্যাশা, এটি দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় ১০ গ্রাম পর্যন্ত অক্সিজেন উৎপাদন করা যাবে।

নাসার স্পেস টেকনোলজি মিশন ডাইরেক্টরেটের টেকনোলজিবিষয়ক পরিচালক ট্রাডি কোর্টেস বলেন, ‘মোক্সি যে ভিনগ্রহে অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্রথম যন্ত্র শুধু তা-ই নয়, এটি হচ্ছে এ ধরনের প্রথম প্রযুক্তি, যা ভবিষ্যতের অভিযানগুলোকে ভিন্ন কোনো গ্রহে সেখানকার পরিবেশের উপাদান ব্যবহার করেই বেঁচে থাকতে সহায়তা করবে।’

সূত্র: বিবিসি।

Manual3 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code