লকডাউনে ৩৩৩ নম্বরে নাগরিকদের দ্বিগুণেরও বেশি কল
আদর্শবার্তা ডেস্ক :
করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে ৩৩৩ নম্বরে কলারদের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে গেছে। জাতীয় হেল্পলাইন ও তথ্য বাতায়ন কেন্দ্রের হটলাইন শর্টকোড নম্বর ৩৩৩। এই নম্বরে বর্তমানে দৈনিক ৩০ থেকে ৩৫ হাজার ফোন কল আসে। কিন্তু বিগত দুই মাসে এর পরিমাণ বেড়েছে দ্বিগুণ। বর্তমানে প্রতিদিন প্ল্যাটফর্মটিতে ৭০ হাজারের বেশি ফোন কল আসছে। এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতেও প্ল্যাটফর্মটিতে নাগরিকদের ফোন কলের সংখ্যা বেড়ে যায়।
বিশেষ করে করোনার সময়ে হোম কোয়ারেন্টিন তথ্য জানতে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার ৮৮৮, করোনা সম্পর্কে জানতে চার লাখ ৬১ হাজার ৪৬৯, সরাসরি চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে চার লাখ ৪৮ হাজার ৯৪১, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিতে ৩৩ হাজার ২৫১, কোয়ারেন্টিন অনুরোধ জানিয়ে ছয় হাজার ৮৪৪, মা-টেলিহেলথ সেবা নিতে ৮৯ হাজার ৭৪৯ এবং কোভিড-১৯ পজিটিভদের মধ্যে থেকে এক লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৩টি কল আসে। এছাড়াও জরুরি খাদ্য এবং অন্যান্য সেবা সম্পর্কে চার লাখ নয় হাজার ৮১৩টি কল আসে যেগুলো স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়। অবশ্য এই সেবাটি গত বছরের ৩১ অক্টোবরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে নিত্যপণ্য অথবা ওষুধ ক্রয়ের ক্ষেত্রে এখনও সেবা দিয়ে যাচ্ছে ৩৩৩। এ বিষয়ে প্ল্যাটফর্মটিতে কল এসেছে সাত লাখ ছয় হাজার ৯১৮টি।
এটুআইর কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া আউটরিচ কনসালট্যান্ট আদনান ফয়সল এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল থেকে চলতি ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত তিন বছরে ৩৩৩ নম্বরে ২ কোটি ৮০ লাখের বেশি ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১ হাজারের বেশি বিভিন্ন সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা হয়েছে।
মোট ফোন কলের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে ৫০ লাখের বেশি ফোন কল এসেছে শুধু করোনা বিষয়ক। এছাড়া ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে ত্রাণ সাহায্য চেয়ে কল এসেছে ১৮ লাখের বেশি। ২০১৪ সালের জুনে প্রায় ২৫ হাজার ওয়েবসাইটের সমন্বয়ে তৈরি করা হয় জাতীয় তথ্য বাতায়ন। পরবর্তীতে এটিতে হেল্পলাইন যুক্ত করা হয় এর শর্টকোড হয় ৩৩৩।
প্রায় এক বছর পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের পর ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয় হেল্পলাইন নম্বরটি।