প্রচ্ছদ

রোজায় ইসুবগুলের ভূষির যত উপকারিতা

  |  ১২:৫১, এপ্রিল ১৮, ২০২১
www.adarshabarta.com

Manual6 Ad Code

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

Manual3 Ad Code

রোজা থাকলে শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা দেয়। এজন্য প্রত্যেক রোজাদার ইফতারে শরবত পান করেন। নানা রকম ফল ও ভেষজ উপাদানে এসব শরবত তৈরি হয়। তবে শরবতের মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত ইসুবগুলের ভূষি।

Manual3 Ad Code

বারডেম হাসপাতালের চিফ নিউট্রিশন অফিসার এবং হেড অব ডিপার্টমেন্ট অব নিউট্রিশন (অব.) আখতারুন নাহার আলো জানিয়েছেন, ভিজিয়ে খাওয়ার চেয়ে শুকনা ইসুবগুলের ভূষি বেশি কার্যকর।

Manual5 Ad Code

তিনি বলেন, ইসুবগুলের ভূষি উদ্ভিদজাত উপাদান এবং এটি আমাদের দেশে উৎপাদিত হয় না। অন্য দেশ থেকে আমদানি করা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যাদের আছে, তাদের জন্য এ ভূষি খুবই উপকারি।

কারণ হিসেবে আখতারুন নাহার জানান, ইসুবগুলের ভূষির বৈশিষ্ট্য হলো, এটি দেহে এক ধরনের শীতল আমেজ দেয়। এজন্য রোজা রেখে ইফতারে ভূষির শরবত খেলে ভালো লাগে। ইসুবগুলের ভূষির ভেতর পানি ধারণক্ষমতা অনেক বেশি। এজন্য ভূষি খেলে আমাদের ক্ষুদ্রান্তে বাড়তি একটা চাপ তৈরি। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

Manual8 Ad Code

এখন কথা হলো কখন ভূষি খেতে হবে এবং কীভাবে? এ বিষয়ে আখতারুন নাহারের পরামর্শ, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে খাবার গ্রহণের দুই ঘণ্টা আগে খেতে হবে। আর যদি ওজন কমানোর জন্য কেউ খেতে চান, খাবারের আগে আগে খেলেই হবে। এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ ভূষি মিশিয়ে সকাল-বিকাল খেতে হবে। এতে খাবারের প্রতি রুচিও বাড়বে।

সব থেকে বড় বিষয়, ইসুবগুলের ভূষির কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা নেই। এটি শুকনা খেতে পারলে খুবই উপকার। মুখের মধ্যে কিছু দানা রেখে হালকা গরম পানি খাবেন। ঠান্ডা পানির চেয়ে গরম পানিতে ইসুবগুলের ভূষির গুণাগুণ অনেক বেড়ে যায়।

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code