প্রচ্ছদ

জামায়াতের সাবেক আমীর মকবুল আহমাদ আর নেই

  |  ১২:৩৫, এপ্রিল ১৩, ২০২১
www.adarshabarta.com

Manual2 Ad Code

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মকবুল আহমাদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। অসুস্থ অবস্থায় গত কয়েকদিন ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি।

Manual8 Ad Code

জামায়াতের বর্তমান আমীর ডা: শফিকুর রহমান তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়ে লিখেন, চলে গেলেন ইসলামী আন্দোলনের এক বর্ণালী মুজাহিদ সাবেক আমীরে জামায়াত জনাব মকবুল আহমাদ। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন…।

আজীবনের এই দা’য়ী ইলাল্লাহ জামায়াতে ইসলামীর কঠিনতম সময়ের কাণ্ডারী। আমাদের জন্য রেখে গেলেন অনেক শিক্ষা এবং উদাহরণ। রাব্বুল আলামীন তাঁর এই গোলামের তামাম জিন্দেগীর সমস্ত ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে নেকিতে পরিণত করে দিন।

Manual7 Ad Code

তাঁর নেক আমলগুলো কবুল করুন। শহীদ হিসেবে কবুল করে তাকে সম্মানিত করুন এবং জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন। মহান রবের কাছে আবেগ ও বুকভরা আকুতি।

শিক্ষাজীবন
মকবুল আহমাদ ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার জয়লস্কর ইউনিয়নের সিলোনিয়া গ্রামে ১৯৩৯ সালের ২ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন।পূর্বচন্দ্রপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু হয়। প্রাথমিক শিক্ষা শেষে দাগনভূঞার কামাল আতাতুর্ক হাই স্কুলে ভর্তি হন। এরপর ১৯৫৭ সালে কৃতিত্বের সাথে জায়লস্কর হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে বিএ পাস করেন।

Manual1 Ad Code

কর্মজীবন
মকবুল আহমদ বিএ পাস করার পর সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। একবছর পর সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন এবং ১৯৭০ সাল পর্যন্ত সরিষাদী উচ্চ বিদ্যালয় ও ফেনী স্ট্রোল হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭০ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ফেনী মহকুমাধীন ‘দৈনিক সংগ্রাম’ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

রাজনৈতিক জীবন
ছাত্রজীবন থেকেই মকবুল আহমদ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ছাত্রজীবন শেষ করে ১৯৬২ সালে তিনি জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন এবং ১৯৬৬ সালে জামায়াতের রুকন (সদস্য) হন। ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত তিনি ফেনী শহর আমিরের দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত মহকুমা আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালের শেষ দিকে তিনি বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা আমিরের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচনে ফেনী সদর ও সোনাগাজী নির্বাচনী এলাকায় জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এবং ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ আসন থেকে অংশ নেন। মকবুল আহমাদ ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
১৯৮৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৩ থেকে তিনি জামায়াতের নায়েবে আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১০ সালের জুনে দলের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে মকবুল আহমাদ ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৬ সালের ১৭ অক্টোবর তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তৃতীয় আমির হিসেবে নির্বাচিত হন।

Manual3 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code