প্রচ্ছদ

আসুন টিকা নিই, উৎসাহিত করি অন্যদেরও : সালমান এফ রহমান

  |  ০৭:৩৩, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
www.adarshabarta.com

Manual7 Ad Code

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

Manual4 Ad Code

করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার আগ্রহ বেড়েই চলছে। প্রথম দিকে মানুষ কিছুটা দ্বিধায় ছিল। টিকা নিলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা ভাবছিল। কিন্তু এখন মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি সবাই টিকা নিচ্ছেন এবং সুস্থই আছেন। তারা সবাইকে টিকা নিতে বলছেন। তাই মানুষের দ্বিধা-দ্ব›দ্ব কেটে যাচ্ছে। দেশজুড়ে গণটিকাদানের চতুর্থ দিনে এসে রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতালের নির্ধারিত কোটা ফুরিয়ে গেছে। অনেকে তাই অন্য হাসপাতালে গিয়ে টিকা দিতে হয়েছে।

Manual5 Ad Code

গতকাল রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনার টিকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। টিকা নেয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আজকে (গতকাল) করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিলাম। আসুন নিজেরা টিকা নিই, অন্যদেরও টিকা নিতে উৎসাহিত করি। আপনার এই অবদান দেশ ও জাতির করোনা যুদ্ধ জয়ে ভূমিকা রাখবে।

Manual6 Ad Code

উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষামূলক টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী দিনে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ২৬ জন নাগরিকের ওপর টিকা প্রয়োগ করা হয়। পরদিন রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে আরো ৫৪১ জনের ওপর পরীক্ষামূলকভাবে এ টিকা প্রয়োগ করা হয়। সর্বশেষ গত রোববার থেকে সারা দেশে একযোগে টিকাদান কর্মসূচি চলছে। সারাদেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরুর চতুর্থ দিনে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪৫১ জন। এর মধ্যে ঢাকায় নিয়েছেন ১৯ হাজার ১১৫ জন। সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এ পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৯ জন। প্রথম দিন টিকা নিয়েছিলেন ৩১,১৬০ জন। দ্বিতীয় দিন নেন ৪৬ হাজার ৫০৯ জন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার টিকা নেন ১ লাখ ১ হাজার ৮২ জন।

গতকাল সালমান এফ রহমান, গত মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সরকারের আরও একজন উপদেষ্টা গওহর রিজভী ও বিভিন্ন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা টিকা নিয়েছেন। করোনার টিকায় বাড়ছে আস্থা। রাজধানীর টিকা কেন্দ্রগুলোতে এখন সেই চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে টিকাদান কেন্দ্রে। বাংলাদেশের মতো এমন উন্নয়নশীল দেশে থেকেও এতো দ্রুত টিকা দিতে পেরে স্বস্তি ছিল সবার মাঝে। তবে এরমধ্যে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতলের নির্ধারিত কোটা শেষ হওয়ায় এখানে যারা স্পট রেজিস্ট্রেশন করছেন তাদের নিবন্ধন হলেও যেতে হচ্ছে ভিন্ন কেন্দ্রে। এতে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে বলে জানান টিকা নিতে আসা ব্যক্তিরা।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস বা গ্যাভি এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের গড়া প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের প্রকাশ করা তালিকা অনুযায়ী, জুনের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ ১২.৮ মিলিয়ন বা এক কোটি ২৭ লাখ ৯২ হাজার ডোজ কোভিড-১৯ টিকা পেতে যাচ্ছে। চলতি মাসের শেষ দিকে এক লাখ ৩১ হাজার টিকা আসবে বলে জানান স্বাস্ত্য সচিব আবদুল মান্নান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, টিকার প্রতি মানুষের আগ্রহ প্রতিদিনই বাড়ছে। যেহেতু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, তাই টিকার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা টিকা নেওয়ার কারণে টিকার প্রতি মানুষের আস্থা এসেছে। এটাও টিকার প্রতি আগ্রহ বাড়ার অন্যতম কারণ। আশা করছি, মানুষের আগ্রহ আরও বাড়বে। আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। আশা করছি, সবাই টিকার সুফল পাবে।

Manual2 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code