প্রচ্ছদ

গণমুখী পুলিশিংয়ের পথে বাংলাদেশ পুলিশ: আইজিপি

  |  ০৯:২০, জুলাই ২৬, ২০২০
www.adarshabarta.com

Manual7 Ad Code

মোঃ নাসির, বিশেষ প্রতিনিধি :

দেশের পুলিশ বিভাগকে গণমুখি করে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশ পুলিশে একটি মৌলিক পরিবর্তন আনতে চাই। একটি সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানকে জীবন্ত থাকতে হলে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, এ পরিবর্তন হতে হবে অর্থবহ। কল্যাণকর পরিবর্তন আনতে হলে পরিবর্তন গ্রহনের মানসিকতা তৈরী হতে হবে সবার আগে। সমন্বিত প্রয়াস এবং ঐকমত্য ব্যতীত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। গণমুখী পুলিশিংয়ের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে বলে জানান আইজিপি।

শনিবার (২৫ জুলাই) আইজিপি হিসেবে নিজের শততম দিনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কৃষ্ণচূড়া সম্মেলন কক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদানকালে ড: বেনজীর এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের এক বা একাধিক লক্ষ্য থাকে। লক্ষ্যবিহীন কোন প্রতিষ্ঠান সামনে এগাতে পারেনা। আমরা বর্তমানে ২০২০ সালে আছি। আগামী ৫, ১০, ৫০ ও ১০০ বছর পরে পুলিশিং কেমন হতে পারে তা বিবেচনায় রেখে বর্তমানের পুলিশিংকে ঢেলে সাজাতে হবে। এ সকল বিষয় মাথায় নিয়েই বিগত একশত দিনে বিভিন্ন স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তা অর্জনের জন্য নানমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, মাদক, দুর্নীতি ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ, পুলিশ সদস্যদের কল্যান ও শৃঙ্খলার বিষয়ে অধিকতর মনোযোগ দেয়া এবং জনগণের দোরগোঁঁড়ায় পুলিশকে নিয়ে যেতে বিট পুলিশিং সেবা বেগবান করার মাধ্যমে রূপকল্প ২০৪১ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ
পুলিশ।

Manual4 Ad Code

আইজিপি বলেন, পরিবর্তন আনতে আমাদের সকলকে মিলে একসাথে কাজ করতে হবে। এ পরিবর্তন হতে হবে অর্থবহ পরিবর্তন। এর ফলে দেশ উপকৃত হবে, জনগণ উপকৃত হবে।

আইজিপি বিগত ১০০ দিনে গৃহীত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের তথ্য তুলে ধরেন।

এছাড়া, সিআইডিতে ডিএনএ ডাটাবেজ ব্যাংক স্থাপন, যৌক্তিক দূরত্বে হাইওয়ে পুলিশ স্টেশন এবং আউটপোস্ট স্থাপন, নৌ পুলিশের আউটপোস্ট স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, সুন্দরবনে নৌ পুলিশের চারটি ক্যাম্প স্থাপন, পিবিআই কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ ত্বরান্বিতকরণ, পুলিশ মেডিকেল সার্ভিসেস গঠনের প্রস্তাবকরণ, ঢাকা ডিভিশনাল পুলিশ হাসপাতাল স্থাপন, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে বিশেষায়িত হাসপাতালে পরিণতকরণ, টুরিস্ট পুলিশের জন্য আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, পুলিশ অফিসারদের জন্য মাসিক পারফরমেন্স রিপোর্ট চালুকরণ,পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে আধুনিক ডিজিটালাইজড কন্ট্রোল রুম স্থাপন।

আইজিপি জানান, সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণেও কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ। এছাড়া পুলিশের পূর্ত কাজের পলিসি গাইডলাইন প্রণয়ন, দায়িত্ব পালনকালে স্মল আর্মস ব্যবহার প্রবর্তন, সকল পর্যায়ের অফিসার এবং বরিশাল জামালপুর এবং গোপালগঞ্জে তিনটি নতুন ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন, এর মধ্যে গোপালগঞ্জে হবে নারীদের ট্রেনিং সেন্টার, আটটি বিভাগীয় শহরে পুলিশের সন্তানদের জন্য আটটি রেসিডেন্সিয়াল স্কুল স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইকরণ ইত্যাদি।

Manual6 Ad Code

তিনি বলেন, আমরা যা করছি, দেশের জন্য, জনগণের জন্য, পুলিশের জন্য করছি। আইজিপি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আসুন, আমরা আমাদের কাজ দিয়ে দেশের মানুষের কাছে পরিচিত হই, আমাদের দক্ষতা দিয়ে পরিচিত হই, মানুষকে ভালোবেসে পরিচিত হই। আমরা দেশের কল্যাণে জনগণের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করি।

Manual7 Ad Code

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিগণ, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ এবং পুলিশ হেডকোয়াার্টার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Manual1 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code