প্রচ্ছদ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্বরণ করলো যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ

  |  ১৫:২৪, আগস্ট ২৬, ২০২০
www.adarshabarta.com

হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :

গত ২৩ আগস্ট, রবিবার, রাত ৯টায় ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্বরণ করলো যুক্তরাস্ট্র আওয়ামী ও আওয়ামী পরিবার। খবর বাপসনিউজ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রখ্যাত গবেষক ও লেখক একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড.জাহাঙ্গীর আলম খাঁন, উপাচার্য, বাংলাদেশ ইউনিভারসিটি অব গ্রোলব্যাল ভিলেজ, বরিশাল।বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন ড.আবদুল আওয়াল, সাবেক উপাচার্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সামসুল আলম হিরু, সভাপতি, গাইবান্ধা আওয়ামী লীগ ও গোলাম মোস্তফা, বাকসু’র সাবেক কমনরুম সম্পাদক (কানাডা প্রবাসী)।
অনুষ্ঠানের সুচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাকসু’র সাবেক জিএস ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ড.প্রদীপ রঞ্জন কর।
অনুষ্ঠানে বক্তারা উল্লেখ করেন,: ২১ আগস্ট এক রক্তাক্ত বিভীষিকাময় দিন। নারকীয় সন্ত্রাসী হামলার ১৬তম বার্ষিকী। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের এই দিনে রাজধানী ঢাকার বুকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় আয়োজিত সমাবেশে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এসে সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা। শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাবেশে চালানো হয় নজিরবিহীন হত্যাযজ্ঞ। গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হিংসার দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করে মানবতাকে। ওই ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীরা মানববর্ম রচনা করে সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে পারলেও গ্রেনেডের আঘাতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ মোট ২৪জন নেতাকর্মী প্রাণ হারান। হামলার ধরন ও লক্ষ্যস্থল থেকে এটা স্পষ্ট যে, শেখ হাসিনাকে হত্যা করাই ছিল ওই গ্রেনেড হামলা ও গুলিবর্ষণের মুল উদ্দেশ্য। এই হামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে শরীরে স্প্লিন্টার নিয়ে আজও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আহত হয়েছিলেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অসংখ্য সাংবাদিক। আজও অনেক নেতাকর্মী সেদিনের সেই গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। অনেক নেতাকর্মী দেশে-বিদেশে চিকিৎসা করালেও তারা এখন পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠতে পারেনি। আমরা এই নারকীয় সন্ত্রাসী গ্রেনেড হামলার নিহতদের স্বরণ করি এবং এ হামলার মাস্টারমাইন্ড বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় কার্যকর করার দাবী জানাচ্ছি।
অন্যান্যদের মাঝে আলোচনায় যারা অংশ নেন তারা হলেন- যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা শরীফ কামরুল আলম হিরা, মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হোসাইন, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন তালুকদার, ফরিদ আলম, মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান চৌধূরী, অধযাপক মমতাজ শাহনাজ, জালালউদ্দিন জলিল, কায়কোবাদ খান, ইঞ্জিঃ মিজানুল হাসান, মোহম্মদ আকতার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি বসির উদ্দিন, ছাদেকুল বদরুজামান পান্না, ডাঃ সুলতান, মাহাবুবুল খসরু, মোহম্মদ মাঈনদ্দিন, মোঃ আলমগীর, দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, শহিদুল ইসলাম, কামরুজ্জামান সিকদার ও রাহিমুল হুদা প্রমুখ।
কনফারেন্সে আরও সংযুক্ত ছিলেন রমেশ নাথ, ইঞ্জিঃ মহম্মদ আলী সিদ্দিকী, এ্যাডঃ শাহ মোহম্মদ বকতিয়ার, এমএ করিম জাহাঙ্গীর, মেসবা অহমেদ, ফরিদ আলম, ইলিয়ার রহমান, আশাফ মাসুক, শেখ জামাল হোসেন, সিবুল মিয়া, মঞ্জুর চৌধূরী, জাকির হোসেন হিরু ভূইয়া, হেলাল মাহমুদ, সুবল দেবনাথ, আশরাফ উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম সরকার, মোল্ল্যা মাসুদ, ইঞ্জি: হাসান, টি মোল্লা, আবুল কাশেম ভুইয়া, উৎফত মোল্লা, নাদের আলী মাষ্টার, রহিমুজ্জামান সুমন, রিণ্টু লাল দাস, মিজনুর রহমান চৌধূরী, ওসমান গনি,সুবল বডুয়া,বিশ্বজিত সাহা, নাসিম পারভীন পারু, ফিরোজ আহমেদ কল্লোল ,ফরিদা আরভি, আতাউর রহমান তালুকদার, হেলেমউদ্দিন, ইফজাল চৌধূরী, মাহাবুবুল খসরু, জামাল বস্ক, মোঃ আলীমউদ্দিন, জাহিদ হাসান, শারমিন তালুকদার ও রাহিমুল হুদা, সহ আরো অনেকে।