প্রচ্ছদ

ভ্যাকসিনের সরবরাহ শুরু হচ্ছে অক্টোবরে

  |  ১৯:৩৫, জুলাই ১১, ২০২০
www.adarshabarta.com

Manual4 Ad Code

মোঃ নাসির, নিউ জার্সি, আমেরিকা থেকে :

চলতি বছরের মধ্যেই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বাজারে আনার ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন, তা হয়তো সত্যি হতে চলেছে। আগামী অক্টোবরের মধ্যেই ভ্যাকসিনটি সরবরাহ করা যাবে বলে আশাবাদী গবেষকরা।

Manual4 Ad Code

মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়ো এন টেক সফল ভ্যাকসিন তৈরির ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছে। জার্মান জৈবপ্রযুক্তি সংস্থা বায়ো এন টেককে সহযোগী করে মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনএ) পদ্ধতিতে এ ভ্যাকসিন তৈরি করছে ফাইজার। ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বোরলা টাইম অনলাইনকে জানিয়েছেন, এর আগে কোনো সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে এমআরএনএ ভিত্তিক ভ্যাকসিন অনুমোদন পায়নি। চলতি মাসের শেষ দিকে বড় আকারে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে বিশ্বের ১৫০টি স্থানে ৩০ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিনটি দেয়া হবে। তারা আশা করছেন আগামী অক্টোবর মাস নাগাদ তাদের ভ্যাকসিনের জন্য ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়ে যাবেন।
বায়ো এন টেক বলছে, তাদের ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ধাপ বা তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা এ মাসের শেষেই শুরু হচ্ছে। এ পরীক্ষায় ৩০ হাজার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। পরীক্ষার ফল চলতি বছরের মধ্যেই জানা যাবে। এরপর প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিনটির অনুমোদন চাওয়া হবে।

Manual8 Ad Code

এদিকে অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ফলাফল বা কার্যকারিতার বিষয়টি আগস্ট মাসের শেষ নাগাদ জানা যাবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট। অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী প্যাসকল সারিওট জানিয়েছেন, তাদের ভ্যাকসিন এক বছর পর্যন্ত কোভিড-১৯–এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে এর ফল জানা যাবে। ভ্যাকসিনের ফলের জন্য অপেক্ষার পাশাপাশি ভ্যাকসিন উৎপাদন চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অক্টোবরেই ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু করা যাবে।

Manual5 Ad Code

প্রসঙ্গত নোভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে গোটা বিশ্ব গলদঘর্ম হচ্ছে। বর্তমানে মোট ১৪৭টি ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্টের কাজ চলছে। এদের মধ্যে ১৮টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং বাকি ১২৯টি প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর্যায়ে আছে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে মানুষের হাতে পৌঁছতে কমপক্ষে আরও ৮ মাস থেকে এক বছর সময় লাগবে।

Manual7 Ad Code

বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশেই টিকা আবিষ্কারের দাবি করেছে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইতোমধ্যে তারা প্রাণীর শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে সফলতা পেয়েছে এবং একইভাবে মানবদেহেও এর সফলতা পাওয়া সম্ভব।

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code