প্রচ্ছদ

মানুষ আগের মতো চললে রক্ষা করা কঠিন হবে : তথ্যমন্ত্রী

  |  ১৮:৫৩, জুন ১৩, ২০২০
www.adarshabarta.com

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার আগে যেভাবে আমরা চলতাম, সেভাবে আর নয়। সেভাবে চললে আমাদের পক্ষে হাসপাতাল প্রস্তুত রেখে এবং আরো আইসোলেশন সেন্টার বানিয়েও এ ভাইরাসের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে, আমার সুরক্ষা আমার হাতে।’

আজ শনিবার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি হলে কেভিড আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ। সিটি হলকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কোভিড সেন্টারে রূপান্তর করেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোও তাদের কাজকর্ম মাসের পর মাস বন্ধ রাখেনি, খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে এখনো মানুষ করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণ করছে, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, এরপরও তারা লকডাউন শিথিল করেছে, কাজকর্ম শুরু করেছে।’

একইসঙ্গে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তার মানে এই নয় যে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হবার আগে আমরা যেভাবে চলতাম, এখনো সেভাবে চলবো। নিজেকে স্বাস্থ্যগতভাবে ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী সুরক্ষিত রেখেই আমরা কাজ করব। তাহলেই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই মহামারি মোকাবিলা করতে পারব আমরা।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক সমস্ত কিছু মনিটর করছেন, তার নির্দেশনাতেই সিটি করপোরেশনসহ আমরা সবাই কাজগুলো করছি- জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে, উন্নত দেশ না হওয়া সত্ত্বেও এ দেশে করোনায় আক্রান্তদের মৃত্যুহার উন্নত দেশ থেকে কম। এই মহামারি সামাল দেওয়ার জন্য উন্নত দেশগুলোও আগে থেকে প্রস্তুত ছিল না, যে কারণে সেখানে লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। আর খেটে-খাওয়া মানুষের উন্নয়নশীল এই দেশেও মানুষের জীবন রক্ষার তাগিদে দুই মাসের বেশি প্রায় সবকিছু বন্ধ ছিল। এখন সীমিত আকারে খোলা হয়েছে। কারণ জীবন এবং জীবিকা দুটিই রক্ষা করতে হবে।’

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পৌনে এক কোটি মানুষের শহর চট্টগ্রামে প্রতিদিন আরো বিশ লাখ মানুষ যাতায়াত করে। এরমধ্যে এ শহরে চার হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। শুরুতে চট্টগ্রাম শহরে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় অনেক সংকট ছিল, এখনো সংকট পুরোপুরি না কাটলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা শুরু থেকেই বিভিন্ন হাসপাতালের সেবা ও সরকারি ব্যবস্থাপনার প্রসারকে উদ্বুদ্ধ করার ফলে অগ্রগতি হয়েছে। যেমন, এই আইসোলেশন সেন্টারের স্থাপনাটি দিয়ে সীকম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক মানবতার কাজ করেছেন।’

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোস্তফা খালেদ আহমদ, সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।