প্রচ্ছদ

অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী বছর ছিল ২০২৩: জাতিসংঘ

  |  ১৪:৩৩, মার্চ ০৭, ২০২৪
www.adarshabarta.com

Manual5 Ad Code

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

Manual2 Ad Code

বিশ্বব্যাপী অভিবাসন রুটে ২০২৩ সালে কমপক্ষে ৮ হাজার ৫৬৫ জন মারা গেছে। গত এক দশকের মধ্যে অভিবাসীদের জন্য এটি সবচেয়ে প্রাণঘাতীর রেকর্ড। জাতিসংঘ বুধবার এ কথা বলেছে। খবর এএফপির।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘২০২৩ সালের নিহতের সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রাণহানি রোধে এখন পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
আইওএম বলেছে, গত বছরের মোট মৃত্যু ২০১৬ সালের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। সেবছর ৮ হাজার ৮৪ জন অভিবাসন প্রত্যাশী প্রাণ হারিয়েছেন।
চলতি বছর এপর্যন্ত ৫১২ জন মৃত্যুর রেকর্ড করা হয়েছে।
আইওএম বলেছে, নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসনের পথ সীমিত থাকার কারণে, প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষ অনিরাপদ পরিস্থিতিতে অনিয়মিত রুটের মাধ্যমে মাইগ্রেট করার চেষ্টা করে।
ভূমধ্যসাগর দিয়ে অধিকাংশ অভিবাসী উত্তর আফ্রিকা থেকে দক্ষিণ ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। এটি অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক পথ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই পথ পাড়ি দিতে গিয়ে গত বছর অন্তত ৩ হাজার ১২৯ জন মারা গেছেন ও অনেকে নিখোঁজ হয়েছেন।
২০১৭ সাল থেকে ভূমধ্যসাগরীয় অভিবাসন রুটে এটিই ছিল সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা। গত বছরের ১৪ জুন শুধু একটি ট্রলার ডুবির ঘটনাতেই গ্রিসের উপকূলে ৬০০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন।
নিহতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী ছিল এশিয়া (২ হাজার ১৩৮ জন) ও আফ্রিকার (১ হাজার ৮৬৬ জন)। আফ্রিকার সাহারা মরুভূমিতে ও স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের সমুদ্রপথে বেশিরভাগ মৃত্যু ঘটেছে। এশিয়ায় গত বছর শতাধিক আফগান ও রোহিঙ্গা শরণার্থীর মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
২০২৩ সালে মোট অভিবাসীর অর্ধেকের বেশি মৃত্যুর ঘটনা শুধু নৌকাডুবির কারণে ঘটেনি। এর মধ্যে নয় শতাংশ মৃত্যু ঘটেছে যানবাহন দুর্ঘটনার কারণে এবং সাত শতাংশ ঘটেছে সহিংসতার কারণে। (সুত্র: দৈনিক ইত্তেফাক)

Manual2 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code