প্রচ্ছদ

কুয়েতের ক্যাম্পে ২ বাংলাদেশির মৃত্যু, দেশে ফিরতে বিক্ষোভ

  |  ১৮:০৫, মে ০৪, ২০২০
www.adarshabarta.com

Manual5 Ad Code

আদর্শ বার্তা ডেস্ক:

দেশে ফেরার অপেক্ষায় কুয়েতের ক্যাম্পে থাকা আরও এক বাংলাদেশি মারা গেছেন। মৃত আমরান (৪৩) চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব কাশিরগঞ্জ গ্রামের জুনাব আলীর ছেলে। এর আগে শনিবার (২ এপ্রিল) কুমিল্লার রবিউল ইসলাম নামের আরেক বাংলাদেশি আবদালিয়া ক্যাম্পে মৃত্যুবরণ করেন।

এদিকে, দেশে ফেরার দাবিতে বাংলাদেশি প্রবাসীরা বিক্ষোভ করলে কুয়েতের পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

এ বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অবৈধ অভিবাসীদের কুয়েত ছাড়ার জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে কুয়েত সরকার। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশি সাধারণ ক্ষমার আবেদন করেছেন। রাজধানী কুয়েত সিটির বাইরে চারটি ক্যাম্পে তাদের রাখা হয়েছে। ক্যাম্পগুলো হলো- আবদালিয়া, সেবদি, মাঙ্গাফ ও কসর।

বাংলাদেশিরা অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন ক্যাম্পে তারা মানবেতন জীবনযাপন করছেন। দুই সপ্তাহরও বেশি সময় ধরে ক্যাম্পে থাকার পরেও কবে তারা দেশে ফিরবেন সেটি অনিশ্চিত। কেউ তাদের খোঁজখবরও করছে না। ফলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তারা তাদের ক্ষোভের কথা জানানোর পাশাপাশি ঢাকায় সাংবাদিকদের কাছেও নানা ভিডিও পাঠাচ্ছেন।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, দেশে ফেরার দাবিতে গতরাতে কুয়েতের সেবদি ক্যাম্পে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আন্দোলন দমনে টিয়ারসেল ও রাবারবুলেট নিক্ষেপ করেন।

ক্যাম্পে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, সাধারণ ক্ষমার অধীনে যে সকল কর্মী দেশে ফিরে আসবেন তাদের কোনো জেল/জরিমানা হবে না বরং তাদের বিনামূল্যে টিকিট দেয়া হবে এমন প্রতিশ্রুতিতে তারা আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু এখন তাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

কুয়েতের আবদালিয়া ক্যাম্পে থাকা কয়েকজন বাংলাদেশি কর্মী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ভিডিওতে বলেন, আবদালিয়া ক্যাম্পেই দুই হাজারের অধিক বাংলাদেশি আছেন। ক্যাম্পে আসার আর দূতাবাসের কোন প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

Manual3 Ad Code

মাঙ্গাফ ক্যাম্পে থাকা কয়েকজন কর্মী জানান, সেখানে প্রায় দেড় হাজারের বেশি বাংলাদেশি আছেন। তাদেরও দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। এই কর্মীদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে ফেরার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।

Manual4 Ad Code

বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, কুয়েত প্রবাসীরা আমাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন। সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি আমরা অবগত। তবে করোনার এই সংকটকালীন সময়ে যেহেতু ফ্লাইট চলাচল বন্ধ কাজেই হুট করে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া সবার জন্যই কঠিন।

তিনি আরও বলেন, তবে সাধারণ ক্ষমতায় নিবন্ধিতদের মধ্যে গত ২৭ এপ্রিল ১২৬ জন এবং ২৮ এপ্রিল ১২১ জন আল জাজিরা এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে দেশে ফেরত এসেছেন। বাকিদের বিষয়েও সরকার ও দূতাবাস অবগত বলেই আমরা মনে করছি। দূতাবাস এই প্রবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের আশ্বস্ত করতে পারে।

Manual4 Ad Code

কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, কুয়েতে এক লাখ ৬০ হাজার অবৈধ অভিবাসী রয়েছে। এবার ২০২০ এর সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়েছেন ২৫ হাজার অবৈধ অভিবাসী। অর্থাৎ এখনও এক লাখ ৩৫ হাজার অবৈধ অভিবাসী সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নেয়া থেকে বিরত রয়েছেন।

তবে এর মধ্যে বাংলাদেশি কতজন তা জানা যায়নি। অবশ্য কুয়েতে প্রায় ১৫ থেকে ১৭ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। এর মধ্যে ২০১৮ সালের সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়েছিলেন ৮ হাজার বাংলাদেশি। এবার ২০২০ সালের সাধারণ ক্ষমায় এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ হাজার অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশি সাধারণ ক্ষমার আবেদন করেছেন। রাজধানী কুয়েত সিটির বাইরে চারটি ক্যাম্পে তাদের রাখা হয়েছে।

Manual2 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code