প্রচ্ছদ

বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন-এর উদ্যোগে রাণী এলিজাবেথ এর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এক শোক সভা অনুষ্ঠিত

  |  ১১:০১, অক্টোবর ০৫, ২০২২
www.adarshabarta.com

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন-এর উদ্যোগে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এক শোক সভা গত ২৯শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় ইস্ট লন্ডনের ৪২ ফিল্ড গেইট স্ট্রিটের মায়েদা গ্রিলের একটি  হলে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি ইকবাল আহমদ ওবিই-র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডা. গিয়াসউদ্দিন আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে প্রয়াত রাণীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

শোকসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস এর কাউন্সিলার স্পিকার শাফি আহমদ। সভায় বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সভাপতি ড. এম আব্দুল হান্নান, সহ সভাপতি ড. আঞ্জুমান বক্ত, প্রফেসর শিরিন উল্লাহ, কবি এমদাদ তালুকদার এমবিই, ডা. মাহমুদুর রহমান মান্না, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাবুদ, এডভোকেট জানে আলম, মাহফুজা তালুকদার, ডা. শাহিন আক্তার, মি. ইফতেখার আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক  অধ্যাপক নজরুল ইসলাম হাবিবি, ইকোয়েল অপরচ্যুনিটি সেক্রেটারি বিলকিস রশিদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক একেএম আব্দুল হান্নান, কোষাধ্যক্ষ আনসার আলী, সদস্য এম হান্নান মিয়া, দেলোয়ার হোসেন বেগ, জয়নাল আবেদিন সরকার, সহকারি সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম শিপার, এনাম চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুলতানা শেখ, সহকারি সম্পাদক হারুন রশিদ, শিল্পী ফখরুজ্জামান ও আতিকুল হক কামালী প্রমুখ।

বক্তারা রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এর মহামূল্যবান  জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। তারা বলেন, সত্তর বছর শাসনামল রাণীর জীবন ছিল নানা বৈচিত্রে ভরপুর। অনেক ভাঙ্গা গড়া ও উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে তিনি সুষ্ঠুভাবে যুক্তরাজ্যসহ কমনওয়েলথ দেশসমূহ দেখাশোনা করেছেন। রাণীর সম্মান ও মর্যাদা ছিলো প্রশ্নাতীত। জনগণের গভীর মমত্ববোধ ও ভালোবাসা নিয়েই তিনি ইহলোক ত্যাগ করেছেন।

মহামান্য রাণীর নামে বাংলাদেশে বিশ্বমানের একটি ইউনিভার্সিটি বা ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার আবেদন জানানো হয়েছিল, রাণী তার জীবদ্দশায় অনুমোদন  দিয়েছিলেন। এটি রাজা চার্লস তৃতীয় ও পার্লামেন্টের অনুমোদন পাওয়া গেলে তা বাস্তায়নের চেষ্টা করা হবে জানিয়েছেন সংগঠনের কর্তৃপক্ষ। শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা রেজাউল করিম।

সভাপতি তার বক্তব্যে মহামান্য রাণী এলিজাবেথ এর সঙ্গে তার সাক্ষাতের অন্তরঙ্গ স্মৃতিকথা ও জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। একই সঙ্গে ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার বাস্তবমুখি পরিকল্পনার চিত্র ব্যাখা করেন। সভা শেষে ফুল দিয়ে রাণীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়।