প্রচ্ছদ

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নয় শিশুসহ ২০ ফিলিস্তিনি নিহত

  |  ০৮:১৮, মে ১১, ২০২১
www.adarshabarta.com

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলের একটি এলাকায় সোমবার রাতে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হয়।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় নয় শিশুসহ অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে এ তথ্য দেওয়া হয়।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সোমবার বিকেলে গাজার হামাস অধ্যুষিত উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ইসরায়েলের দিকে রকেট হামলা চালানো হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এতে নয় শিশুসহ ২০ জন নিহত হয়। এ সময় বিভিন্ন স্থাপনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস রয়টার্সকে বলেন, গাজা উপত্যকা থেকে ছয়টি রকেট হামলা চালানো হয়। একটি বাড়ি ধসে গেলেও এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে আমরা পাল্টা-হামলা চালাতে শুরু করি। হামাসকে অবশ্যই চড়া মূল্য দিতে হবে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘হামাস সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে। তারা রেডলাইন অতিক্রম করায় ইসরায়েল পাল্টা-জবাব দিতে শুরু করেছে। ইসরায়েল সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে পাল্টা-জবাব দেবে।’

জেরুজালেমে পবিত্র মসজিদ আল-আকসায় টানা তিনদিন ধরে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর চড়াও হচ্ছে ইসরায়েলি পুলিশ। সোমবার সকালেও ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ হয়। গত শুক্রবার জুমাতুল বিদার নামাজে অংশ নিতে বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি আল-আকসা মসজিদে সমবেত হলে তাদের সঙ্গে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

এ ছাড়া ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে জেরুজালেমের কিছু অংশ দখল করে নেয় ইসরায়েল। প্রতি বছর ১০ মে ‘জেরুজালেম দিবস’ পালন করে ইসরায়েল। গতকাল সোমবার দিবসটি পালনকালে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের সামনে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ইসরায়েলি পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এদিন ফিলিস্তিনি প্রতিবাদকারীরা পাথর নিক্ষেপ করে আর ইসরায়েলি পুলিশ শব্দবোমা ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে অন্তত ৩০০ জন আহত হয়।

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, এ সহিংতায় ৩০৫ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ২২৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা পুরো রমজানজুড়ে জেরুজালেমের সহিংসতার কেন্দ্রস্থল হয়ে আছে। দুপক্ষের এই সংঘর্ষের ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও উদ্বেগ ছড়িয়েছে।