প্রচ্ছদ

৫০ এ বাংলাদেশ: ব্রিটেনের হৃদয়েও লাল সবুজের দোলা

  |  ২০:১৩, মার্চ ২৬, ২০২১
www.adarshabarta.com

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপীই ফেলেছে ব্যাপক সারা। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের মত ব্রিটেনের হৃদয়েও দোলা তুলেছে লাল সবুজের বাংলাদেশ।

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রিন্স চার্লস, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পৃথক পৃথক বাণীতে একাত্তরে সসস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জন্ম নেয়া বাংলাদেশের ৫০ বছরপূর্তীতে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের সরকার ও জনগনকে।

শুক্রবার ২৬শে মার্চ লন্ডনের ওয়েষ্ট মিনিষ্টার এভেসহ বিভিন্ন আইকোনিক বিল্ডিংগুলোতে উত্তোলন করা হয়েছে বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা। ক্যানারী ওয়ার্ফ ও লন্ডন আই সেজেছে লাল সবুজ রংয়ে।

শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ব্রিটেনে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম ও বাঙালী অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। এসময় হাই কমিশনার ও মেয়র স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানান সবাইকে।

হাই কমিশনার শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্বের পক্ষে জনমত সংগ্রহকারী ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের। তিনি বলেন টাওয়ার হ্যামলেটস ছিলো ঐ সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র। হাই কমিশনার বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ব্রিটেনের রাজনীতিক ও জনগনের সমর্থনের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন তাঁর বক্তৃতায়। তিনি বলেন শুধু আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিই নয়, ব্রিটেনের সাথে বাংলাদেশের কুটনৈতিক সম্পর্কেরও সুবর্ণ জয়ন্তী এই বছর। এ উপলক্ষে আমি ব্রিটিশ সরকার, রাজনীতিবিদ ও জনগনকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

মেয়র জন বিগস বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমি গর্বের সাথে উল্লেখ করতে চাই দেশটির জন্ম আন্দোলনে টাওয়ার হ্যামলেটস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ৫০ বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করে মেয়র বলেন, বাঙালী সংগ্রামী জাতি। সংগ্রাম করে যেভাবে একটি স্বাধীন দেশ তারা অর্জন করেছেন, ঠিক তেমনি দেশের উন্নয়ন সংগ্রামেও তারা সফল।

উল্লেখ্য, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অর্ধশত বছরপূর্তীতে নয় মাসব্যাপী কর্মসূচী ঘোষণা করেছে লন্ডনের বাঙালী অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস বারা।

শুক্রবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন শুভেচ্ছা জানান দেশটির সরকার ও জনগনকে। ১০ ডাউনিং ষ্ট্রীট থেকে প্রচারিত এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫০ বছরে বাংলাদেশ যা অর্জন করেছে তা অসাধারণ।তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। আমরা বাংলাদেশের সমৃদ্ধির স্বপ্নের সঙ্গে থাকতে চাই। বরিস জনসন তাঁর শুভেচ্ছা বার্তায় ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডাউনিং ষ্ট্রীটে আসার কথা স্মরণ করেন। বলেন, ‘১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে (যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) এসেছিলেন। যা আমাদের দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সূচনা ছিল।’

এর আগে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও প্রিন্স চার্লসও সুবর্ণ জয়ন্তীর শুভেচ্ছায় বাংলাদেশের জনগনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।