প্রচ্ছদ

আবারো গতি ফিরেছে পর্তুগালের ভ্যাকসিন কার্যক্রমে

  |  ১৬:৪৬, মার্চ ২৪, ২০২১
www.adarshabarta.com

Manual7 Ad Code

মোঃ নাসির, বিশেষ প্রতিনিধি :

পর্তুগাল ২২ মার্চ সোমবার থেকে আবারো চালু হয়েছে অক্সফোর্ডের অস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কার্যক্রম। যদিও রক্তজমাটের কারণ দেখিয়ে সাময়িক সময়ের জন্য ভ্যাকসিনটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল।

Manual5 Ad Code

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিএসের সর্বশেষ তথ্যমতে, পর্তুগালে ২৩ মার্চ মঙ্গলবার পর্যন্ত কোভিড-১৯ সুরক্ষা টিকার মোট জনসংখ্যার ১৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪২ ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছে, যেখানে ৯ লাখ ১৪ হাজার ৫৮ জনকে ১ম ডোজ এবং ৪ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৪ জনকে দ্বিতীয় ডোজও যথারীতি প্রয়োগ করা হয়েছে।

ইউরোপে ভ্যাকসিন গ্রহণকারী দেশ হিসেবে সবচেয়ে এগিয়ে ইংল্যান্ড। আমেরিকার নিউইয়র্ক টাইমসের সর্বশেষ তথ্যমতে, দেশটি মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০.৩ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছে।

অন্যদিকে ইউরোপে সবচেয়ে তলানিতে আছে ইউক্রেন, যাদের মোট জনসংখ্যার ১ লাখ ২১ হাজার ৯২৯ ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছে দেশটি। তার মধ্যে পর্তুগাল ইউরোপের শক্তিশালী দেশ যেমন ফ্রান্স, জার্মানি, লুক্সেমবার্গের মতো দেশকে পেছনে ফেলে প্রায় মোট জনসংখ্যার ৪.৩৬ জনকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছে। ইতিমধ্যে পর্তুগালের স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপ আজোর্সের মোট জনসংখ্যার সবাইকে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে দ্বীপটি অনেকটা নিয়ন্ত্রিত।

Manual8 Ad Code

ব্লুমবার্গের সর্বশেষ তথ্যমতে, বিশ্বের প্রায় ১৩৪টি দেশের মধ্যে মোট জনসংখ্যার ৪৫৮ মিলিয়নকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। যেখানে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৬ ডোজের সমান ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে।

Manual3 Ad Code

এদিকে সারা বিশ্বের মধ্যে ভ্যাকসিন গ্রহণকারী দেশ হিসেবে সবচেয়ে এগিয়ে ইসরাইল, যার মোট জনসংখ্যার ৯.৭৮ মিলিয়ন ডোজ সুরক্ষা টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমসের সর্বশেষ তথ্যমতে, সারা বিশ্বে পর্তুগাল টিকা নেওয়ার তালিকায় ৩৭তম স্থানে অবস্থান করছে, যার মোট জনসংখ্যার ১.৩৬ মিলিয়ন ডোজ টিকার আওতায় আনা হয়েছে ইতিমধ্যে।

Manual6 Ad Code

পর্তুগালের স্বাস্থ্য বিভাগ ডিজিএসের তথ্যমতে, মঙ্গলবার মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩৪ জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ১০ জন, যা আগের চেয়ে অনেকটা উন্নতির পথে।

অন্যদিকে পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী উভয়েই ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগামী মে পর্যন্ত জরুরি অবস্থা বাড়ানো হবে, যাতে করে করোনার টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে দেশটিকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতেও সরকারের জন্য অনেকটা সহজ হয়।

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code