প্রচ্ছদ

জরুরি ব্যবহারে ফাইজারের টিকার অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

  |  ১৭:৫৬, জানুয়ারি ০১, ২০২১
www.adarshabarta.com

Manual3 Ad Code

আদর্শবার্তা ডেস্ক:

মহামারী করোনা প্রতিরোধে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বলা হচ্ছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই টিকা আরও বেশি সহজলভ্য করতে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

Manual8 Ad Code

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের এই স্বাস্থ্য সংস্থাটি বলছে, মহামারী শুরু হওয়ার পর এই প্রথম কোনো টিকাকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। এতে টিকার আমদানি ও টিকাদান কর্মসূচি প্রক্রিয়ায় নিজস্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনে দেশগুলোর জন্য সহায়ক হবে।

দোহাভিত্তিক আল-জাজিরার খবরে এসব তথ্য মিলেছে।

সংস্থাটি আরও জানায়, দরিদ্র দেশগুলোতে বিতরণের জন্য টিকা ক্রয়ে ইউনিসেফ ও প্যান-আমেরিকান স্বাস্থ্য সংস্থার মতো গ্রুপগুলোকেও তারা অনুমোদন দেবে।

ডব্লিউএইচওর ওষুধ ও স্বাস্থ্য পণ্য প্রবেশবিষয়ক সহকারী মহাপরিচালক ডা. ম্যারিয়াঙ্গেলা সিমাও বলেন, করোনার টিকার বৈশ্বিক সহজলভ্যতার ক্ষেত্রে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।

‘কিন্তু সর্বত্র অগ্রগণ্য জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন পূরণে যথেষ্ট টিকা সরবরাহে আরও বেশি বৈশ্বিক চেষ্টার প্রতি জোর দিচ্ছি আমি।’

Manual8 Ad Code

স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশ্বের শীর্ষ সংস্থাটি জানায়, ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিরাপত্তা চাহিদা পূরণ করেছে এবং এর সুবিধাগুলো সম্ভাব্য যে কোনো ঝুঁকির মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে।

Manual3 Ad Code

এই টিকা অতি-নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, কাতার, বাহরাইন ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতে এই টিকা দেয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

উন্নয়নশীল দেশগুলোর চেয়ে আগেই ধনী দেশগুলোর টিকা মজুদে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বৈশ্বিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন বলছে, ওষুধ কোম্পানি মডার্নার সব ও ফাইজার-বায়োএনটেকের ৯৬ শতাংশ টিকার ক্রয়াদেশে ধনী দেশগুলোর কাছ থেকে এসেছে। যার মধ্যে কানাডা, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে।

Manual2 Ad Code

মানবাধিকার সংস্থাটির সামাজিক ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক প্রধান স্টিফেন কোকবার্ন বলেন, অনেক দেশ এই টিকাকে তাদের সংকট থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হিসেবে দেখছে। একসঙ্গে কাজ করার বদলে ‘আমিই সবার আগে নেব’ ধরনের আচরণ দেখা গেছে অনেক দেশের মধ্যে। এতে বৈশ্বিক সমন্বয় ও বহুপাক্ষিকতার অভাবের বিষয়টিই ফুটে উঠেছে।

আফ্রিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক জন এনকেঙাসঙ হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধের আগে আমরা সম্ভবত টিকার দেখা পাচ্ছি না।

এটাকে নৈতিক ইস্যু আখ্যায়িত করে করোনার টিকার ন্যায্য বণ্টনের জন্য তিনি জাতিসংঘের বিশেষ অধিবেশন ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code