প্রচ্ছদ

দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রথমবারের মতো মিনু অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বাংলাদেশী মামুন

  |  ১৪:২৫, নভেম্বর ২৫, ২০২০
www.adarshabarta.com

Manual8 Ad Code

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

Manual2 Ad Code

অভিবাসী কর্মীদের অধিকার এবং চলচ্চিত্র পরিচালক শেখ আল মামুন মিনু মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন। যিনি বহুবছর ধরে অভিবাসী কর্মীদের অধিকার বৃদ্ধিতে সহায়তার স্বীকৃতি স্বরূপ উক্ত পুষ্কারে ভূষিত হয়েছেন।

Manual4 Ad Code

মিনু মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ডটি নেপালে প্রয়াত অভিবাসী কর্মী মিনোদ মোক্তানের সমার্থকদের দ্বারা তার মৃত্যুর স্বরনে এবং কাজের স্বীকৃতি হিসেবে দেওয়া হয়ে থাকে। মিনু ছিল তার কোরিয়ান নাম।

Manual6 Ad Code

শেখ আল মামুন (৪৫), ১৯৯২ সালে গিয়ংগিদো প্রদেশের নামিয়াংজুতে একটি আসবাবপত্রের কোম্পানিতে কাজ নিয়ে কোরিয়াতে আসে। শেখ আল মামুন একজন ন্যাচারাইজড কোরিয়ান।

Manual2 Ad Code

কিন্তু খারাপ কর্ম পরিবেশ এবং অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতি ব্যাপক বৈষম্য দেখে তিনি সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। ২০০১ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন শ্রম অধিকার আন্দোলনের সাথে জড়িত। ২০১৩ সালে তিনি কোরিয়ান কনফেডারেশন অফ ট্রেড ইউনিয়ন (কেসিটিইউ) এর অধীনে অভিবাসী শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র সদস্য হিসাবে নিয়োগ পান।

“আমি প্রথম এই অর্থবহ পুরস্কার পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি। এটি কেবল আমার জন্য নয়, আমার সহকর্মীরাও এতে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা পাবে। আমি আশা করি এই পুরস্কার কোরিয়ানদের মধ্যে এমনকি যারা অভিবাসী শ্রমিকদের খুব বেশি পরিচিত না তারাও পরিচিত হতে পারবে” _ শেখ কোরিয়ান টাইমস কে বলেছেন।

তিনি তার সাফল্যের জন্য সহকর্মীদের এবং পরিবারের অবদানের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন,”যে আইনজীবী আমাকে আইনী পরামর্শ দিয়েছেন, শ্রম ইউনিয়নে আমার সহকর্মীরা আর অবশ্যই আমার স্ত্রী সাহায্য ছাড়া এটি সম্ভব হতো না।”

মি: শেখ অভিবাসী কর্মীদের সম্পর্কে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন,” ইপিএস নিয়মে পরিবর্তন আনতে কাজ করে যাবেন”। উল্লেখ্য যে, ইপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে ১৬ টি দেশ থেকে কর্মীদের ম্যানুফ্যাকচারিং এবং কৃষি কাজের জন্য আনা হয়।

“যেহেতু ইপিএস সিস্টেমটা শ্রমিকদের স্বাধীনভাবে কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন করতে দেয় না সে জন্য নিয়োগ কর্তারা তাদের কর্মচারীদের শোষণ ও হুমকি দেয়।” সরকারের উচিত এই নিয়মটি পরিবর্তন করা।

মি: শেখ ২০১৩ সাল থেকে অভিবাসী শ্রমিকদের জীবনচিত্র নিয়ে ১০টিরও বেশি ডকুমেন্টরি ছা‌য়াছবি তৈরি করেছেন। তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র “Awaiting” বাংলাদেশ এবং কোরিয়ার মুক্তিযুদ্ধের সময় যৌন দাসত্বের শিকার তাদের উপর নীর্মিত। উক্ত চলচ্চিত্রটি ২০২১ সালে “ডাকার চলচ্চিত্র উৎসবে” প্রদর্শিত হবে।

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code