প্রচ্ছদ

মার্কিন নজরদারি বাড়বে যে বিষয়গুলোতে

  |  ১২:১০, নভেম্বর ১০, ২০২০
www.adarshabarta.com

Manual5 Ad Code

মোঃ নাসির, নিউ জার্সি, (আমেরিকা) প্রতিনিধি :

ঘটনাবহুল মার্কিন নির্বাচন শেষ হয়েছে। আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন। শুধু প্রেসিডেন্ট নয় ডেমোক্রেটরা হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে যেমন নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে; তেমনি সিনেটেও সমতা বজায় রেখেছে। ফলে ডেমোক্রেটদের পূর্ণ কর্তৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত হবে অন্তত আগামী ২ বছর। কারণ ২ বছর পর আবার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে নির্বাচন হবে, সেখানে কি হবে সেটা তখনই দেখা যাবে।

তবে আগামী ২ বছর ডেমোক্রেটদের শাসনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অনেক মেরুকরণ ঘটবে। যদিও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সম্পর্ক একই ধারায় চলবে। ডেমোক্রেটদের চিরায়ত রীতি অনুযায়ী, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর কিছু কিছু বিষয়ে তারা সব সময় নজর দেন। সেই নজরদারির মধ্যে বাংলাদেশের কিছু কিছু বিষয়ও অত্যন্ত গুরুত্ব পাবে। অতীতে বাংলাদেশের যে বিষয়গুলো নিয়ে তারা নাক গলিয়েছেন, মাথা ঘামিয়েছেন তারমধ্যে রয়েছে

১) সংখ্যালঘু সুরক্ষা:

Manual2 Ad Code

ডেমোক্রেটিক পার্টির অন্যতম একটি এজেন্ডা হল সারা বিশ্বের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যেন সুরক্ষিত থাকে। এই নিয়ে বাংলাদেশেও তারা নজরদারি বাড়াবেন, তা বলাই বাহুল্য। এর আগেও বারাক ওবামার সময়ে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিয়ে ডেমোক্রেটদের কিছুটা বাড়াবাড়ি ছিলো।

Manual6 Ad Code

২) মানবাধিকার:

ডেমোক্রেটরা সব সময় অন্যদেশের মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে অতন্ত্য বেশি সংবেদনশীল। বিভিন্ন বাণিজ্য এবং ব্যবসায়িক চুক্তির সঙ্গে তারা মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়টি সম্পর্কিত করে রাখে; যেটি রিপাবলিকানরা করে না। আর তাই বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়ে জো বাইডেন সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্রের যে নজরদারি বাড়বে সেটি মোটামুটি নিশ্চিত।

Manual5 Ad Code

৩) বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ড:

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব সরকারই বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ডের ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান নিয়ে আছে। তারা সব সময় এই হত্যাকান্ড বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে ডেমোক্রেটরা এ বিষয়ে বেশি সোচ্চার। যেহেতু কমলা হ্যারিস ক্যার্লিফোনিয়ায় বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ড নিয়ে অনেক বেশি সোচ্চার ছিলেন। তাই ধারণা করা হচ্ছে বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ড নিয়ে সামনের দিনগুলোতে মার্কিন নজরদারি হম্তক্ষেপ বাড়বে।

৪) গণমাধ্যমের স্বাধীনতা:

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ডেমোক্রেটদের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য তাদের নেটওর্য়াক এবং পর্যবেক্ষণ বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

৫) সুশীল সমাজের ভূমিকা:

Manual7 Ad Code

ডেমোক্রেটরা সব সময় বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে সুশীল সমাজের সঙ্গে সর্ম্পক সুরক্ষা করার নীতি গ্রহণ করেন। বাংলাদেশে অনেক সুশীলদের সাথে ডেমোক্রেটদের সর্ম্পক আছে। আর এজন্য বাংলাদেশের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সুশীলদের ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্ব পাবে। বাংলাদেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে সুশীলদের মতামত নেয়া হবে এবং তাদের ভূমিকাও বাড়বে। এই নজরদারির ফলে দুই দেশের সম্পর্কের ইতিবাচক দিক তৈরি হবে; অন্যদিকে তেমনি দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু টানাপোড়েনও তৈরি হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code