প্রচ্ছদ

সাম্প্রদায়িকতা, সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

  |  ১৫:৫১, নভেম্বর ০৯, ২০২০
www.adarshabarta.com

Manual3 Ad Code

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ-২০২০’ উপলক্ষে আজ সোমবার জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবি : ফোকাস বাংলা
যে ঐক্য একাত্তরে দেশবাসীকে এক করেছিল, সেই ঐক্য সাম্প্রদায়িকতা, অগণতান্ত্রিকতা, অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ঐক্য। জনগণের ঐক্য, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ঐক্য। যে ঐক্য একাত্তরে আমাদের এক করেছিল, সেই ঐক্যই গড়ে তুলতে হবে সাম্প্রদায়িকতা, অগণতান্ত্রিকতা, অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে।’

Manual2 Ad Code

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ-২০২০’ উপলক্ষে আজ সোমবার জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে পাকিস্তানি হানাদারদের কবল থেকে আমরা যে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি, তাকে রক্ষা করতে হবে। স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।’

Manual1 Ad Code

রাষ্ট্রপতির মতে, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।

‘যারা বাস্তবকে অস্বীকার করে কল্পিত কাহিনী ও পরিস্থিতি বানিয়ে দেশের সরলপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত ও বিপথগামী করে দেশের শান্তি ও অগ্রগতির ধারাকে ব্যাহত করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, সার্থক হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন,’ বলেন আবদুল হামিদ।

চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ পালনের সিদ্ধান্ত খুবই তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, মুজিববর্ষ পালনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্ম, চিন্তা-চেতনা ও দর্শন ছড়িয়ে দিতে হবে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের কাছে।

‘বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনৈতিক দর্শন একবিংশ শতাব্দীতেও পরিপূর্ণ প্রাসঙ্গিক, আধুনিক, যুগোপযোগী এবং ভবিষ্যতেও চির অম্লান থাকবে,’ বলেন রাষ্ট্রপতি।

আবদুল হামিদ আশা প্রকাশ করেন যে দেশের বরেণ্য রাজনীতিবিদ, ইতিহাসবিদ, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও সাংবাদিকরা বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও আদর্শ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।

রাষ্ট্রপতি তাঁর দীর্ঘ ভাষণে আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশকে জানতে হলে, বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। এ দুই সত্তাকে আলাদাভাবে দেখার চেষ্টা যাঁরা করেছেন তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন। আজকের বাস্তবতা এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে জাতি এগিয়ে যাক ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে, নোঙর ফেলুক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়।’

Manual6 Ad Code

আবদুল হামিদ জানান, ১৬ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ দেশে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও শুধু মানবিক বিবেচনায় পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে আগত প্রায় ১০ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এসব শরণার্থীদের নিজ দেশে সসম্মানে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ জাতিসংঘসহ বিশ্ব ফোরামে বারবার বিষয়টি উত্থাপন করেছে। ইতোমধ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর পাশবিক নির্যাতন, গণহত্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে উত্থাপিত হয়েছে এবং আদালত মিয়ানমার সরকারের প্রতি প্রাথমিক কিছু নির্দেশনা জারি করেছে।

Manual3 Ad Code

‘আমরা চাই বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সসম্মানে নিজ দেশে ফিরে যাক। জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশকে আমি এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য পুনরায় আহ্বান জানাচ্ছি,’ বলেন রাষ্ট্রপতি।

(ইউএনবি)

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code