প্রচ্ছদ

জাতীয় কবির ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  |  ১৪:০২, আগস্ট ২৭, ২০২০
www.adarshabarta.com

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলা ১৩৮৩ সালে আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়।

জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

কাজী নজরুল ছিলেন বাংলা সাহিত্যের অনন্য রূপকার। কবিতার দীপ্ত উচ্চারণে তিনি দ্রোহের আগুন ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি সঙ্গীতেও তিনি সৃষ্টি করেছিলেন অনন্যতা। তিনি ছিলেন একাধারে প্রগতিশীল কবি, সাহিত্যিক, সঙ্গীতজ্ঞ, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক। ১৯৭২ সালের ২৪ মে স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ভারত সরকারের অনুমতি নিয়ে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। তাকে দেওয়া হয় জাতীয় কবির মর্যাদা। বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধি প্রদান করে।

১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি একুশে পদকে ভূষিত করা হয় কবিকে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে রয়েছে শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধিতে গমন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ, আলোচনা সভা। সকালে কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ছাড়াও থাকছে, ফাতেহা পাঠ, আলোচনা। বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আজ বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। এ ছাড়া বাংলা একাডেমি বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকাল ৯টায় বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে জাতীয় কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। সকাল ১১টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে থাকছে কবির গান ও কবিতা নিয়ে সাংস্কৃতিক আয়োজন।