প্রচ্ছদ

বৈষম্য কমিয়ে আনতে হবে দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে: জবি উপাচার্য

  |  ১৭:৪৪, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
www.adarshabarta.com

মোঃ নাসির, বিশেষ প্রতিনিধি :

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, ১৯৭১ সালে আমাদের নানা সঙ্কট থাকলেও আজকে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে আমাদের উন্নয়ন ও স্বয়ংসম্পূর্ণতার সঙ্গে সঙ্গে বৈষম্য কমিয়ে আনতে হবে।

শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় ‘বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছরঃ আদর্শ, ত্যাগ ও অর্জন’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি এ কথা বলেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম এ ওয়েবিনারের সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের।

জবি উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দার্শনিক ভিত্তি ছিল অসাম্প্রদায়িক সাম্যের এবং বাঙালিত্বের বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধকালে মুক্তিযোদ্ধাদের একমাত্র চাহিদা ছিল স্বশাসন প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বর্তমান মুক্তিযোদ্ধাদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাঙালি সংস্কৃতি ও মরু সংস্কৃতির সমন্বয় না করতে পারলে বাংলাদেশ টেকসই রাষ্ট্র হবে না। দেশের মন্ত্রীরা ভাস্কর্য ইস্যুতে মৌলবাদীদের সঙ্গে যে আলোচনার কথা বলেন, তা মোটেও কাম্য নয়। ওয়েবিনারের মুখ্য আলোচক বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, বঙ্গবন্ধু ও ৩০ লাখ শহীদের যে স্বপ্ন ছিল তা বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে মাঝপথে হারিয়ে যায়। স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পর পরিবর্তনের আশা থাকলেও বাংলাদেশ মিনি পাকিস্তানে পরিণত হয়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে কথা বলা শাহ আজিজকে জিয়াউর রহমান প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। স্বাধীনতা বিরোধী শর্ষীনার পীরকেও এদেশে স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়। আজকের বাংলাদেশে মুজিব কোর্টের অপব্যবহার হচ্ছে। বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ ও সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মালেকা বেগম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মানেই শুধু পুরুষ নয়, পুরুষের ন্যায় লাখ লাখ নারী মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। বীরাঙ্গনা উপাধি দেয়ার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদানকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। গেরিলা যোদ্ধা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, সংবিধানের চার মূলনীতির রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে না। এটা আমাদের জাতির জন্য একটি দীর্ঘশ্বাস। প্রতিটি মানুষের সামাজিক রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক অধিকার থাকার কথা কিন্তু তা নেই। ১৯৭২ এর সংবিধান বাস্তবায়ন না হওয়াতে মৌলবাদী শক্তি দেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার মতো আস্ফালন দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে। আশার দিক হলো বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং নারীর ক্ষমতায়ন সৃষ্টি হয়েছে। এ ওয়েবিনারে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।