প্রচ্ছদ

বীরবিক্রম আব্দুল মালেক এর ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  |  ০৯:০০, এপ্রিল ২৫, ২০২২
www.adarshabarta.com
সাজিদুর রহমান সোহেল:
১৯৩০ সালের ১৮ ই মার্চ আসামের সিলেট জেলার বিশ্বনাথ থানার কৌড়িয়া পরগণার রহিম পুর মৌজার রাম পুর গ্রামের দক্ষিণ বাড়ীতে মরহুম আব্দুর রহমান তালুকদার ও মরহুমা নুরুন্নেছা আলতা বিবির গর্ভে জন্ম গ্রহন করেন।
মরহুম আব্দুর রহমান তালুকদারের ৬ ছেলে ২ মেয়ের মধ্যে মরহুম আব্দুল মালেক ছিলেন দ্বিতীয়।
মৌলভী মরহুম আব্দুল করিম সাহেবের হাতে গ্রামের মসজিদে বাল্য শিক্ষা শুরু করে, ছৈফাগন্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে ৫ম শ্রেনী পাশ করেন, সিলেট শহরের রাজা জি সি ( গিরিশ চন্দ্র) হাই স্কুলে ১৯৪১ সালে ভর্তি হয়ে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত অধ্যায়ন করে শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করেন।
সবে মাত্র স্বাধীন পাকিস্তান পুলিশ বাহিনীতে লোকবল নিয়োগের সার্কুলার দেখে ১৯৫০ সালে পাকিস্তান পুলিশ বাহিনীতে ভর্তি হয়ে পাকিস্তানি অফিসার সের আলী খাঁর হাতে ট্রেনিং সমাপ্ত করেন । ১৯৫৮ সালে ইষ্ট পাকিস্তান রাইফেল্স ( ইপিআর) এ বদলী হয়ে যান।
১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে “পাক জুমুরিয়াত” “তগমায়ে জঙ্গ” “সিতারায় হার্ব” পুরুস্কার লাভ করেন।
স্বাধনতা যুদ্ধের পুর্ব পর্যন্ত পুর্ব পাকিস্তানের উৎমা ক্যাম্প, সারোপার, ভোলাগন্জ, দাউদকান্দি, রাজনগর, হোমনা, পাথারিয়া,নক্সী,পাহাড় কুন্ডলিপ, হাতী পাগড় ( হাতী বান্ধা), কর্ণজোড়া,লেঙ্গুরা ক্যাম্পে দায়ীত্ব পালন করেন।
১৯৭১ সালের শুরুর দিকে পাকিস্তানি সৈনিকরা বাঙ্গালী সৈনিকদের নিরস্ত্রীকরণ ও বাঙ্গালী রেজিমেন্টের অনেক সৈনিকদের পৃথকিকরণ করতে শুরু করেলো। পশ্চিম পাকিস্তানের সৈনিকদের তারা একত্রিত করে সমর শক্তি বৃদ্ধি করতে শুরু করে । পাকিস্তানি সৈনিকদের এহেন আচরণ,পুর্বেকার বন্ধুত্বমুলক ব্যবহার কেন জানি বিচ্ছিন্ন হতে লাগলো। সব কিছু যেনো তড়িৎ গতিতে পরিবর্তন-পরিবর্ধন হতে লাগলো। পাকিস্তানি সৈনিকদের আচার আচরণ বাঙ্গালী সৈনিকদের মনে দারুন প্রভাব ও উৎকণ্ঠা বাড়িয়েছিল। পাকিস্তানের অনেক সেনা অফিসারদের পরিবার পরিজনদের নিরবে নিভৃতে লক্ষ্যণীয়ভাবে পশ্চিম পাকিস্তানে পাঠাতে শুরু করে, তা বাঙ্গালী অনেক সেনা অফিসারদের পরিবার তা নিবিড় ভাবে লক্ষ্য করেছিলেন। বাঙ্গালী অনেক সেনা অফিসার গণ ও তাঁদের পরিবারদের নিরাপদে গ্রামে বাড়িতে পাঠাতে শুরু করে ছিলেন। সবকিছু বিবেচনা করে বাঙ্গালী সেনা অফিসারদের মনে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজমান ছিলো। যেকোন সময় পরিস্হিতি খারাপ হতে পারে আশঙ্কা করছিলেন।
উত্তাল মার্চ মাচের শুরু দিকে পাকিস্তানি সৈনিকদের মনোভাব চরম বিদ্বেষী হয়ে উটলো। যারা সীমান্ত প্রহরায় ছিলো তাদেরকে বিভিন্ন কোম্পনির হেড কোার্টারে জমায়েত করতে লাগলো।
মরহুম আব্দুল মালেক বীরবিক্রম ইপিআর হেড কোয়ার্টার ময়মনসিংহ কাগডহর আলফা কোম্পানিতে “নায়েব সুবেদার” পদে দ্বায়ীত্ব পালন করছিলেন।
পাকিস্তানি সৈনিকদের কার্যক্রম, আচার আচরণে তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন।
ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যবর্তী সময়ে উনার পরিবার ও সন্তানদের গ্রামের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন।
৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর পাকিস্তানী সেনা অফিসাররা পুর্ণ্য প্রস্তুতি নিয়ে বাঙ্গালী হত্যার নীলনকশা আঁকতে শুরু করে। কিন্তুু বাঙ্গালী সৈনিকদের তেমন লক্ষ্যণীয় কোন পুর্ব প্রস্তুতি ছিল না।
যদি ও সার্বিক পরিস্হিতি সম্পর্কে বাঙ্গালী অনেক সেনা অফিসার গণ পুর্ব থেকে জানতেন।
২৫শে মার্চ রাতে পাক-হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত বাঙ্গালীর উপর নির্বিচারে গূলি চালিয়ে ইতিহাসের বর্বরোচিত হত্যাজজ্ঞ চালালে, সারা বাংলার ঘরে ঘরে প্রতিশোধের স্পৃহা জলে উটলো। বাঙ্গালী সেনা, পুলিশ,আনসার, কৃষক শ্রমিক, মজুর সকলের মনে দাউ দাউ করে প্রতিশোধের আগুন জলছিলো। এর ব্যতিক্রম ঘটেনি মরহুম আব্দুল মালেকের বেলায়।
২৬শে মার্চ সকাল বেলা পান্জাব রেজিমেন্টের সুবেদার মেজর গহর আলী খাঁ’র স্ত্রী ও সুবেদার লাল খাঁ’র স্ত্রী ছেলে মেয়েকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতে বের হলে মরহুম আব্দুল মালেকের সঙ্গে দেখা হয়। উনি জানতে চান? কোথায় যাওয়া হচ্ছে উনারা কোন সদুত্তর দেন নি।যদি ও উনাদের পুর্ব থেকে জানতেন। উনাদের লাগোয়া মেসে আব্দুল মালেক পরিবার নিয়ে থাকতেন, বিষয়টি মরহুম আব্দুল মালেক কে ভাবিয়ে তুলে।
সন্ধ্যার দিকে বেঙ্গল রেজিমেন্টের কোম্পানি কামান্ডার মেজর নুরুল ইসলাম সাহেবের সঙ্গে চুপিসারে দেখা করে বিষয়টি অবহিত করেন এবং পরবর্তি প্রদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চান? মেজর নুরুল ইসলাম জনতে চান? আপনার কোম্পানিতে কতজন পাক সৈনিক আছেন এবং এরা কে কোথায় অবস্হান করছে। মরহুম আব্দুল মালেক জানালেন , সবাই হেড কোয়ার্টারে অবস্হান করছে এবং এ বললেন পাক সৈনিকদের চলাফেরা, কথাবার্তা,রহস্যজনক মনে হচ্ছে।
মেজর নুরুল ইসলাম বললেন, দেশের অনেক জায়গায় আমাদের সৈনিকরা বিদ্রোহ ঘোষনা করে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে, আমরা বসে থাকলে তো চলবে না ওরা এমনিইতে আমাদের মেরে ফেলবে এখন আমাদের কাছে দুটি পথ খোলা, হয় মারবো না হয় মরবো।
আমরা রাত্রের মধ্যে তাদেরকে শেষ করে দিবো প্রস্তুত হও এবং পাকিস্তানি সৈনিকদের গতিবিধি লক্ষ রাখ।
যদিও পুর্ব থেকে বাঙ্গালী সৈনিকদের নিরস্ত্র করে রাখা হয়েছে।
ইপিআর হেড কোয়ার্টারে অস্ত্রাগারের কোত হিসেবে দ্বায়ীত্ব পালন করছিলেন, বাঙ্গালী সৈনিক আব্দুল মালিক, বাড়ী ব্রাম্মনবাড়িয়া জেলার নবিনগর থানায়।
২৭শে মার্চ দিবাগত রাত গভীর হলে কোত আব্দুল মালিকের কাছে অস্ত্রাগারের চাবি চাইলে, উনি চাবি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
উনার কাছ থেকে সকল বাঙ্গালী সৈনিকগণ জোরপূর্বক চাবি চিনিয়ে নিয়ে অস্ত্রাগার লোট করেন।
অস্ত্রাগার লোট করে, অবতীর্ণ হন পাক-হানাদার বাহিনীর সঙ্গে তুমুল যুদ্ধে। পাকিস্তানি সেনা অফিসাররা যদিও তাদের সৈনিকদের বাঙ্গালী সৈনিকদের হত্যা করতে পুর্বে নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলো এবং রাত্র গভীর হলে তারা হামলে পড়ার সম্পুর্ণ প্রস্তুতি রেখে ছিলো।
কিন্তুু পাকিস্তানি সৈনিকরা ঘুর্ণাক্ষরে টের পায় নি তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পুর্বে বাঙ্গালী সৈনিকরা তাদের উপরে ঝাপিয়ে পড়বে। পাক-হানাদার বাহিনীর সাকুল্য সৈনিক ১৩১ জন ছিলো। সে রাত্রিতে তাদের সকলকে হত্যা করা হয় এবং আব্দুল মালেক বীরবিক্রম সুবেদার লাল খাঁ,সুবেদার মেজর গহর আলী খাঁ কে হত্যা করেন। ইপিআর হেড কোয়ার্টারে বাঙ্গালী সৈনিকদের মধ্যে সিপাহি অাব্দুল খালিক এবং সিপাহি আব্দুল গনি শাহাদাৎ বরণ করেন।
কিন্তুু পান্জাবী বিগ্রেড কমান্ডার আসলাম বার্জোয়া রাত্রের অন্ধকারে পালিয়ে যায়।
পরে স্হানীয় লোকদের হাতে ধৃত হয়ে নির্মমভাবে নিহত হয়।
ইপিআর হেড কোয়ার্টার শত্রু মুক্ত হলে ও বাঙ্গালী সৈনিকদের সামনে দুটি পথ খোলা ছিলো, পুর্ব বাঙ্গলা শত্রুমুক্ত করা না হয়,
চরম মাসুলের জন্য প্রস্তুত হওয়া।
যদি দেশ মাতাকে শত্রুমুক্ত করা না হয় তবে কোর্ট মার্শালে চরম মুল্য দিতে হবে।
অজানা ভবিষ্যৎ, যুদ্ধের রসদ বিহীন গন্তব্যে থেমে থাকেন নি মরহুম আব্দুল মালেক বীরবিক্রম।
দেশ মাতার স্বাধীনতা অর্জনের পুর্ব পর্যন্ত
অত্যান্ত সাহসীকতার সহিত যুদ্ধের প্রতিটি মুহুর্ত অতিবাহিত করেছেন। যুদ্ধকালীন সময়ে সম্মুখ সমরে মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ও হাল ছাড়েন নি। চিকিৎসা সেবা গ্রহন করে আবার ঝাঁপিয়ে পড়েছেন পাক-হানাদারদের বিরুদ্ধে।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সেক্টর বিভাজন হওয়ার পুর্বে ইপিআর হেড কোয়ার্টার, ঘোড়াশাল ব্রীজ এবং ৩ নং সেক্টর কামান্ডার কে এম শফিউল্লাহ সাহেবের অধিনে হবিগন্জ তেলিয়া পাড়া, শাহজীর মোকাম অপারেশন, সিঙ্গার বিল, শাহবাজপুর, আখাউড়া, ঢাকার ভিকারুননেছা নুন স্কুলে পাক বাহিনী পরাস্ত পর্যন্ত সক্রিয় যুদ্ধে অংশ নিয়ে ছিলেন।
১৯৭৩ সালের ১৫ ই ডিসেম্বর ৩৭ নং গেজেট নোটিফিকেশনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এই ক্ষণজন্মা বীর কে স্বাধীনতা যুদ্ধে অসাধারণ অবদানের জন্য
“বীর বিক্রম” খেতাবে ভূষিত করেন।
সুনামধন্য বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর গর্বিত একজন জেসিও হিসাবে সুনামের সহিত দক্ষতার পরিচয় দিয়ে
(ক) কমপেজন ষ্টার।
(খ) ওয়ার মেডল।
(গ) লিবারেশন ষ্টার ।
(ঘ) বিক্টোরী মেডল।
(ঙ) কনটিটিউশন মেডল।
পুরুস্কার প্রাপ্ত হয়েছিলেন।
একজন সৎ,নির্ভীক, স্পষ্ট বাদী, ন্যায় পরায়ণ, দ্বায়ীত্বশীল অফিসার হিসাবে সুনাম ও দক্ষতার সহিত দ্বায়ীত্ব পালন করে ১৯৭৮ সালের ১৭ জুলাই সাভাবিক নিয়মে চাকুরী হতে “সুবেদার” বর্তমানে “সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার” পদে অবসর গ্রহন করেন।
ব্যক্তিজীবনে খুবই স্পষ্টবাদী, নির্লোভী ছিলেন। মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রান ছিলেন।
দেশ থেকে প্রাপ্তির চাইতে দেশকে কি দিলেন হিসাব কষতেন। উনার অনেক সহযোদ্ধাদের শহরে বাড়ী গাড়ী থাকলে ও উনি কখনো আপশোষ করেন নি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, উচ্চস্বরে কোরআন তেলাওয়াত নিত্যনৈমিত্তিক ছিলো।
এলাকার উন্নয়নে ছিলো বিশেষ অবদান।
তখন অত্রাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্হা,শিক্ষা ব্যবস্হা, খুবই শোচনীয় ছিলো।
এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান প্রতিষ্টায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
জনপ্রতিনিধিদের সাথে একাত্ম হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্হা,শিক্ষা ব্যবস্হার উন্নতি কল্পে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন, যা সর্বমহলে প্রশংসিত।
২০১১ সালের ২৫ ই এপ্রিল মাসে ৮২ বৎসর বয়সে ইন্তকাল করেন।
এই ক্ষণজন্মা কীর্তিমান বীরপুরুষের আজ ১২তম মৃর্ত্যু দিবস।
মৃর্ত্যু দিবসে উনার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি ।
তথ্যসূত্রঃ
(১)
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গেজেট নোটিফিকেশন নং ৮/২৫/ডি-১/৭২-১৩৭৮ তারিখ ১৫ই ডিসেম্বর ১৯৭৩। পৃষ্টা নং ১৪। যা ১৯৯২ সালে ১৫ ডিসেম্বর মোহাম্মদ আইয়ুবুর রহমান,মন্ত্রিপরিষদ সচিব কতৃক প্রকাশিত। “বীরবিক্রম”গেজেট নং ৩৭।
(২)
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রি শেখ হাসিনা কতৃক প্রদত্ব, বীরত্ব-ভূষণ সনদ পত্র নং ৩৭ তাং ৭ ই মার্চ ১৯৯৮।
(৩)
বাংলাদেশ সেনা বাহিনী কতৃক প্রদত্ব, “মুক্তিযোদ্ধা প্রভিশনাল সার্টিফিকেট “ক্রমিক নং ১৩৫০৯ নথি নং ২৩,০১,৯০১,০৩৭,০২,০৯৪,০৪,২২,০৬,১৪ তাং সেনা সদর ঢাকা,২২ জুন ২০১৪
(৪)
বাংলাদেশ সেনা বাহিনী হতে অবসর গ্রহন কালীন খালাসী বই, পৃষ্টা নং ৩।
(৫)
কনফিডেন্টাল লেটার নং ১০১৫ A তাং ৪ ই মার্চ ১৯৭২ ল্যাপটেনেন্ট কর্ণেল আব্দুর রব স্বাক্ষরিত হেড কোয়ার্টার, ইষ্ট বেঙ্গল। ৩ নং সেক্টর, ৪ নং সেক্টর, ৭ নং সেক্টর।
(৬)
মরহুম আব্দুল মালেক বীরবিক্রম কতৃক “স্বাধীনতা যুদ্ধের নিজের ইতিহাস” স্ব-হস্তে লিখিত সেনা সদর বরাবরে প্রেরিত পত্রের কার্বন কপি, তারিখ ১০/০৪/১৯৮৪ ইং
(৭) স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিল পত্র সংগ্রামের নোটবুক,৭তম খন্ড, ক্যাপ্টেন আব্দুল মতিন (পরে বিগ্রেডিয়ার ও সাবেক স্বরাষ্ট উপদেষ্টা) এর সাক্ষাৎকার।
কার্টেসী,
মরহুম আব্দুল মালেক বীরবিক্রম এর সন্তান,
সাজিদুর রহমান সোহেল
রামপুর,সুবেদার বাড়ী
বিশ্বনাথ,সিলেট।