বিশ্বনাথে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার : নীরিহ কেউ যাতে হয়রানীর শিকার না হন দাবী এলাকাবাসীর

সিলেট অফিস:

বিশ্বনাথে আরশ আলী নামের এক গরু ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় পরিলক্ষিত হচ্ছে  মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন কে বা কারা এই বাড়ীর নীরিহ মানুষদের ফাসাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আরশ আলীকে হত্যা করে ওই বাড়ীর গেইটে এনে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। তবে পুলিশি তদন্তে এবং ময়না তদন্তের রিপোর্টে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন তারা।  তারা বলছেন আসল রহস্য বেরিয়ে আসুক এবং হত্যাকান্ডের বিচার হোক তা আমরা চাই। তবে এজন্য নীরিহ কেউ যাতে হয়রানীর শিকার না হন সেজন্য আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

আরশ আলী উপজেলার নতুনবাজার কাইয়াখাইড় গ্রামের মৃত আখলুছ আলীর পুত্র। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকালে বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের পূর্ব মন্ডল কাপন গ্রামের মতিন মিয়া ও সিরাজ মিয়ার বাড়ীর সামনের গেইটের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
নিহতের ছোট ভাই ময়নুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তার ভগ্নিপতি আরশ আলী বিশ্বনাথ পৌর এলাকার দতা গ্রামে শশুর বাড়িতে স্ত্রী ও পুত্র সন্তানকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে তিনি গরু কেনা বেচার ব্যবসা করছেন। আরশ আলী প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার দুপুরে বিশ্বনাথ বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর রাত ১১টায় তাকে (ময়নুল) মুঠোফোনে কল দিয়ে জানান তিনি বিশ্বনাথ বাজারে অবস্থান করছেন এবং কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরবেন। কিন্ত তিনি রাতে বাড়িতে না ফেরার তার মুঠোফোনে পরিবারের লোকজন কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার ভোরে পূর্ব মন্ডল কাপন গ্রামের মতিন মিয়া ও সিরাজ মিয়ার বাড়ীর সামনের পাকা গেইটের সাথে আরশ আলীর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে এবং ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কেউ পরিকল্পিতভাবে আরশ আলীকে হত্যা করে তার লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।

এবিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, লাশে বিভিন্ন আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকান্ড। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।