প্রচ্ছদ

বিশ্বনাথে আল্হাজ্ব সিরাজুল ইসলাম মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কার্যক্রম পরিদর্শন 

  |  ০৩:০৯, নভেম্বর ০৫, ২০২১
www.adarshabarta.com
তাজ উদ্দিন আহমদ:
সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলাধীন বিশ্বনাথ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের (সাবেক অলংকারী ইউনিয়নের) ঐতিহ্যবাহী অলংকারী গ্রামের হাজী আব্দুল মছব্বির সাহেবের বাড়িতে ২৯ শে অক্টোবর ‘২১ তারিখ মাসের শেষ শুক্রবার আল্ হাজ্ব সিরাজুল ইসলাম মেমোরিয়াল ট্রাস্ট অলংকারীর উদ্যোগে অলংকারী ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় ফ্রী ফ্রাই ডে ক্লিনিকের চিকিৎসা সেবা চলছে—। চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন ডাক্তার মো: শামছুল ইসলাম সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ফরেনসিক বিভাগ, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ, সিলেট। তাঁকে সহযোগিতা করেন তাঁরই সুযোগ্য সহধর্মিণী ডাঃ ফারহানা বিনতে আলী। জনাব আব্দুল মছব্বির সাহেবের চতুর্থ ছেলে এবং অকাল প্রয়াত যুক্তরাজ্য প্রবাসী আল্ হাজ্ব সিরাজুল ইসলামের ছোট ভাই মানবতাবাদী ডাক্তার মোঃ শামছুল ইসলাম ইতিমধ্যে তাঁর স্বীয় কার্যক্রমের ফলে এলাকায় ব্যাপক সুনাম কুঁড়িয়েছেন। তিনি ২০২০ সালের ১ লা জানুয়ারী থেকে প্রতি মাসের শেষ শুক্রবার নিজ বাড়িতে ফ্রি রোগী দেখার পাশাপাশি মাতৃত্বকালীন এন্টিনেটাল চেক আপ , ফ্রি চোখের ছানি কাটা,চক্ষুশিবির,খৎনা ক্যাম্প সহ রোগীদের বিনা মূল্যে ঔষধ বিতরণ করে আসছেন। আর এসব কাজে তাঁকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তাঁর জীবনসঙ্গিনী ডাঃ ফারহানা বিনতে আলী সহ পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দ।
২৯ শে অক্টোবর ২০২১ শুক্রবার সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও গীতিকার কবি নাজমুল ইসলাম মকবুলের আমন্ত্রণে অন্য একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্রাক্কালে এ বাড়িতে চা পানের জন্য যাত্রা বিরতি। উদ্দেশ্য স্ব-চক্ষে মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিদর্শন করা। বাড়িতে মানুষের কোলাহল, ঘর ভর্তি মহিলা ও শিশু,রাস্তাঘাট সহ বাড়ি ভর্তি পুরুষ, প্রায় দুই’শ জনের বেশি রোগী সাথে দু’টি খৎনার আয়োজন। অত্যধিক রোগীর উপস্থিতি থাকায় ডাক্তার সাহেবের সাথে কথা বলা কিংবা চা পান করার কোন সুযোগই নাই। এরপরও ডাক্তার সাহেবের সাথে দেখা করার লক্ষ্যে রুমে ঢুকলাম। আগত রোগীদের মধ্য থেকে বারবার তাগাদা জুম্মার নামাজের সময় হয়ে যাচ্ছে সবাই তাড়াতাড়ি ঔষধ নিয়ে বাড়ি ফেরার পর নামাজে যাবে।
ডাক্তার সাহেবের অনুরোধে আমি বাড়ির ভেতরে চলে গেলাম। আমার আসার কথা শুনে আমার প্রয়াত পিতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও এক সময়ের ব্যবসায়ীক পার্টনার/ সহযোগী বাড়ির মালিক শ্রদ্ধাভাজন চাচা বের হয়ে আসলেন। কুশলাদি জিজ্ঞেস করার পর দীর্ঘক্ষণ চাচার সাথে রোগীদের ব্যাপক উপস্থিতি নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে আমি চাচার কাছে জানতে চেয়েছিলাম বাড়িতে এত লোকের উপস্থিতিতে তাঁদের কোনও অসুবিধা হয় কিনা? চাচা আমাকে তাঁর স্বভাবসুলব ভঙ্গিতে জানালেন অসুবিধা হবে কেন বাবা, লোকজনকে ডেকে নিয়ে আসা হয়েছে, এমনিতে তো কেউ আসেনি। চিকিৎসা সেবা পাওয়ার আশায় এলাকার লোকজন আমার বাড়ি আসছেন এটি আমাদের সৌভাগ্য। আমি মনেকরি আমার পরিবারের সকলের উচিত এখানে যারা আসে তাঁদেরকে যথাযথ মূল্যায়ন সহ সাধ্যানুসারে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করা।
শ্রদ্ধাভাজন চাচাকে তাঁর মহানুভবতার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। জয় হোক মানবতার আর আমাদের মন-মানষিকতা হোক আমার পিতৃতুল্য সহজ-সরল চাচার মত। আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আমার অত্যন্ত প্রিয়ভাজন শিক্ষানুরাগী মরহুম আল্ হাজ্ব মোঃ সিরাজুল ইসলাম কে যার স্মৃতি ধরে রাখার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছিল এই মেমোরিয়াল ট্রাস্ট।
আমি মানবসেবী এই ডাক্তারের পারিবারিক সুখ-সমৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করি। তারই সাথে সাথে অলংকারী ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক সহ সকল কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই,তাদের জীবনের শ্রেষ্ঠতম সময়টুকু মানব সেবায় ব্যয় করার জন্য। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি আমাদের গর্ব এ সকল যুবক ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর পরিসরে সমাজ সেবায় অবদান রেখে আমাদের এলাকার জন্য সুনাম বয়ে নিয়ে আসবে।
তাজ উদ্দিন আহমদ
ব্যবস্থাপক প্রাইম ব্যাংক, বিয়ানীবাজার শাখা, সিলেট।