প্রচ্ছদ

বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, মোকাবিলায় সরকারও প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী

  |  ০৯:৩০, জুলাই ২৭, ২০২০
www.adarshabarta.com

Manual1 Ad Code

মোঃ নাসির, বিশেষ প্রতিনিধি :

Manual1 Ad Code

দেশের বন্যা দীর্ঘ হলে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
রোববার (২৬ জুলাই) বিকেলে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সমন্বয় সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।

Manual4 Ad Code

দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে জাহাঙ্গীর কবির নানকের মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে যুক্ত হন শেখ হাসিনা।

Manual1 Ad Code

এসময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবারের বন্যা সম্ভবত দীর্ঘ হতে পারে। ১৯৯৮ সালের বন্যা স্থায়ী হয়েছিল ৬৯ দিন অপর দিকে ১৯৮৮ সালের বন্যা ছিল দুই সপ্তাহ। এবারের বন্যা যদি ১৯৯৮ সালের মত দীর্ঘ হয়, তবে আমাদের কী করণীয় সে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।’

Manual8 Ad Code

শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের বন্যা মোকাবিলার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘ওই সময় অনেকেই বলেছিল যে, ২ কোটি মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। আল্লাহর রহমতে কোনো মানুষ না খেয়ে মারা যায়নি।’

এ সময় তিনি নিজ হাতে রুটি বানানোর কথা, খাবার বিতরণের কথা, খাবার পানি, স্যালাইন তৈরিসহ ওষুধ বিতরণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সবধরনের প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা যথেষ্ট রয়েছে। তারপরও আমাদের সেভাবেই তৈরি থাকতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেসব এলাকায় বন্যা, সেসব এলাকার স্থানীয় সংগঠনগুলোকে সক্রিয় করে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিতে হবে। এদিকে আবার করোনাভাইরাস, এটা নিয়েও সতর্ক থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বন্যায় যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছে, তাদের ঘরবাড়ি করে দিচ্ছি। বন্যার্তদের আপাতত স্কুল-কলেজে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসে কৃষকদের ধান কাটাও আমরা নেতাকর্মীদের সহায়তায় ভালোভাবে করতে পেরেছি। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে ১৫ আগস্ট যেভাবে করতে চেয়েছিলাম, সেভাবে পারলাম না। তাই, আমরা একদিকে বৃক্ষরোপণ করব, আরেক দিকে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ দেবো। দোয়া-মোনাজাতও করা হবে। বন্যা দুর্গত মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছানো, খাবার বিতরণ এবং তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য-সহযোগিতা করা— এটাই হবে আমাদের কাজ।’

সবাইকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবার যেহেতু করোনাভাইরাস। তারপরও কোরবানির ঈদ। অনেকেই কোরবানি দেবে। সবাই সবার মতো করে মানুষকে সাহায্য করতে হবে, মানুষের পাশে থাকতে হবে। স্বাস্থ্য সচেতন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশন সবধরনের ব্যবস্থা নেবে। আমাদের সবাইকেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘করোনায় আমরা সবচেয়ে বেশি আমাদের নেতাকর্মী হারালাম। কারণ, এই করোনায় সবাই কাজ করেছে। এই সময়ে অনেকেই আমাদের ছেড়ে চলে গেলো। আমার কাছে সব খবর আছে। আসলে এখন এমন একটা সময় যে, মারা গেলেও দেখতে যেতে পারছি না। তারপরও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

এ সময়ে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, তথ্যমন্ত্রী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সুবর, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code